ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২৭ অক্টোবর ২০২৪, ১২ কার্তিক ১৪৩১

"ভারত থেকে চাল আমদানিতে শঙ্কা: বাজারে অস্থিতিশীলতার আশঙ্কা"

প্রকাশিত: ১১:১১, ২৭ অক্টোবর ২০২৪

চাল

ভারত থেকে চাল আমদানি নিয়ে শঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে। কারণ দেশটি ন্যূনতম রপ্তানিমূল্য নির্ধারণ করেছে, যা ব্যবসায়ীদের জন্য লাভজনক নয়। এতে বাজারে অস্থিতিশীলতার আশঙ্কা দেখছেন আমদানিকারকরা।

আমদানিকারকরা জানিয়েছেন, বর্তমানে পরিস্থিতি এমন যে, চাল আমদানি করলে তাদের লাভের সম্ভাবনা নেই। এরই মধ্যে চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। তারা আশাবাদী যে ভারত থেকে চাল আমদানি হলে দাম কিছুটা কমবে।

২০ অক্টোবর, সরকার আমদানি শুল্ক ৬২.৫% থেকে কমিয়ে ২৫% করার পর ব্যবসায়ীদের মধ্যে আমদানির আগ্রহ তৈরি হয়। তবে ভারতের পক্ষ থেকে নির্ধারিত ন্যূনতম রপ্তানিমূল্য ব্যবসায়ীদের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। জানা গেছে, ভারত চালের ন্যূনতম রপ্তানিমূল্য ৪৯০ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করেছে, যা চালের দাম ৫৮ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে পড়বে। কিন্তু দেশে চালের দাম বর্তমানে ৫২ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে রয়েছে। এই কারণে ব্যবসায়ীরা আমদানিতে আগ্রহী হচ্ছেন না।

ক্রেতাদের অভিযোগ, মিল মালিকেরা ধানের দাম বৃদ্ধির অজুহাতে হঠাৎ করে চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। বিশেষ করে, হিলি এলাকায় গত সপ্তাহের মধ্যে সব ধরনের চালের দাম কেজিতে ৩ থেকে ৪ টাকা বেড়ে গেছে।

হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম প্রামানিক জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবসায়ী চাল আমদানির জন্য আবেদন করেননি। আমদানি শুরু হলে দ্রুত পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে ছাড়পত্র দেওয়া হবে।

এটি উল্লেখ্য যে, ২০২৩ সালের ৩০ মার্চের পর থেকে হিলি বন্দর দিয়ে চাল আমদানি বন্ধ রয়েছে, যা দেশের চাল বাজারের স্থিতিশীলতার ওপর প্রভাব ফেলছে।


 

তাওফিক

×