গাড়ি। ছবি: সংগৃহীত
শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানি করা বিলাসবহুল ২৪টি গাড়ির মালিক লাপাত্তা। এসব গাড়ি আমদানি করেছিলেন ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা সরকারের সাবেক সংসদ সদস্যরা।
তিন হাজার থেকে চার হাজার সিসির গাড়িগুলোর মধ্যে রয়েছে- টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার, টয়োটা জিপ, টয়োটা এলসি স্টেশন ওয়াগন, প্রাডো, বিএমডব্লিউ, মার্সিডিজ বেঞ্জ ও রেঞ্জ রোভারসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ড। আমদানি করা এসব গাড়ির বাজার মূল্য ২ শত ৮৮ কোটি টাকা।
প্রথম ধাপে চিঠি পাঠানো ২৪ সাবেক সংসদ সদস্যের মধ্যে রয়েছেন- তারানা হালিম, ময়মনসিংহের আব্দুল ওয়াহেদ, জামালপুরের আবুল কালাম আজাদ, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের এসএম আল মামুন, বাঁশখালীর মুজিবুর রহমান, খুলনার এসএম কামাল হোসেন, নওগাঁর সুরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী, গাইবান্ধার শাহ সরোয়ার কবির, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এসএকে একরামুজ্জামান, নেত্রকোনার সাজ্জাদুল হাসান, ঝিনাইদহের নাসের শাহরিয়ার জাহেদী, যশোরের তৌহিদুজ্জামান ও সুনামগঞ্জের মুহাম্মদ সাদিক।
এসব গাড়ি ছাড়িয়ে নিতে চিঠি দেয় চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। আমদানিকারকদের কোন জবাব পায়নি চট্টগ্রাম কাস্টমস। সময় নির্ধারণ করে আবার চিঠি দেয় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
প্রথম নোটিসের পর দ্বিতীয় নোটিস দেয় বলে জানান চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। সেটিরও জবাব না আসলে আমরা পরবর্তী ব্যবস্থা নিব।
এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম জানান, ৩০ দিনের মধ্যে আমদানিকারক যেসব গাড়ি বন্দর থেকে খালাস নেননি, সেগুলোর মধ্যে ২৪টির তালিকা বন্দর কর্তৃপক্ষ কাস্টমসে পাঠিয়েছে। নিলামের অংশ হিসেবে শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানি করা এসব গাড়ির আমদানিকারকের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এমন কী ২৪ জন আমদানিকারকের মধ্যে কারও সাড়াও মেলেনি। এখন নিয়ম অনুযায়ী দ্বিতীয় চিঠি ইস্যু করা হবে। ওই চিঠির জবাবও ১৫ দিনের মধ্যে না এলে আমরা নিলাম প্রক্রিয়ায় চলে যাবো। বর্তমানে চিঠি ইস্যু করার বিষয়টিও নিলাম প্রক্রিয়ার অংশ।
সংসদ সদস্য পদ না থাকায় ৮৫০ শতাংশ শুল্ক পরিশোধ করতে হবে আমদানিকারকদের। এতে প্রতিটি গাড়ির দাম পড়বে ১০ থেকে ১২ কোটি টাকা। দ্বিতীয় চিঠির জবাব না পাওয়া গেলে গাড়িগুলো তোলা হবে নিলামে।
চলতি বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর চটগ্রাম বন্দরের কার শেড ও মাল্টিপল শেডে গাড়িগুলো রাখা হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর কৃর্তপক্ষের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গাড়িগুলো যত দ্রুত ছাড়িয়ে নেওয়া হয় তত লাভ বন্দর কর্তৃপক্ষের।
গত ১৫ বছরের হাসিনা সরকারের সংসদ সদস্যরা ৫ হাজার ১৪৭ কোটি টাকা শুল্ক সুবিধা নিয়েছেন।
এসআর