শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত রানার অটোমোবাইলস ৩ অর্থবছর ধরে লোকসানে রয়েছে। অথচ কোম্পানিটি ভালো ব্যবসা দেখিয়ে শেয়ারবাজারে উচ্চ প্রিমিয়ামে শেয়ার ইস্যু করেছিল। যা দিয়ে আরও বেশি মুনাফা করার ঘোষণা দিয়েছিল।
আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্টের হাত ধরে শেয়ারবাজারে আসা রানার অটোমোবাইলসের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) সময় ২০১৭-১৮ অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি ৪.৯০ টাকা মুনাফা দেখানো হয়েছিল। যা এখন অতিত।
আইপিও পূর্ব উচ্চ মুনাফা করা রানার অটোমোবাইলস ২০২২-২৩ অর্থবছর থেকে লোকসানে রয়েছে। কোম্পানিটির ২০২২-২৩ অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি (৭.৭৫) টাকা হিসেবে মোট ৮৭ কোটি ৯৯ লাখ টাকার নিট লোকসান হয়েছে। ওইবছর কোম্পানিটির পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের কোন লভ্যাংশ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
এরপরে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি ০.৫৪ টাকা করে ৬ কোটি ১৩ লাখ টাকার লোকসান হয়েছে। তবে চলতি অর্থবছরের ৩ মাসেই (জুলাই-সেপ্টেম্বর ২০২৪) ওই লোকসানকে ছাড়িয়ে গেছে। কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ৩ মাসে শেয়ারপ্রতি ০.৭২ টাকা করে মোট ৮ কোটি ১৭ লাখ টাকার লোকসান হয়েছে।
অথচ মুনাফা বাড়ানোর লক্ষ্যে শেয়ারবাজারে আসে রানার অটোমোবাইলস। কোম্পানিটি আইপিও ফান্ডের ১০০ কোটি টাকার মধ্যে ৩৩ কোটি দিয়ে ঋণ পরিশোধের পাশাপাশি ৬৩ কোটি টাকা দিয়ে ব্যবসা সম্প্রসারনে ব্যবহারের কথা ছিল। এরমধ্যে চেসিস ওয়েল্ডিং লাইনের জন্য ১২ কোটি ১৮ লাখ টাকা, বডি ওয়েল্ডিং লাইনের জন্য ৭ কোটি ১০ লাখ টাকা, প্রিন্ট বুথের জন্য ২৭ কোটি ৭২ লাখ টাকা এবং ভেহিক্যাল অ্যাসেম্বিলিং ও টেস্টের জন্য ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যবহারের কথা জানিয়েছিল।
বুক বিল্ডিংয়ে ৭৫ টাকা কাট-অফ প্রাইস নির্ধারন হওয়া রানার অটোমোবাইলসের শেয়ার দর সোমবার (১৮ নভেম্বর) দাঁড়িয়েছে ২৯.১০ টাকায়। ২০১৯ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া এ কোম্পানিটির বর্তমানে পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ১১৩ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। যার ৫০.০৭ শতাংশ (উদ্যোক্তা/পরিচালক ছাড়া) মালিকানা শেয়ারবাজারের বিভিন্ন বিনিয়োগকারীদের।
জাফরান