ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ৪ কার্তিক ১৪৩১

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সম্ভাব্য পদক্ষেপ

মৃদুল কান্তি ধর

প্রকাশিত: ২১:৩৭, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সম্ভাব্য পদক্ষেপ

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সম্ভাব্য পদক্ষেপ

বর্তমানে বাংলাদেশে খাদ্যপণ্য, জ্বালানি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বেড়ে যাওয়ার ফলে জনগণের ক্রয়ক্ষমতা কমে আসছে এবং জীবনযাত্রার মানও হ্রাস পাচ্ছে। বাংলাদেশে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রধান কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে : উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি, পণ্য আমদানি এবং সরবরাহ ব্যবস্থার দুর্বলতা, কৃষি এবং শিল্প খাতে উৎপাদন খরচ যেমন : বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খরচ বৃদ্ধি, মধ্যস্বত্বভোগী ও অসাধু ব্যবসায়ীরা মুনাফা লাভের জন্য কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এই সমস্যার সমাধান করতে হলে স্বল্পমেয়াদি এবং দীর্ঘমেয়াদি কিছু কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। বিশ্বের অন্যান্য দেশ কীভাবে তাদের বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির মোকাবিলা করছে, তা থেকে শিক্ষা নিয়ে বাংলাদেশেও উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।
কিছু উল্লেখযোগ্য উদাহরণ নিচে তুলে ধরা হলো :
শ্রীলঙ্কা 
শ্রীলঙ্কা ২০২২ সালের অর্থনৈতিক সংকট থেকে বেরিয়ে আসার পর দ্রুত দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয়েছে। ২০২৩ সালে দেশটি নানাবিধ অর্থনৈতিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, যার ফলে দ্রব্যমূল্যের হার নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়েছে। বিবিসির একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শ্রীলঙ্কার সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কিছু নীতিগত পদক্ষেপের কারণে দেশটির অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। প্রবাসী আয় ও পর্যটনের মতো কিছু খাত ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ফলে উন্নতি ঘটেছে সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির। চলুন দেখি কীভাবে দেশটি এই সাফল্য অর্জন করেছে -
মুদ্রাস্ফীতি কমানো 
২০২২ সালে শ্রীলঙ্কায় মুদ্রাস্ফীতি প্রায় ৭০ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছেছিল। খাদ্য-জ্বালানি-ওষুধের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামে আক্ষরিক অর্থেই আগুন ছিল, বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছিল পুরো দেশ। সেখান থেকে মাত্র দু’বছরের মধ্যে অসাধারণ সাফল্যের সঙ্গে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করেছে দেশটির সরকার। বর্তমানে সেন্ট্রাল ব্যাংক অব শ্রীলঙ্কার দেওয়া এক প্রেস রিলিজে দেখা যাচ্ছে, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতির সূচক ঋণাত্মক শূন্য দশমিক পাঁচ শতাংশে নেমে দাঁড়িয়েছে। এই মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের পেছনে দেশের কঠোর মুদ্রানীতি ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উচ্চ সুদের হার ছিল মূল চালিকাশক্তি। সুদের হার বৃদ্ধি এবং মুদ্রাস্ফীতি কমানোর প্রচেষ্টা দেশটির অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে।
জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি ও মূল্য নির্ধারণ 
জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির কারণে শ্রীলঙ্কা জ্বালানি রেশনিং ব্যবস্থা চালু করে। সরকার জ্বালানি ও বিদ্যুতের খরচ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করেছে, যার মাধ্যমে সরাসরি মূল্যস্ফীতি কমানো সম্ভব হয়েছে। ২০২৩ সালে বিদ্যুতের মূল্য পুনর্গঠন করে এর ওপর থেকে সরাসরি চাপ হ্রাস করা হয়, যা সার্বিক দ্রব্যমূল্য কমাতে সহায়তা করে।
আইএমএফের সহায়তা 
আইএমএফের সঙ্গে ২৯০ কোটি ডলারের আর্থিক সহায়তা চুক্তি শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতায় সাহায্য করেছে। এই আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে দেশটি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ পুনর্গঠন করতে সক্ষম হয়, যা আমদানি ও পণ্য সরবরাহে ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করেছে। এর ফলে খাদ্যপণ্যের সরবরাহ উন্নত হয় এবং বাজারে চাহিদা অনুযায়ী মূল্য স্থিতিশীল হয়।
