ডলার
মালদ্বীপ থেকে রেমিট্যান্স পাঠানোর শীর্ষ পাঁচটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান প্রথম। সম্প্রতি দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ‘মালদ্বীপ মনিটারি অথরিটি’ (এমএমএ) প্রকাশিত বাৎসরিক ‘পেমেন্ট বুলেটিনে’ উঠে এসেছে এমন তথ্য।
এতে বলা হয়, গত বছর মালদ্বীপ থেকে বিদেশি কর্মীদের পাঠানো তহবিল ছিল ৭২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ২০২২ সালের তুলনায় বেড়েছে ৪০ শতাংশ। দেশটির ১৬ শতাংশ আয়প্রাপ্ত রেমিট্যান্স বাদে ৮৪ শতাংশ বিদেশি কর্মীর পাঠানো রেমিট্যান্সের মধ্যে বাংলাদেশ একাই ছিল ৫৪ শতাংশ। তারপরই রয়েছে নেপাল ১০.৬ শতাংশ, মিশর ৭.৯ শতাংশ, ফিলিপাইন ৭.৯ শতাংশ এবং ভারত ৪ শতাংশ।
মালদ্বীপে একমাত্র বাংলাদেশি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ‘ন্যাশনাল ব্যাংক মানি ট্রান্সফার লিমিটেডের’ কার্যনির্বাহী মাসুদুর রহমান জানান, “আগের তুলনায় মালদ্বীপ থেকে ৬০ শতাংশ বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠানো বেড়েছে। যদি দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় কূটনৈতিক সমঝোতার মাধ্যমে স্থানীয় মুদ্রায় রেমিট্যান্স পাঠানো যায়, তবে এই সংখ্যা তিনগুণ বাড়বে। এর ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে দেশটিতে বাংলাদেশি একটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের শাখা খোলার দাবি প্রবাসী বাংলাদেশিদের।
মালদ্বীপে ভ্রমণে আসা বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব ইতালির জ্যেষ্ঠ সহ সভাপতি আঁখি সীমা কাউসারের মতে, “প্রবাসীদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ইস্যু নিয়ে মালদ্বীপের সাথে আরো জোরালো কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনই বাংলাদেশের শ্রমবাজার সম্প্রসারণে আরো ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে। দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপের জনসংখ্যা প্রায় ৬ লাখ। এর এক চতুর্থাংশই প্রবাসী বাংলাদেশি, যা পুরো দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ। তবে এর উল্লেখযোগ্যসংখ্যক কাজ করছেন অবৈধভাবে।
চলতি বছর সীমিত পরিসরে ভিসা চালু করলেও জালিয়াতির কারণে ফের বন্ধ রয়েছে বাংলাদেশ থেকে নতুন কর্মী নিয়োগ। তার উপর প্রতিদিনই চলছে অবৈধ অভিবাসীদের ধরপাকড় অভিযান। এত সংকটে দেশটিতে প্রবাসীরা থাকলেও রেমিট্যান্সে প্রভাব পড়েনি, বরং ক্রমান্বয়ে বাড়ছে।
মালদ্বীপে একটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের শাখা স্থাপনের মাধ্যমে যেমন করে প্রবাসীদের সমস্যার সমাধান হবে, তেমনিভাবে অবৈধ হুন্ডির অপতৎপরতা বন্ধের পাশাপাশি আরও রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়বে বলে অভিমত প্রবাসীদের। দেশটিতে যে কোনো একটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের শাখা স্থাপনে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দাবি তাদের।
শহিদ