ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ কার্তিক ১৪৩১

শেয়ারবাজারে ব‌্যাং‌কের ম‌তো সরকা‌রের নী‌তি সহায়তা চায় বিএসইসি

অর্থনৈ‌তকি রি‌পোর্টার ।। 

প্রকাশিত: ১০:১৫, ৩০ অক্টোবর ২০২৪; আপডেট: ১০:১৫, ৩০ অক্টোবর ২০২৪

শেয়ারবাজারে ব‌্যাং‌কের ম‌তো সরকা‌রের নী‌তি সহায়তা চায় বিএসইসি

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি)।

পুঁজিবাজারের উন্নয়নে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি নীতি সহায়তা দিতে তিনটি বিষয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করবে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি)। এগুলো হলো- বিনিয়োগকারীর সুবিধা, বাজার মধ্যস্থতাকারীদের সমস্যার সমাধান ও বাজারের গভীরতা বৃদ্ধি। সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে পুঁজিবাজারের বিষয়ে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এসব সহায়তার আওতাভুক্ত হবেন ব্যক্তি শ্রেণির সাধারণ বিনিয়োগকারী, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, উচ্চ সম্পদশালী বিনিয়োগ ও বিদেশি বিনিয়োগকারীরা।


মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সিকিউরিটিজ কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাসেদ মাকসুদ এসব কথা বলেন।

সভায় চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন বিএসইসির কমিশনার মু. মোহসিন চৌধুরী, আলী আকবর ও ফারজানা লালারুখ, নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুল আলম ও মোহাম্মদ রেজাউল করিম।

সভায় খন্দকার রাসেদ মাকসুদ বলেন, অর্থ উপদেষ্টা দেশে ফিরেছেন। চলতি সপ্তাহের মধ্যেই উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সমন্বিতভাবে শেয়ারবাজারের উন্নয়নে নীতি সহায়তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। যার মধ্যে কিছু থাকবে স্বল্প মেয়াদে বাস্তবায়নযোগ্য, আর কিছু বিষয় মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদে বাস্তবায়ন করা হবে। যেসব নীতি পদক্ষেপের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে, বাজারে তারল্য সরবরাহ বাড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) বিনিয়োগ সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য তহবিল জোগানে সহায়তা, জরিমানার মাধ্যমে বিএসইসির আদায় করা অর্থ বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষায় কাজে লাগাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, সরকারি-বেসরকারি ভালো ও লাভজনক কোম্পানিগুলোকে দ্রুত বাজারে আনতে আইপিও আইন সংস্কার ও কর প্রণোদনার ব্যবস্থা করা, শেয়ারবাজারে লেনদেন নিষ্পত্তির সময় কমিয়ে এক দিনে নামিয়ে আনা, ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোতে যে পরিমাণ অনাদায়ি পুঞ্জীভূত ঋণাত্মক ঋণ (নেগেটিভ ইক্যুইটি) রয়েছে চূড়ান্তভাবে সেগুলোর নিষ্পত্তি করা, উচ্চ সম্পদশালী ব্যক্তিদের বিনিয়োগে উৎসাহিত করতে মূলধনি মুনাফার করহার কমানো, শেয়ার পুনঃক্রয়ব্যবস্থা চালুর বিষয়ে করণীয় নির্ধারণ, বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে ভবিষ্যতে আর কখনো ফ্লোর প্রাইস আরোপ না করা, সুশাসন ও আইনের যথাযথ পরিপালন নিশ্চিত করা।

অপূর্ব/ টুম্পা

×