কর ও রাজস্ব নীতি সংস্কার 
শ্রীলঙ্কা সরকার কর ব্যবস্থা সংস্কার করেছে এবং রাজস্ব সংগ্রহ বৃদ্ধি করেছে, যা অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সরকারের পক্ষ থেকে খাদ্য এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পণ্যের ওপর ভর্তুকি প্রদানের মাধ্যমে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে।
পর্যটন খাতের পুনরুদ্ধার 
শ্রীলঙ্কার পর্যটন খাত ২০২৩ সাল থেকেই পুনরুদ্ধার হয়েছে, যা অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। পর্যটন থেকে আসা বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ বৃদ্ধি পায়, যা দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতায় সাহায্য করেছে এবং দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রেখেছে।
শ্রমশক্তি রপ্তানি  
শ্রমশক্তি রপ্তানি খাতে শ্রীলঙ্কা গত এক বছরে অনেক ভালো করেছে। বস্তুত গত বছর বিদেশে কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে অতীতের সব রেকর্ড অতিক্রম করে দেশটি। দক্ষ প্রবাসীরা বিদেশ থেকে রেমিটেন্স পাঠানোর কারণে গত এক বছরে দেশটির প্রবাসী আয় বাড়ে প্রায় ৭৬ শতাংশ।
শ্রীলঙ্কার এই পদক্ষেপগুলো দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে এবং দেশটির অর্থনীতিকে করেছে পুনরুজ্জীবিত।
ভারত 
কৃষকদের জন্য সরাসরি বিক্রয় নীতি
ভারতে কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য সরাসরি বাজারে আনার জন্য বিভিন্ন প্রকল্প চালু রয়েছে, যেমন :
ই-নাম (ব-ঘঅগ)। ব-ঘঅগ বা ইলেকট্রনিক ন্যাশনাল এগ্রিকালচার মার্কেট হলো ভারতের কৃষি বাজার ব্যবস্থাকে ডিজিটালকরণের একটি উদ্যোগ। এই প্লাটফর্মের মাধ্যমে ভারতের সকল কৃষি পণ্যের জন্য একটি একীভূত জাতীয় বাজার তৈরি করা হয়েছে। এটি একটি অনলাইন প্লাটফর্ম যেখানে কৃষকরা সরাসরি পাইকারি বাজারের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে, এতে মধ্যস্বত্বভোগীদের প্রভাব কমানো সম্ভব হয়। ব-ঘঅগ ভারতীয় কৃষি খাতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে। এটি কৃষকদের আয় বৃদ্ধি, অপচয় কমানো এবং বিপণন ব্যবস্থায় দক্ষতা বৃদ্ধি করেছে।  
সরকারি খাদ্য ভর্তুকি
ভারত সরকার নিম্ন আয়ের জনগণের জন্য খাদ্য ভর্তুকি কর্মসূচি গ্রহণ করেছে, যার মাধ্যমে তারা কম দামে খাদ্য সংগ্রহ করতে পারে।
ভারত সরকারের প্রধান খাদ্য ভর্তুকি কার্যক্রমগুলোর একটি হলো জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা আইন (ঘঋঝঅ)। এটি ২০১৩ সালে ভারত সরকার কর্তৃক প্রণীত একটি গুরুত্বপূর্ণ আইন, যার মূল উদ্দেশ্য হলো দেশের দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীকে সাশ্রয়ী মূল্যে খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা। এই আইনের মাধ্যমে প্রায় ৮২ কোটি মানুষকে কম দামে খাদ্যশস্য সরবরাহ করা হয়, যা ভারতের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনা, অন্ত্যোদয় অন্ন যোজনার মতো আরও কিছু খাদ্য ভর্তুকি কার্যক্রম রয়েছে যার মাধ্যমে দেশের সবচেয়ে দরিদ্র পরিবারগুলো স্বল্পমূল্যে খাদ্যশস্য পায়।
ধান ক্রয় কার্যক্রম
সরকার সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ধান কিনে নিয়ে ভা-ারে মজুত করে রাখে। এতে করে বাজারে ধানের দাম স্থিতিশীল থাকে।
যদিও অল ইন্ডিয়া কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স (সিপিআই)-এর ওপর ভিত্তি করে বার্ষিক খুচরা মূল্যস্ফীতি সেপ্টেম্বরে বেড়ে ৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ হয়েছে, যা আগস্ট থেকে ৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ বেশি। এটি ডিসেম্বর ২০২৩ সালের পর থেকে সর্বোচ্চ মুদ্রাস্ফীতির হার।
সিঙ্গাপুর
সরকারি নজরদারি এবং নীতিগত সহযোগিতা 
সিঙ্গাপুর একটি ছোট দেশ হলেও এর অর্থনীতি অত্যন্ত গতিশীল এবং উন্নত। দেশটি মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব সত্ত্বেও দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে সক্ষম হয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সিঙ্গাপুরের মূল্যস্ফীতি ২০২৩ সালে ৪ দশমিক ২ শতাংশে পৌঁছেছিল, যা তুলনামূলকভাবে বেশি হলেও ২০২৪ সালের জুন মাসে এই হার ২ দশমিক ৫শতাংশ থেকে ৩ দশমিক ৫ শতাংশে নেমে এসেছে।
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের জন্য সিঙ্গাপুর যে পদক্ষেপগুলো নিয়েছে তার মধ্যে রয়েছে-
মুদ্রানীতি
