মনির-কালাম
পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারকদের একটি অংশ সম্মিলিত পরিষদের সভাপতি হয়েছেন কাজী মনিরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনীত হয়েছেন আবুল কালাম। বর্তমানে সম্মিলিত পরিষদের প্যানেল থেকে নির্বাচিতরা বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকরক সমিতির (বিজিএমইএ) নেতৃত্বে রয়েছেন। সবশেষ গত ২৪ আগস্ট এ প্যানেল থেকে নির্বাচিত এস এম মান্নান কচি বিজিএমইএ সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর পর্ষদের সদস্যদের মধ্য থেকে খন্দকার রফিকুল ইসলামকে সংগঠনের সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়। সম্মিলিত পরিষদের সবশেষ সভাপতি বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন। আর সাধারণ সম্পাদক ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম রয়েছেন আত্মগোপনে।
এমন প্রেক্ষাপটে সম্প্রতি রাজধানীর উত্তরা ক্লাবে এক মতবিনিময় সভায় মনির-কালামকে পরিষদের নেতৃত্বে আনার ঘোষণা দেন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী রেদওয়ান আহমেদ। পরিষদের নেতৃত্বে এমন সময়ে নতুন মুখ এলো, যখন বর্তমান বিজিএমইএ পর্ষদ ভেঙে দিয়ে নতুন নির্বাচনের জন্য ফোরাম প্যানেল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নিজেদের নেতা ঠিক করতে উদ্যোক্তারা সম্মিলিত পরিষদ ও ফোরাম নামে দুটি প্যানেলে ভাগ হয়ে বিজিএমইএ নির্বাচনে অংশ নেয়।
নেতৃত্বে শূন্যতা দেখা দিচ্ছে দাবি করে সম্মিলিত পরিষদ এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। রেদওয়ান আহমেদ বলেন, নতুন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্যানেলের বাকিদের মনোনীত করবেন। বর্তমান পরিষদের নেতৃত্ব কাজ করতে পারছে না। টিপু মুনশি কারাগারে আছেন, অনেকেই আত্মগোপনে আছেন। পোশাক খাতের নেতৃত্বের শূন্যতা পূরণ করবে নতুনরা।
মতবিনিময় সভায় বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস, ফারুক হাসান, বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বিএনপি নেতা জয়নুল আবেদিন ফারুক উপস্থিত ছিলেন। সাবেক সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, বিজিএমইএর বর্তমান পর্ষদ সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে ব্যবসায়িক পরিস্থিতি ঠিক রাখতে। যদিও নানা ধরনের প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে। গত সরকারের সময়ে আমরা ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আমেরিকার কাছ থেকে নিষেধাজ্ঞা আসার মতো একটা ঝুঁকির মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলাম।
আল্লাহু রহম করেছে, আমরা ওই ঝুঁকি থেকে বেঁচে গিয়েছি। ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পরে ব্যবসায়িক সংগঠনগুলোর নেতৃত্বে পরিবর্তন আসছে। তা থেকে বাদ যায়নি বিজিএমইএও। চলতি বছরের মার্চে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ২০২৪-২০২৬ সাল মেয়াদের জন্য ‘সম্মিলিত পরিষদ’ এর প্যানেল বিজয়ী হয়।