মৌলভিত্তি কোম্পানির তালিকাভুক্তি ॥ বড় তিন শিল্পগোষ্ঠীর সঙ্গে বিএসইসির

পুঁজিবাজারের স্বার্থে ভালো মৌলভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানির তালিকাভুক্তি জরুরি। এ লক্ষ্যে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) আন্তরিকভাবে কাজ করছে। এরই ধরাবাহিকতায় দেশের অন্যতম বৃহৎ মেঘনা গ্রুপ, সিটি গ্রুপ ও পিএইচপি গ্রুপের উদ্যোক্তাদের সঙ্গে গত সোমবার আলোচনা করেছে বিএসইসি।
মঙ্গলবার নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামীতে দেশের অন্যান্য বড় শিল্প গ্রুপগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে বিএসইসি। এই প্রচেষ্টায় দেশের পুঁজিবাজারে আগামীতে ভালো মৌলভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানির তালিকাভুক্তি হবে বলে পত্যাশা করে বিএসইসি।
গত সোমবার বিএসইসির সঙ্গে মেঘনা গ্রুপ, সিটি গ্রুপ ও পিএইচপি গ্রুপের শীর্ষ উদ্যোক্তাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। রাজধানীর আগারগাঁও-এ বিএসইসি ভবনে বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত বৈঠকে বিএসইসির কমিশনার মু. মোহসিন চৌধুরী, বিএসইসি’র কমিশনার মো. আলী আকবর, বিএসইসির কমিশনার ফারজানা লালারুখ, বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম উপস্থিত ছিলেন। এ সময় মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তফা কামাল, সিটি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. হাসান এবং পিএইচপি গ্রুপের পরিচালক মোহাম্মদ আকতার পারভেজ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠিত বৈঠকে দেশের পুঁজিবাজারে ভালো মৌলভিত্তিসম্পন্ন শীর্ষস্থানীয় ও স্বনামধন্য কোম্পানি এবং গ্রুপকে তালিকাভুক্তির বিষয়ে অনুপ্রাণিত করতে দেশের অন্যতম বৃহৎ তিনটি গ্রুপের মালিকদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে বিএসইসি জানায়, পুঁজিবাজারের স্বার্থে বাজারে ভালো মৌলভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানির তালিকাভুক্তি জরুরি এবং এই লক্ষ্যে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি আন্তরিকভাবে কাজ করছে। পুঁজিবাজারের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়ন, তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে কোম্পানির ভ্যালুয়েশন, আইপিও অনুমোদন ও তালিকাভুক্তির প্রক্রিয়া সহজীকরণ ও দ্রুত সম্পাদনসহ বিভিন্ন বিষয়ে কাজ করছে কমিশন।
অনুষ্ঠিত বৈঠকে বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে এবং শিল্প-বাণিজ্য খাতে মেঘনা গ্রুপ, সিটি গ্রুপ ও পিএইচপি গ্রুপের উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। এ ছাড়াও তারা শুধু বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম শিল্পগোষ্ঠী হিসেবে সুপরিচিতই নন, তাদের অধীন রাসায়নিক, সিমেন্ট, খাদ্য ও ভোগাপনা, রিয়েল এস্টেট, বিমা, সিকিউরিটিজ, ইউটিলিটি, ইস্পাত, মুদ্রণ ও প্যাকেজিং, শিপিং, পাওয়ার ও এনার্জি তথা জ্বালানি, শেয়ার এবং সিকিউরিটিজ, গণমাধ্যম, স্বাস্থ্যসেবা, স্টিল, গ্লাস, অ্যালুমিনিয়াম, শিপ ব্রেকিং অ্যান্ড রিসাইক্লিং, টেক্সটাইল, পেট্রলিয়াম প্রোডাক্টস, কৃষিজাত পণ্য, লেদার পণ্য, ফিশারিজ ইত্যাদি বিভিন্ন খাতের প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি রয়েছে।

যা তাদের ব্যবসার ব্যাপ্তি ও ডাইভারসিফিকেশনের স্পষ্ট প্রতিফলন। তিনি আরও বলেন, এইসব বিভিন্ন খাতের গুরুত্বপূর্ণ শক্তিশালী মৌলভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানিগুলোর দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তি একদিকে যেমন দেশের পুঁজিবাজারকে আরও শক্তিশালী করবে, অন্যদিকে পুঁজিবাজারের মাধ্যমে অর্থায়নের ফলে এসব বিভিন্ন খাতের অধিকতর বিকাশের মাধ্যমে দেশের শিল্পায়ন ও উন্নয়নের গতিকে ত্বরান্বিত করার সুযোগ তৈরি হবে।