ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১

ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে অজয় বাঙ্গার ঘোষণা

সংস্কার কাজে ৩৫০ কোটি ডলার দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক

এম শাহজাহান

প্রকাশিত: ২২:৫৪, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সংস্কার কাজে ৩৫০ কোটি ডলার দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গা সাক্ষাৎ করেন

রাষ্ট্র সংস্কারে বিশ্বব্যাংকসহ উন্নয়ন সহযোগীরা আর্থিক সহায়তা দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের ‘পাশে থাকার’ ঘোষণা দিয়েছে। নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার উদ্যোগ বাস্তবায়নে সহায়তার জন্য বাংলাদেশকে সহজ শর্তে ৩৫০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক। 
নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গা এই সহায়তার ঘোষণা দেন। তিনি জানান, বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের ডিজিটালাইজেশন, তারল্যসংকট উত্তরণ, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ এবং পরিবহন খাতের সংস্কারে সহায়তার জন্য এই ঋণ দেবে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মধ্যেই এই ঋণ সহায়তা পাওয়া যাবে বলে আশা করছে সরকার। 
বিশ্বব্যাংকের পাশাপাশি বড় অঙ্কের ঋণ সহায়তা দেবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ), এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (আইএসডিবি)। এছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, জাপান, ভারত, পাকিস্তান এবং মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো অন্তর্বর্তী সরকারকে সব ধরনের সহযোগিতা ও একসঙ্গে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে। 
নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় বুধবার দুপুরে ড. ইউনূস ও বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্টের মধ্যে ঋণ সহায়তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ড. ইউনূসের দীর্ঘদিনের বন্ধু অজয় বাঙ্গা ওই সময় বলেন, বিশ্বব্যাংকের দেওয়া ঋণের মধ্যে কমপক্ষে ২০০ কোটি ডলার হবে নতুন ঋণ এবং আরও ১৫০ কোটি ডলার বিদ্যমান কর্মসূচি থেকে পুনর্ব্যবহার করা হবে। 
বাংলাদেশের ডিজিটালাইজেশন, তারল্যসংকট উত্তরণে এই ঋণ কাজে লাগবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এছাড়া  জ্বালানি ও বিদ্যুৎখাত উন্নয়ন, পরিবহন খাতের সংস্কার এবং দেশকে ডিজিটালাইজেশনে এই ঋণ বিশেষ ভূমিকা রাখতে সহায়তা করবে। আলোচনার সময় ড. ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের নেওয়া ব্যাপকভিত্তিক সংস্কার কর্মসূচির জন্য বিশ্বব্যাংকের সহায়তা চাওয়া হয়। তিনি বিশ্বব্যাংকের ঋণ কর্মসূচিতে উদ্ভাবন আনার আহ্বান জানান। 
ড. ইউনূস বলেন, দেশ পুনর্গঠনের এটি একটি বড় সুযোগ। বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট দক্ষিণ এশিয়ায় জ্বালানি খাতের সহযোগিতা এবং নেপাল ও ভুটানে উৎপাদিত জলবিদ্যুৎ কীভাবে ভারত, বাংলাদেশসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে ভাগ করা যেতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা করেন। তাদের আলোচনার সময় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান উপস্থিত ছিলেন। সম্প্রতি সচিবালয়ে বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইজারের সঙ্গে বৈঠক শেষে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছিলেন, বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে ব্যাংকিং ও অন্যান্য খাতের প্রয়োজনীয় সংস্কারে সহায়তা করবে।

