ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২১ অক্টোবর ২০২৪, ৬ কার্তিক ১৪৩১

ভাঙচুর হামলায় বেঙ্গলের উৎপাদন সক্ষমতা কমেছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার

প্রকাশিত: ০০:০৫, ২১ অক্টোবর ২০২৪; আপডেট: ০০:০৭, ২১ অক্টোবর ২০২৪

ভাঙচুর হামলায় বেঙ্গলের উৎপাদন সক্ষমতা কমেছে

বেঙ্গল গ্রুপ

দীর্ঘ ৫৫ বছরের পুরনো শিল্প প্রতিষ্ঠান বেঙ্গল গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজে হামলা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উৎপাদন ও রপ্তানি ব্যাহত হওয়ায় চাপের মুখে পড়েছে বৃহৎ এ শিল্প পরিবারের ৩২ হাজারের বিশাল কর্মীবাহিনী। উৎপাদন সক্ষমতা কমে যাওয়ায় বেঙ্গল গ্রুপের ২৮টি কারখানা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। ইউরোপ, আমেরিকা ও এশিয়ার ৬০টিরও বেশি দেশে রপ্তানি কমে যাওয়ায় কাক্সিক্ষত বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হচ্ছে না। এর চাপ পড়ছে পুরো অর্থনীতিতে।

জানা গেছে, বেঙ্গল গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের ৭টি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান যথাক্রমে- বেঙ্গল পলিমার ওয়্যারস লি., বেঙ্গল পলিমার ওয়্যারস লি. ইউনিট-২, বেঙ্গল পলি অ্যান্ড পেপার স্যাক লি., বেঙ্গল পলি অ্যান্ড পেপার স্যাক লি., ইউনিট-২, বেঙ্গল ফ্লেক্সিপ্যাক লি., রোমানিয়া ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লি., লিনাক্স ইলেকট্রনিক্স বাংলাদেশ লি. উৎপাদনকারী ও স্বনামধন্য স্থানীয় এবং রপ্তানিমুখী বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ডোমনা, কাশিমপুর, গাজীপুরে-এ অবস্থিত। 
কিন্তু বিগত ৪ ও ৫ আগস্ট রাত এবং দিনে অজ্ঞাতনামা কতিপয় দুষ্কৃতকারী ডোমনা, কাশিমপুর, গাজীপুর-এর ফ্যাক্টরিতে ভাঙচুর এবং লুটতরাজসহ নানাবিধ নাশকতা এবং অগ্নিসংযোগ করে। 
একপর্যায়ে আগুনে বেঙ্গল পলি অ্যান্ড পেপার স্যাক লি,. এবং বেঙ্গল ফ্লেক্সিপ্যাক লি., এর স্থাপনা, মেশিনারিজ, গোডাউন, গোডাউনে রক্ষিত কাঁচামাল, প্রস্তুতকৃত ও আধা-প্রস্তুতকৃত পণ্যসহ পুরোপুরি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। এছাড়া বেঙ্গল পলিমার ওয়্যারস লিঃ এর ফার্নিচার এসেমব্লিং শেড ও দুইটি গোডাউন যাতে বেঙ্গল পলিমার ওয়্যারস লিঃ ও বেঙ্গল পলিমার ওয়্যারস লিঃ (ইউনিট-২) এর কাঁচামাল,  প্রস্তুতকৃত ও আধা- প্রস্তুতকৃত পণ্য রক্ষিত ছিল তা স্থাপনাসহ (গোডাউন ও শেড) সম্পূণরূপে ভস্মীভূত হয়ে যায়।

এছাড়াও দুষ্কৃতকারীরা একই কমপ্লেক্সে অবস্থিত অন্যান্য ইউনিটে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও অনেক মূল্যবান জিনিসপত্র লুটপাট করে। অগ্নিকা-ে ১৬টি গাড়ি এর মধ্যে ১৩টি কাভার্ড ভ্যান, ২টি মাইক্রোবাস এবং ১টি প্রাইভেট কার ভাঙচুর করে।
দুষ্কৃতকারীরা অগ্নিসংযোগ করলে বেঙ্গল গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের নিজস্ব ফায়ার হাইড্রেন্ট ও অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র দিয়ে আগুন নিভানোর চেষ্টা করলে দুষ্কৃতকারীরা বারংবার বাধা প্রদান করে। ফলে আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। সাথে সাথে নিকটতস্থ ফায়ার স্টেশন-এ যোগাযোগ করলে তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। এসময়ে তারা আগুন নিভানোর কাজ শুরু করলেও অগ্নিকা-ের ভয়াবহতার দরুন পরবর্তীতে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় কাশিমপুর ফায়ার স্টেশন থেকে আরও একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে আগমন করে। একত্রে তারা আগুন নিভানোর চেষ্টা করে।

ফায়ার সার্ভিসের বিভিন্ন স্টেশন থেকে অরও ৫টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ফায়ার সার্ভিসের সকল ইউনিটের এবং বেঙ্গল গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের নিজস্ব রেসকিউ টিমের চেষ্টার ফলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ততক্ষণে বেঙ্গল পলি অ্যান্ড পেপার স্যাক লিঃ এবং বেঙ্গল ফ্লেক্সিপ্যাক লিঃ এর স্থাপনা, মেশিনারিজ, গোডাউন, গোডাউনে রক্ষিত কাঁচামাল ও প্রস্তুতকৃত ও আধা- প্রস্তুতকৃত পণ্যসহ পুরোপুরি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়।

এছাড়া বেঙ্গল পলিমার ওয়্যারস লিঃ এর ফার্নিচার এসেমবিং শেড ও দুইটি গোডাউন যাতে  বেঙ্গল পলিমার ওয়্যারস লিঃ ও বেঙ্গল পলিমার ওয়্যারস লিঃ (ইউনিট-২) এর কাঁচামাল ও প্রস্তুতকৃত ও আধা- প্রস্তুতকৃত পণ্য রক্ষিত ছিল তা স্থাপনাসহ (গোডাউন ও শেড) সম্পূর্ণরূপে ভস্মীভূত হয়ে যায়। এতে করে শিল্প গ্রুপটির উৎপাদন সক্ষমতা কমে গিয়ে অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।

×