শেয়ারবাজারে ফের দরপতন
শেয়ার বিক্রি থেকে অর্জিত মূলধনী মুনাফার ওপর করহার কমানোর প্রভাবে শেয়ারবাজারে কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দেয়। তবে তা বেশি সময় স্থায়ী হয়নি। দুই কার্যদিবস ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর শেয়ারবাজারে ফের দরপতন হয়েছে।
বুধবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের স্থান হয়েছে দাম কমার তালিকায়। ফলে কমেছে মূল্যসূচক। একই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের দর কমেছে। এর তবে বাজারটিতে বেড়েছে মূল্যসূচক। একই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।
এর আগে শেয়ারবাজারে অব্যাহত দরপতন দেখা দিলে গত সোমবার দুপুরে মূলধনী মুনাফার ওপর করহার কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এর পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার ও মঙ্গলবার দুই কার্যদিবস শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মেলে। এ পরিস্থিতিতে বুধবার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতেই সূচক ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। লেনদেনের শুরুতে সূচক ঋণাত্মক হয়ে পড়লেও লেনদেনের মাঝে কয়েকবার সূচক ঊর্ধ্বমুখী হয়। কিন্তু লেনদেনের শেষদিকে বিক্রির চাপ বেশি থাকায় শেষ পর্যন্ত পতন দিয়েই দিনের লেনদেন শেষ হয়। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে ৮৫ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। এর বিপরীতে দাম কমেছে ২৮১ প্রতিষ্ঠানের। এ ছাড়া ৩৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১৭ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৩৪৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় শূন্য দশমিক শূন্য এক পয়েন্ট কমে এক হাজার ৯৬৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এ ছাড়া ডিএসই শরিয়াহসূচক আগের দিনের তুলনায় শূন্য দশমিক ৯৯ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ১৯২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
প্রধান মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৬৫১ কোটি ২০ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৮৩৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা। সে হিসাবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন কমেছে ১৮৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা।