শীঘ্রই নিত্যপণ্যের বাজারে সাধারণ মানুষ স্বস্তি পাবেন
শীঘ্রই নিত্যপণ্যের বাজারে সাধারণ মানুষ স্বস্তি পাবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে মূল্যস্ফীতি অফিসিয়ালি এক শতাংশ কমেছে। সামনে আরও কমবে। আপনারা স্বস্তি পাবেন, অধৈর্য হবেন না।’
এ ছাড়া মরক্কো, সৌদি আরব ও কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো) থেকে ৯০ হাজার টন সার কিনবে সরকার। স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ১০ হাজার টন মসুর ডাল কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রামের পায়েল ট্রেডিং থেকে এই মসুর ডাল কেনা হবে। সিঙ্গাপুর থেকে এক কার্গো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ৬৫৭ কোটি ১৩ লাখ ৯৩ হাজার ৯২০ টাকা দিয়ে সিঙ্গাপুরের গানভর প্রাইভেট লিমিটেড থেকে এই এলএনজি আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটি।
বুধবার সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি কমাতে একটু সময় লাগবে। আমরা কিছু সিদ্ধান্ত দিয়েছি। তেলের ওপর ডিউটি (শুল্ক) কমিয়েছি। চিনির ওপর ডিউটি কমিয়ে দেওয়া হলো। তিনি বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের অভাব হবে না। মসুর ডাল কেনার অনুমোদন দেওয়া হলো। এলএনজি আমদানি, কৃষির সার কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আপনারা স্বস্তি পাবেন।’
কতদিনের মধ্যে স্বস্তি পাওয়া যাবে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, স্বস্তি পাবেন। আপনারা অধৈর্য হবেন না। এ জিনিসটা কিন্তু অনেক কমপ্লেক্স। মনে করবেন না মূল্যস্ফীতি বেড়ে গেছে হঠাৎ করে। এটার পেছনে অনেক ফ্যাক্টর আছে। তিনি বলেন, এখানে বাজারের ফ্যাক্টর আছে। বাজারে মনিটরিংয়ের ফ্যাক্টর আছে। উৎপাদন করলেও সেটা বিপণনের ক্ষেত্রে অনেক ব্যাপার আছে। অনেক জায়গায় পুরাতন লোকজন চলে গেছে, সেখানে নতুন লোকজন আবার আসছে।
মরক্কো, সৌদি আরব ও কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো) থেকে ৯০ হাজার টন সার কিনবে সরকার। এর মধ্যে মরক্কো থেকে ৩০ হাজার টন টিএসপি, সৌদি আরব থেকে ৩০ হাজার টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া এবং কাফকো থেকে ৩০ হাজার টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানি করা হবে। এতে মোট ব্যয় হবে ৬০১ কোটি ২৩ লাখ ৬২ হাজার টাকা। উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ১০ হাজার টন মসুর ডাল কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ডাল কিনতে মোট খরচ হবে ৯৬ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।
আর প্রতিকেজি মসুর ডালের দাম ধরা হয়েছে ৯৬ টাকা ৩৯ পয়সা। এছাড়া সিঙ্গাপুর থেকে এক কার্গো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করা হবে। ৬৫৭ কোটি ১৩ লাখ ৯৩ হাজার ৯২০ টাকা দিয়ে সিঙ্গাপুরের গানভর প্রাইভেট লিমিটেড থেকে এই এলএনজি আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়।