ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১

মদ বিক্রিতে ফের মুনাফা ধরে রেখেছে কেরু

অর্থনৈতিক রিপোর্টার

প্রকাশিত: ০০:১২, ৭ নভেম্বর ২০২৪

মদ বিক্রিতে ফের মুনাফা ধরে রেখেছে কেরু

মদ বিক্রিতে ফের মুনাফা ধরে রেখেছে কেরু

বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের (বিএসএফআইসি) আওতাধীন এক ডজনেরও বেশি কোম্পানি যখন অনেকটা  শ্বেতহস্তীতে (লোকসানে পড়েছে) পরিণত হয়েছে, তখন বছরের পর বছর ধরে ডিস্টিলারি ব্যবসায় প্রবৃদ্ধি নিয়ে এগোচ্ছে কেরু অ্যান্ড কোম্পানি। প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা জানান, শুধুমাত্র ডিস্টিলারি ব্যবসা থেকেই প্রায় ১৫০ কোটি টাকা মুনাফা হয়েছে কেরুর। তবে চিনি ইউনিটে প্রায় ৬০ কোটি টাকা লোকসানের কারণে মোট মুনাফা কমে ১০০ কোটি টাকার নিচে দাঁড়িয়েছে।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৮৫ কোটি টাকার রেকর্ড মুনাফা অর্জন করেছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন মদ উৎপাদনকারী কোম্পানিটিÑ যা আগের বছরের তুলনায় ৩২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নির্দেশ করে। প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা জানান, মূলত দাম বৃদ্ধির কারণে মুনাফা বেড়েছে। যদিও কোম্পানির রাজস্ব গত বছরের ৪৭৫ কোটি টাকা থেকে কিছুটা কমে এ বছর ৪৫৯ কোটি টাকা হয়েছে। কেরুর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রাব্বিক হাসান বলেন, ‘জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কড়াকড়ির কারণে বিদেশী মদের আমদানি কমেছে, তাই স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত মদের চাহিদা বেড়ে গেছে উল্লেখযোগ্যভাবে।

রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা জানান, ২০২১ সালে বিদেশী মদ আমদানির ক্ষেত্রে কঠোর নজরদারি শুরু করে এনবিআর, যার প্রভাবে সরবরাহ শৃঙ্খল ব্যাহত হয়, হ্রাস পায় বিদেশী মদের আমদানি। আর এতে বিক্রি বেড়ে যায় কেরুর বিক্রি। প্রতিষ্ঠানটির ডিস্টিলারি ইউনিটের কর্মকর্তারা জানান, চলতি ২০২৪ সালের জুন নাগাদ কেরুর স্পিরিট এবং অ্যালকোহল উৎপাদন সামান্য বেড়ে ৬০ লাখ প্রুফ লিটারে পৌঁছেছে। ২০২৩ অর্থবছরে যা ছিল ৫৯ লাখের চেয়ে একটু বেশি।  

প্রুফ শব্দটি অ্যালকোহলযুক্ত পানীয়ের মধ্যে অ্যালকোহল উপাদানের পরিমাপ বোঝাতে করতে ব্যবহৃত হয়। চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় অবস্থিত দেশের একমাত্র লাইসেন্সধারী ডিস্টিলারি প্রতিষ্ঠান কেরু অ্যান্ড কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেড তার বার্ষিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত এটিই কেরুর চিনিগুড়া থেকে উৎপাদিত সর্বোচ্চ পরিমাণ স্পিরিট এবং অ্যালকোহলের উৎপাদন।

ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রাব্বিক হাসান বলেন, যাত্রা শুরুর পর থেকে এত পরিমাণ লাভের মুখ দেখেনি কেরু। গত কয়েক বছরে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় মদের উৎপাদন কিছুটা বেড়েছে। তিনি বলেন, ‘করপোরেট ট্যাক্সেশনের আগে, কোম্পানির মুনাফা ১১৫ কোটি টাকা ছাড়িয়ে ছিল; তবে ট্যাক্সের পরে নিট মুনাফা দাঁড়ায় ৮৫ কোটি টাকায়; আগের অর্থবছরে এই মুনাফা ছিল ৬৪ কোটি টাকা।’

×