সিঙ্গাপুরের কেন্দ্রীয় ব্যাংক (গড়হবঃধৎু অঁঃযড়ৎরঃু ড়ভ ঝরহমধঢ়ড়ৎব- গঅঝ) মুদ্রার বিনিময় হার নিয়ন্ত্রণ করে মূল্যস্ফীতি সামাল দেয়। এর মূল উদ্দেশ্য হলো দীর্ঘমেয়াদে মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখা, যা আমদানি নির্ভর অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এর ফলে মূল্যস্ফীতি কমানোর জন্য মুদ্রার মান বৃদ্ধি করা হয় যাতে পণ্য ও সেবার আমদানি খরচ কমানো যায়।
সরকারি ভর্তুকি এবং নীতিগত সহায়তা
খাদ্য এবং অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে সিঙ্গাপুর সরকার বিভিন্ন ভর্তুকি এবং সহায়তা প্যাকেজ প্রদান করে। এ ছাড়া বিদ্যুৎ ও গ্যাসের ক্ষেত্রে দাম বৃদ্ধির পূর্বাভাস থাকলেও, সরকার সাধারণ জনগণের ওপর তার প্রভাব হ্রাস করতে উদ্যোগ নিচ্ছে।
কঠোর নিয়মনীতি
সিঙ্গাপুরে ভাড়া এবং আবাসন বাজারের ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। যদিও ২০২৩ সালে আবাসন খাতে ভাড়া বৃদ্ধি পেয়েছিল, সরকার এর প্রভাব সীমিত করতে উদ্যোগী ছিল, যা দীর্ঘমেয়াদে বাজারের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সহায়ক।
জাপান
কৌশলগত নীতিমালা
জাপান সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে বেশ কিছু নীতিমালা গ্রহণ করেছে, যা দেশটির অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করতে সহায়তা করেছে। ২০২৩ সালে জাপানে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি প্রায় ৪১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়, যেখানে মূল ভোক্তা মূল্যসূচক (ঈচও) ৩ দশমিক ১ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। এর মধ্যে খাদ্যদ্রব্যের মূল্য প্রায় ৮ দশমিক ২ শতাংশ এবং গৃহস্থালি সামগ্রীর মূল্য ৭ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়ে যায়। তবে জাপান সরকার এবং ব্যাংক অব জাপান (ইঙঔ) মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বেশ কিছু কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
জাপান সরকার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের জন্য ভর্তুকি, সুদের হার নিয়ন্ত্রণ এবং পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়নে জোর দিচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, জ্বালানি খাতে ব্যাপক মূল্য হ্রাস ঘটানো হয়েছে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে জ্বালানি মূল্যের পতন ১১ দশমিক ৬ শতাংশ ছিল, যা বিদ্যুৎ এবং গ্যাসের খরচকে উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করেছে।
ব্যাংক অব জাপান মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে একটি নীতিমালা চালু করেছে যা মুদ্রার অবমূল্যায়ন রোধ করে এবং সুদের হারকে স্থিতিশীল রাখে। ফলে দেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের পথে রয়েছে। এ ছাড়া সরকারের পক্ষ থেকে খাদ্যপণ্য এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর ওপর ভর্তুকি বাড়ানোরও প্রচেষ্টা চলছে, যা মূল্যস্ফীতি কমাতে সহায়ক হচ্ছে।
জাপানের এই নীতিমালাগুলো মুদ্রাস্ফীতিকে সীমিত করার পাশাপাশি দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়ায় সাহায্য করছে। 
স্বাভাবিকভাবেই, দেশের বর্তমান সরকারের প্রতি মানুষের প্রত্যাশা অনেক বেশি। তাদের প্রত্যাশাগুলোর মধ্যে একটি হলো দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ। ইতোমধ্যে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে জেলা পর্যায়ে বাজার পরিস্থিতি তদারকি ও বিশ্লেষণের জন্য একটি বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। যদিও দ্রব্যমূল্য এখনো কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণে আসেনি, যা জনগণের প্রত্যাশা পূরণে বড় একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে। বাংলাদেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে কৌশলগত পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে।

মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কঠোর বাজার পর্যবেক্ষণ ও রাজস্ব নীতি গ্রহণ করতে হবে, যাতে পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল থাকে এবং ক্রয়ক্ষমতা ধরে রাখা যায়। বাজারে মধ্যস্বত্বভোগীদের প্রভাব কমাতে সরাসরি কৃষকদের জন্য বিক্রয় কেন্দ্র স্থাপন করা যেতে পারে। সরাসরি কৃষকদের জন্য বিক্রয় কেন্দ্র স্থাপন ভারতে সফলভাবে পরিচালিত হচ্ছে, যা বাংলাদেশেও কার্যকর হতে পারে। এর ফলে কমবে মধ্যস্বত্বভোগীদের প্রভাব এবং ভেঙে যেতে পারে অবৈধ সিন্ডিকেট।

×