পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
জিনিসপত্রের দাম ঊর্ধ্বমুখী, ব্যাংকঋণের সুদ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগে আগ্রহ কম, বলা যায় বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ স্থবির বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে সরকারের উন্নয়ন ব্যয় না বাড়ালে দেশে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দেবে। কারণ, উন্নয়ন ব্যয় বাড়লে অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
গতকাল এনইসি সম্মেলনকক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এবং একনেক চেয়ারপারসন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন বলেন, ‘আমাদের সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের মতোই পরিকল্পনা কমিশনের বিভিন্ন প্রকল্পের পরিচালকেরাও পালিয়েছেন। তাঁরা দুর্নীতি ও অনিয়মের পাশাপাশি প্রকল্পের অনেক সম্পদ বিক্রি করে অর্থ নিয়ে চলে গেছেন। এসব কথা চিন্তা করে প্রথমে আমরা দুর্নীতি ও অনিয়মমুক্ত প্রকল্পগুলোর অর্থ ছাড় করেছি। তাই ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে এডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৮ শতাংশ। তা আরও বেশি হওয়া দরকার।’
বিগত সরকারের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নেওয়া প্রকল্প বাদ দেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, এ জন্য সামনে উন্নয়ন বাজেট কমবে। এ ছাড়া প্রকল্প বাস্তবায়নে যেন দুর্নীতি না হয়, সেসব দেখা হচ্ছে।
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে সব মন্ত্রণালয়ে পরিবর্তন হয়েছে। ফলে মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা অনেক প্রকল্প পরিচালক পদত্যাগ করেছেন। মাতারবাড়ীর পিডি জিনিসপত্র বিক্রি করে চলে গেছেন। প্রকল্প কমে যাচ্ছে, নতুন প্রকল্প নিতে চিন্তাভাবনা করতে হচ্ছে। দুর্নীতি ও অপচয় রোধ করতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে, ব্যয় ধীর হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, একনেক সভায় মোট ছয়টি প্রকল্প উপস্থাপন করা হয়। সেগুলোর মধ্যে সভায় প্রায় ৫ হাজার ৯১৫ কোটি ৯৯ টাকা ব্যয়ের পাঁচটি প্রকল্প অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ১ হাজার ৯৫ কোটি ৯৪ লাখ টাকা, বৈদেশিক অর্থায়ন ৪ হাজার ৭৮৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৩২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।
ইসরাত