চাল আমদানি
প্রায় ২০ মাস পর ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু হয়েছে। রোববার (১৭ নভেম্বর) রাতে ভারত থেকে চালবোঝাই তিনটি ট্রাক বেনাপোল বন্দরের ট্রান্সশিফমেন্ট ইয়ার্ডে প্রবেশ করেছে।
বেনাপোল চেকপোস্ট উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী হেমন্ত কুমার সরকার জানান, প্রথম চালানে তিনটি ট্রাকে ১০৫ টন (এক লাখ ৫ হাজার কেজি) নন-বাসমতি চাল আমদানি করেছেন যশোরের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মাহাবুবুল আলম ফুড প্রোডাক্ট। আরও ১০০ টন চাল বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় আছে। ২০২৩ সালের ২০ জুলাই দেশের বাইরে সিদ্ধ ও আতপ চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত।
বেনাপোল বন্দর এ চাল খালাসের দায়িত্বে থাকা সিএন্ডএফ এজেন্ট হোসেন অ্যান্ড সন্স-এর ম্যানেজার কাজল হোসেন জানান, আমদানি করা চালের আমদানি মূল্য ৪৫ হাজার ১৫০ মার্কিন ডলার। যা বাংলাদেশি টাকায় ৫৪ লাখ ১৮ হাজার। আমদানি করা প্রতিকেজি চালের দাম পড়েছে প্রায় ৫২ টাকা। সেই সাথে রয়েছে এলসি খরচ, এক্সপোর্ট খরচ, পরিবহন, বন্দরের ভাড়া, ব্যাংক খরচসহ অন্যান্য খরচ। সেই হিসেবে প্রতিকেজি চালের মূল্য দাড়ায় ৫৫ টাকা। সোমবার বিকেলে চালের চালানটি বন্দর থেকে ডেলিভারি হওয়ার কথা রয়েছে।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার রবিন্দ্র সিংহা জানান, সরকারের খাদ্য মন্ত্রণালয় গত ১১ নভেম্বর ২৪টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে চাল আমদানির অনুমতি দেয়। এর মধ্যে ১ লাখ ২০ হাজার টন সিদ্ধ চাল ও ৫৫ হাজার টন আতপ চাল আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের শর্তে বলা হয়, বরাদ্দপ্রাপ্ত আমদানিকারকদের আগামী ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে সমুদয় চাল বাংলাদেশে বাজারজাত করতে হবে। আমদানি করা চালের পরিমাণ, গুদামজাত ও বাজারজাতকরণের তথ্য সংশ্লিষ্ট জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে অবহিত করতে হবে, বরাদ্দের অতিরিক্ত আইপি ইস্যু করা যাবে না, আমদানিকৃত চাল অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের নামে পুনরায় প্যাকেটজাত করা যাবে না। আমদানি করা চাল বস্তায় বিক্রি করতে হবে।
ইসরাত