স্বর্ণ।
বিশ্ববাজারে স্বর্ণের নতুন করিডর হতে যাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্য। আর এর কেন্দ্রস্থল হতে যাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের ধনী দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত। অর্থনৈতিক জোট ব্রিকসভুক্ত সদস্যদের মধ্যে নতুন অর্থনৈতিক করিডোর চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বর্ণের বৈশ্বিক বাজারে নতুন এই কেন্দ্রস্থল দখলের লড়াইয়ে সবচেয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে আমিরাত। কারণ এই বছরই আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রিকস জোটে যোগ দেয় দেশটি।
উপসাগরীয় শীর্ষ ধনী দেশ আমিরাত ইতোমধ্যে বিশ্ববাজারে দ্বিতীয় বৃহত্তম কেন্দ্রস্থল। গত বছর (২০২৩ সাল) যুক্তরাজ্যকে পেছনে ফেলে প্রথমবারের মতো তৃতীয় অবস্থান থেকে উতরে দ্বিতীয় স্থান দখল করে আমিরাত। এখন পর্যন্ত এই তালিকায় শীর্ষে রয়েছে সুইজারল্যান্ড। যা শিগগিরই ইউরোপীয় দেশটিকে হারাতে হবে আমিরাতের দাপটের কাছে।ডিএমসিসি-এর এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান এবং সিইও আহমেদ বিন সুলাইয়েম বলেন, 'আমরা মূল্যবান ধাতুর বাজারে ঐতিহাসিক পরিবর্তন প্রত্যক্ষ করছি। পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো রেকর্ড পরিমাণ স্বর্ণ কেনা শুরু করেছে এবং অনেক দেশ মার্কিন ডলারের ওপর তাদের নির্ভরতা পুনর্বিবেচনা করছে।'
বিশ্বব্যাপী স্বর্ণের বাণিজ্যে পরিবর্তন: আমিরাতের বর্তমান স্বর্ণের বাণিজ্যের পরিমাণ ১২,৯০০ কোটি ডলারের বেশি। বাণিজ্যিক মহলে ধারণা করা হচ্ছে, ব্রিকসের মাধ্যমে বাণিজ্যে চলমান ধারা এবং সদস্য দেশগুলোর মধ্যে পণ্য চলাচলে পরিবর্তন আসবে। চীন এবং ভারত, যারা বিশ্বের প্রথম এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম স্বর্ণের ভোক্তা তারা ব্রিকসের সদস্য হিসেবে যোগ দিয়েছে। এর ফলে শিগগিরই স্বর্ণের বাণিজ্য এবং পরিবহন ব্যবস্থাপনা ও রুটে বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে।
দুবাইয়ের প্রতিষ্ঠান ডিএমসিসি'র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ভূরাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ’ বিশেষ করে রাশিয়ার ওপর (পশ্চিমা দেশগুলোর) নিষেধাজ্ঞা বিশ্ব অর্থনীতিকে নাড়া দিয়েছে। এর ফলে ক্ষুব্ধ দেশগুলো মার্কিন ডলারের ওপর নির্ভরতা কমাতে স্বর্ণের মজুদকে নিরাপত্তা হিসেবে পুনর্বিবেচনা করছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এতে করে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো স্বর্ণ কেনার কার্যক্রম বাড়িয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্রে সংরক্ষিত স্বর্ণ দেশে ফিরিয়ে আনছে। কিছু দেশ এমনকি মার্কিন ডলারের পরিবর্তে স্বর্ণ ব্যবহার করে বাণিজ্য করছে।'
রিয়াদ