ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ৫ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

কেন প্রাইজবন্ড আকর্ষণীয় একটি বিনিয়োগ মাধ্যম?

প্রকাশিত: ১১:১৭, ১৯ নভেম্বর ২০২৪

কেন প্রাইজবন্ড আকর্ষণীয় একটি বিনিয়োগ মাধ্যম?

মধ্যবিত্ত ও বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের কাছে সঞ্চয়ের নিরাপদ মাধ্যম হিসেবে জনপ্রিয় হলো  প্রাইজবন্ড । প্রাইজবন্ড হলো গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পরিচালিত একটি বিনিয়োগ প্রকল্প। দীর্ঘদিন ধরেমাত্র ১০০ টাকার প্রাইজবন্ড কিনে সর্বোচ্চ ৬ লাখ টাকা জেতার সুযোগ থাকায় এটি অনেকের কাছে আকর্ষণীয় একটি বিনিয়োগ মাধ্যম। 

কেন প্রাইজবন্ড চালু করা হয়েছে:

 অভ্যন্তরীণ সম্পদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই স্কিম চালু করে। এটি জনগণের সঞ্চয় প্রবণতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সরকারের জন্য একটি সহজ ঋণ সংগ্রহের মাধ্যম।

ড্র কখনহয়: 

ড্র অনুষ্ঠিত হয় প্রতি বছর ৩১ জানুয়ারি, ৩০ এপ্রিল, ৩১ জুলাই ও ৩১ অক্টোবর। নির্ধারিত তারিখে সরকারি ছুটি থাকলে পরবর্তী কার্যদিবসে ড্র অনুষ্ঠিত হয়।তবে নতুন কেনা বন্ড দুই মাসের মধ্যে ড্রয়ের আওতায় আসে না। ড্রয়ের দিন যে বন্ডের মালিকানা থাকবে, সেই ব্যক্তি পুরস্কার জেতার যোগ্য বলে বিবেচিত হন।

 অনলাইনেই প্রাইজবন্ড মেলানো যায়: 

প্রাইজবন্ড মেলানোর ডিজিটাল পদ্ধতি হাতের নাগালেই। অনলাইন ও অ্যাপ ব্যবহার করে সহজেই মেলাতে পারবেন প্রাইজবন্ডের ফল। ব্যস্ততার কারণে অনেকেই সংগ্রহে থাকা প্রাইজবন্ডের ড্রর ফল মেলানোর সময় পান না। প্রতি তিন মাস পরপর ড্রর ফল দেখা ও মেলানো কঠিন। এতে অনেকেই পুরস্কার জিতেছেন কি না, তা জানতে পারেন না। অনলাইনে মেলানোর জন্য এই ওয়েবসাইটে যেতে হবে আর অ্যাপ ডাউনলোড করা যাবে এখান থেকে।

কিভাবে টাকা তুলবেন :

পুরস্কারের টাকা তুলতে গেলে বন্ডের রসিদ, জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি, ব্যাংক হিসাবের বিবরণ, নমিনি এবং প্রথম শ্রেণীর গেজেটেড কর্মকর্তা কর্তৃক শনাক্তকারী স্বাক্ষর লাগবে। ১০০ টাকা মূল্যমানের প্রাইজবন্ডের ”ড্র” অনুষ্ঠিত হয় বছরে চারবার: ৩১ জানুয়ারি, ৩০ এপ্রিল, ৩১ জুলাই ও ৩১ অক্টোবর। বন্ড কেনার দুই মাস পার হওয়ার পর প্রাইজবন্ড ”ড্র”র আওতায় আসে। ”ড্র” অনুষ্ঠানের দুই বছর পর্যন্ত পুরস্কারের টাকা দাবি করা যায়। এর মধ্যে কেউ দাবি না করলে পুরস্কারের অর্থ তামাদি হয়ে সরকারি কোষাগারে ফেরত যায়।  আর যদি প্রাইজবন্ডে পুরস্কার না পান, তবে যেকোনো সময়ে প্রাইজবন্ডের সমমূল্যের টাকা সরকারি/বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে অথবা পোস্ট অফিসেও ভাঙ্গাতে পারবেন।

বিনিয়োগ পরিকল্পনায় এটি মধ্যবিত্তের জন্য একটি উপযুক্ত পছন্দ কারন এতে স্মার্ট সঞ্চয়ের মাধ্যম হিসেবে প্রাইজবন্ড ঝুঁকিমুক্ত এবং লাভজনক হতে পারে।

জাফরান

×