বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
অর্থবছরের চার মাস শেষ হতে চললেও চিনি কেনার প্রয়োজন পড়েনি। কিন্তু চলতি অর্থবছরে প্রায় দেড় লাখ টন চিনি কেনার পরিকল্পনা নেয় সরকার। আগামী দিনে বাজারে চিনির সরবরাহ যাতে ঠিক থাকে তা নিশ্চিতে এ উদ্যোগ নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।জানা যায়, সর্বশেষ চিনি কেনা হয়েছিল আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে।
তখন অনেকটা চড়া দামেই চিনি কেনা হয়েছিল। এ নিয়ে বেশ বিতর্কও হয়। খুচরা বাজারে চিনির দাম যখন ১৩০ টাকা তখন ১৬০ টাকা দরে চিনি কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তৎকালীন সরকার। বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কম দামে বিক্রির জন্য উন্মুক্ত (স্থানীয়) দরপত্রের মাধ্যমে পাঁচ হাজার মেট্রিক টন চিনি কেনার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
এ ক্ষেত্রে প্রতি কেজি চিনি কেনা হবে ১২০.৯২ টাকায়। সে হিসাবে চিনি কিনতে ৬০ কোটি ৪৬ লাখ টাকা ব্যয় হবে। দেশীয় চিনি উৎপাদক সংস্থা সিটি সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে এই চিনি সরবরাহ করবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)-এর মাধ্যমে পণ্য কেনার লক্ষ্যে বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনা অনুমোদিত হয়েছে।
অনুমেদিত ক্রয় পরিকল্পনা অনুযায়ী পণ্য কেনার ক্ষেত্রে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাউন্টার গ্যারান্টি প্রাপ্তি সাপেক্ষে ব্যাংকের এলটিআর সৃষ্টি করে পণ্য ক্রয়ের বিল পরিশোধ করা হয়। পণ্য বিক্রয়লব্ধ অর্থ ও ভর্তুকি বাবদ প্রাপ্ত অর্থের মাধ্যমে এলটিআর পরিশোধ করা হয়।
টিসিবির ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বার্ষিক পরিকল্পনায় এক লাখ ৪৪ হাজার মেট্রিক টন চিনি ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত সংস্থাটি কোনো চিনি কেনেনি।
রিয়াদ