ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ

কাট্টলি টেক্সটাইলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার নির্দেশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২১:২১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪

কাট্টলি টেক্সটাইলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার নির্দেশ

কাট্টলি টেক্সটাইল লিমিটেড

শেয়ারবাজারে বস্ত্র খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি কাট্টলি টেক্সটাইল লিমিটেডের বিরুদ্ধে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে সংগ্রহীত তহবিল ‘নয়ছয়’ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ অভিযোগ অনুসন্ধানে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। তাই মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী কোম্পানিটির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) নির্দেশ দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
জানা গেছে, ইতোমধ্যে বিএসইসির গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন সিআইডিকে প্রেরণ করা হয়েছে। বিএসইসির ওই নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবে সিআইডি।
সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি চিঠি সিআইডির অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক বরাবর পাঠানো হয়েছে বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে। সিআইডিতে পাঠানো চিঠিতে বিএসইসির উল্লেখ করেছে, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন কর্তৃক গত ১৬ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে কাট্টলি টেক্সটাইল লিমিটেডের আইপিও অর্থ ব্যবহারসহ অন্যান্য বিষয়ে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। উক্ত কমিটি গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখে কমিশন বরাবর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে।
চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন কাট্টলি টেক্সটাইল লিমিটেডের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর সংশ্লিষ্ট ধারা মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্ধারিত সংস্থা অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), বাংলাদেশ পুলিশ বরাবর প্রেরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। অতএব এ বিষয়ে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর সংশ্লিষ্ট ধারা মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিষয়টি নির্দেশক্রমে প্রেরণ করা হলো।
তথ্য মতে, কাট্টলি টেক্সটাইল লিমিটেড ২০১৮ সালে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে ৩৪ কোটি সংগ্রহ করেছিল। কিন্তু দীর্ঘ পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও কোম্পানিটি আইপিও তহবিল ব্যবহারে ব্যর্থ হয়। কোম্পানিটি আইপিও তহবিলের মাধ্যমে মূলধনী যন্ত্রপাতি ক্রয়, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ, বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার স্থাপন এবং আইপিও খরচ বহন করার জন্য শেয়ারবাজার থেকে ৩৪ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছিল। কোম্পানিটি ২০২০ সালের অক্টোবরের মধ্যে তহবিলটি ব্যবহার করার কথা ছিল। কিন্তু ২০২৩ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত কোম্পানিটি আইপিও তহবিলের মাত্র ১৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকা ব্যবহার করেছে।
কোম্পানিটির আইপিও তহবিল ব্যবহারে ব্যর্থতা জানতে ২০২৩ সালের ১৬ অক্টোবর তিন সদস্যের একটি কমিটি তদন্ত গঠন করে বিএসইসি। গঠিত কমিটির সদস্যরা হলেন- বিএসইসির অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া, উপ-পরিচালক মো. শহীদুল ইসলাম এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সহকারী মহাব্যবস্থাপক মাসুদ খান।

×