ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ১ কার্তিক ১৪৩১

অন্তর্বতীকালীন সরকারের আমলে 

শেয়ারবাজারে সবচেয়ে কম লেনদেন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার

প্রকাশিত: ১৬:২৬, ১৬ অক্টোবর ২০২৪; আপডেট: ১৬:৩৫, ১৬ অক্টোবর ২০২৪

শেয়ারবাজারে সবচেয়ে কম লেনদেন

শেখ হাসিনার পতনের পর নতুন সরকার গঠনের পরও শেয়ারবাজারে অস্থিরতা কাটেনি। উল্টো প্রতিদিনই শেয়ারবাজারে সূচক ও লেনদেন কমছে। রীতিমতো লেনদেনের খরা দেখা দিয়েছে উভয় শেয়ারবাজারে। শুধু তাই নয়, বুধবারও দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন কমে তিনশ কোটি টাকার নিচে চলে এসেছে। অর্থাৎ অন্তর্বতী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর শেয়ারবাজারে সবচেয়ে কম লেনদেন হয়েছে বুধবার। সেই সঙ্গে দাম কমার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান। ফলে মূল্যসূচকেরও বড় পতন হয়েছে।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) দাম কমেছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের।  বেশিরভাগ কোম্পানির দর হারানোর কারণে কমেছে মূল্যসূচক। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। এর মাধ্যমে চলতি সপ্তাহে লেনদেন হওয়া তিন কার্যদিবসেই শেয়ারবাজারে দরপতন হলো। আর শেষ ১১ কার্যদিবসের মধ্যে ৯ কার্যদিবসই পতনের মধ্যে থাকলো শেয়ারবাজার।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এর পর ৮ আগস্ট নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেয় অন্তর্র্বতী সরকার। শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর শেয়ারবাজারে উল্লম্ফন দেখা দিলেও অন্তর্বতী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর পতনের পাল্লা ভারী হয়েছে।

শেয়ারবাজারে অব্যাহত দরপতন দেখা দিলে সম্প্রতি একাধিক দিন রাস্তায় মেনে প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। বিক্ষোভ ও মানববন্ধনের পাশাপাশি নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়েও দেন একদল বিনিয়োগকারী। সেই সঙ্গে বিএসইসির চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি করেন তারা। বিনিয়োগকারীরা বিক্ষোভ করলে শেয়ারবাজার পরিস্থিতির উন্নতি হয়। এখন লেনদেন কমে ফের তলানীতে নামলো।
বুধবার ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২৯৬ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৩১৮ কোটি ৬ লাখ টাকা। সে হিসাবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন কমেছে ২১ কোটি ৭২ লাখ টাকা। অন্তর্র্বতী সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়ার পর এত কম লেনদেন ডিএসইতে আর হয়নি।

এমন লেনদেন খরা দেখা দেওয়ার পাশাপাশি দাম কমেছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে মাত্র ৫৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের স্থান হয়েছে দাম বাড়ার তালিকায়। বিপরীতে দাম কমেছে ৩০০টি প্রতিষ্ঠানের। আর ৪২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসই-এক্স আগের দিনের তুলনায় ৪৯ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৩১৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১৫ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯৪৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১২ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৮২ পয়েন্টে নেমেছে।

লেনদেন খরার বাজারে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে লাভেলো আইসক্রিমের। কোম্পানিটির ১৮ কোটি ৮৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা অগ্নি সিস্টেমের ১২ কোটি ৪৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১১ কোটি ২৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে টেকনো ড্রাগস।

 

অপূর্ব

×