ভারতের আলু।
ভারত থেকে বৈধ ও চোরাই পথে আসা আলু রাজধানী ঢাকার বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে। এই আলু রাজধানীর বাজারে খুচরায় প্রতি কেজি ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর পাইকারিতে কেজি ১০০ টাকা। যেখানে দেশি পুরাতন আলু ৭০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ কাঁচামাল আড়ত মালিক সমিতির সভাপতি মো. ইমরান মাস্টার বলেন, ‘দেশে উৎপাদিত নতুন আলু এখনও আড়তে আসেনি। যে আলু বিক্রি হচ্ছে তা ভারত থেকে আমদানি করা। কিছু ক্রেতা রয়েছে, যারা এসব নতুন নতুন সবজি মনে করে দামের বিবেচনা না করে কেনেন। তাদের জন্য এসব আলু আমদানি করছেন কিছু ব্যবসায়ী।’
ইমরান মাস্টার বলেন, ‘দেশে মৌসুমের একদম শুরুতে দিনাজপুর ও বগুড়ার আলু বাজারে আসবে। সেগুলো গ্রানোলা জাতের আগাম আলু। সেটাও আগামী মাসে আসবে।’
শান্তিনগর বাজারে ভারতের আলুকে নতুন আলু বলে বিক্রি করা বিক্রেতা ফরিদ মিয়া বলেন, ‘এগুলো যশোর থেকে এসেছে। সেখানকার আগাম জাতের আলু।’
এদিকে, দেশের বিভিন্ন এলাকায় নতুন আলু (পাকড়ি জাত) প্রতি কেজি ৩৬০ থেকে ৪০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে বলে খবর আসছে। যা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা চলছে।
দিনাজপুরের আলুর বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আগাম জাতের অ্যাস্টেরিক ও কার্টিনাল, লাল পাকড়ি, রোমানা আলু রোপণ শুরু হয়েছে গত মাসের শেষে। এসব আলু ৫০ থেকে ৬০ দিনে বিক্রির উপযোগী হয়।
বগুড়ার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাতলবর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘নবান্ন উৎসব উপলক্ষে বগুড়ার শিবগঞ্জের একজন কৃষক সোমবার বাজারে ৫ কেজি আগাম আলু নিয়ে এসেছিলেন। সেটি ৪০০ টাকা পর্যন্ত দাম ওঠে। সেটি ব্যতিক্রম ঘটনা। এই এলাকায় আগাম আলু ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে উঠতে শুরু করবে।’
এম হাসান