গত বেশ কিছুদিন ধরে শেয়ারবাজারে টানা পতন চলছিল। বড় বিনিয়োগকারীদের একটি অংশের বেনিফিশারি ওনার্স (বিও) হিসাব জব্দ এবং ব্যাংক হিসাব তলবের জেরে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের আস্থা কমে যাওয়ায় শেয়ারবাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছিল। পরে নিয়ন্ত্রক সংস্থা শেয়ারবাজারে ভাল কোম্পানি তালিকাভুক্তির জন্য বৃহৎ তিনটি শিল্প গোষ্টির সঙ্গে বৈঠক করে। সামগ্রিক উদ্যোগের ফলে বুধবার চারদিনের ছুটির আগে শেয়ারবাজারে বড় উত্থান ঘটল। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে সবকটি মূল্যসূচক। পাশাপাশি লেনদেনও বেড়েছে।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। ফলে এ বাজারটিতেও মূল্যসূচকের বড় উত্থান হয়েছে। তবে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। এর মাধ্যমে টানা তিন কার্যদিবস পতনের পর শেয়ারবাজার ঊর্ধ্বমুখী হলো।
শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতেই সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার দেখা মেলে। লেনদেনের সময়জুড়ে সূচকের এই ঊর্ধ্বমুখী ধারা বজায় থাকে। এমনকি লেনদেনের শেষদিকে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা আরও বাড়ে। ফলে সূচকের বড় উত্থান দিয়েই দিনের লেনদেন শেষ হয়।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে ৩২৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের স্থান হয়েছে দাম বেড়েছে। এর বিপরীতে দাম কমেছে ৩৭টি প্রতিষ্ঠানের। আর ৩২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসই-এক্স আগের দিনের তুলনায় ৯৮ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৪২২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১৮ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ২০৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৪৫ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯৮৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
অপূর্ব/রাজু