চাল। ফাইল ছবি।
সরকারি গুদামে চালের মজুদ কমছে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব বলছে, গত দেড় মাসে মজুদ কমেছে ৪ লাখ ২৭ লাখ টন। এছাড়া, গত এক বছরে আমদানি হয়নি এক কেজি চালও। শুল্ক তুলে নেওয়ার সুপারিশের পরেও চাল আমদানিতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা। এ পরিস্থিতিতে বাজারে সব ধরনের চালের দাম বাড়ছে। টিসিবির হিসাবে, এই সময়ে গত বছরের চেয়ে সরু ও মাঝারি চালের দাম বেড়েছে প্রায় ১৫ শতাংশ।
রাজধানীর বাজারে চালের কোনো অভাব নেই। কিন্তু দাম অনেক বেশি। মোটা চালের কেজি কমপক্ষে ৫৪ টাকা, সরু চাল ৭০ টাকার ওপরে। খোলা বাজারে চাল বিক্রিরও প্রভাব পড়ছে না। টিসিবির হিসাবে, মাত্র ৭ দিনেই চালের দাম বেড়েছে প্রায় ৬ ভাগ। খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, মিল থেকেই কিনতে হচ্ছে চড়া দামে।
একজন ক্রেতা বলেন, ‘আয় রোজগার বন্ধ, এটা তো কেউ দেখেনা। সারাদেশে সরকার যা মন চায় তা করছে। আমাদের দিকে কেউ তাকায় না, আমরা সাধারণ মানুষ।’
একজন বিক্রেতা বলেন, ‘ধানের দাম বেশি যেহেতু, বেশি চাচ্ছে দাম। বেশি দিয়ে কিনতে হয়। কিন্তু মার্কেটের সাথে সমন্বয় নাই। ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে একটা ব্যবধান হয়ে গেছে।’
চাল আমদানি বাড়াতে শুল্ক পুরোপুরি তুলে নেওয়ার সুপারিশ করেছে ট্যারিফ কমিশন। তবে আমদানিকারকদের দাবি, ভারত থেকে চাল এনে পরিবহন ও অন্যান্য খরচ মিলিয়ে মুনাফা হবে না।
একজন চাল আমদানিকারক বলেন, ‘সরকার যে ডিউটিটা মওকুফ করেছে, এরপর চাল নিয়ে আসার পরে দাম হবে ৫৮ থেকে ৫৯ টাকা। আমাদের দেশের স্থানীয় চালই বিক্রি হচ্ছে ৫৬–৫৭ টাকা।’
সংকট আরও বাড়াচ্ছে সরকারি গুদামে চালের মজুদ কমে যাওয়া। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, চালের মজুত ৯ লাখ ৭৩ হাজার টন। আড়াই মাস আগে যা ছিল সাড়ে ১৪ লাখ টন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারকে চাল আমদানির তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
চালের বাজারে কারসাজি ঠেকানোর পাশাপাশি সামাজিক কর্মসূচি বাড়ানোর পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
রিয়াদ