ব্যাংকিং খাতে আমরা যে সংস্কার করছি তার জন্য আমরা বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে সহায়তা পাব। এছাড়া বাজেট সহায়তা, স্বাস্থ্য ও জ্বালানি খাতে সহায়তা ছাড়াও সার আমদানি, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা, বন্যা-পরবর্তী পুনর্বাসন এবং রোহিঙ্গা সহায়তাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। 
শুধু তাই নয়, সরকারের পক্ষ থেকে আমরা যেসব প্রস্তাব দিয়েছি তার সবগুলোতেই বিশ্বব্যাংক খুবই ইতিবাচক ছিল এবং তারা সুনির্দিষ্ট সাড়া দিয়েছে। তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছে যে অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে সমন্বয় করবে এবং প্রয়োজনীয় তহবিল বা সহায়তা প্রদানে কোনো দ্বিধা থাকবে না। এছাড়া সম্ভাব্য নতুন সহায়তার বিষয়ে মার্টিন রাইজার বলেন, নিশ্চিতভাবেই বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের বাজেট সহায়তা এবং স্বাস্থ্য, জ্বালানি খাতে এবং যেখানে অর্থায়ন প্রয়োজন সেখানে ঋণ সহায়তা দিয়ে যাবে। 
তিনি বলেন, বাংলাদেশে ৯০০ কোটি ডলারের বিদ্যমান প্রকল্প রয়েছে যা এখনো ছাড় দেওয়া হয়নি। এগুলোর মধ্যে অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগ এবং এই পরিমাণের কিছু আরও জরুরি প্রয়োজনের জন্য পুনরায় প্রস্তাব করতে পারি। সুতরাং মোট সহায়তার পরিমাণ আরও কিছুটা বাড়তে পারে। দেশের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সময় উল্লেখ করে মার্টিন বলেন, ব্যাংকিং খাতে অর্থনৈতিক সংস্কার এবং রাজস্ব উৎপাদনের জন্য সংস্কারের বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা তাকে অবহিত করেছেন। ঋণদানকারী সংস্থাটির সবচেয়ে বড় ক্লায়েন্টদের মধ্যে বাংলাদেশ একটি এ কথা উল্লেখ করে মার্টিন সেই সময় আরও বলেন, আমরা সেই চমৎকার অংশীদারিত্ব অব্যাহত রাখতে চাই। 
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের বৃহত্তম উন্নয়ন অংশীদার বিশ্বব্যাংক তার ৫০ বছরের অংশীদারিত্বে, আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থাকে (আইডিএ) অনুদান, সুদমুক্ত ঋণ এবং কনসেশনাল ক্রেডিটের আকারে বাংলাদেশকে তার অগ্রাধিকার উন্নয়ন মোকাবিলায় সহায়তা করার জন্য প্রায় ৪৪ বিলিয়ন ডলার অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বর্তমানে ৫২টি চলমান প্রকল্পের জন্য প্রায় ১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থায়নসহ বাংলাদেশে বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বড় আইডিএ কর্মসূচি রয়েছে। 
বিশ্বব্যাংকের ঋণ সহায়তায় বাড়বে রিজার্ভ : বিশ্বব্যাংকের ঋণ সহায়তায় বাড়বে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ। এতে করে ডলারের সংকট দূর হবে। একইসঙ্গে দেশের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। গত দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে দেশে রিজার্ভ ও ডলার সংকট চলছে। বিশ্বব্যাংকের পাশাপাশি এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি), আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ), ইসলামিক ডেভলপমেন্ট ব্যাংকসহ (আইডিবি) অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগীরা অন্তর্বর্তী সরকারের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছে।

গত ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২৪ বিলিয়ন ডলার। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (বিবি)  মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা বলেছেন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ ২৪.৩ বিলিয়ন ডলার। এটি আইএমএফের বিপিএম-৬ ক্যালকুলেশন স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী প্রায় ২০ বিলিয়ন ডলার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের বিপিএম-৬ পরিমাপ অনুযায়ী নেট রিজার্ভ হিসাব করা হয়। মোট রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি দায় বিয়োগ করলে নেট বা প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ পাওয়া যায়। রিজার্ভের পরিমাণ বাড়ছে উল্লেখ করে মুখপাত্র শিখা বলেন, রেমিটেন্স বাড়ছে বলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজর্ভ হ্রাস রোধ করা সম্ভব হচ্ছে। 
রিজার্ভে গত অর্থবছরের তুলনায় এই অর্থবছরে ৬০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আগস্ট ও জুলাই মাসের প্রবৃদ্ধি একত্রে বিবেচনা করলে এটি প্রায় ৯০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি। আন্তঃব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন সচল করা হয়েছে। ব্যাংকগুলো চাইলে নিজেরা নিজেদের মধ্যে লেনদেন করতে পারে এবং বিনিময় হার হবে বাজারভিত্তিক। তিনি বলেন, বর্তমানে ডলারের দাম ১১৮-১২০ টাকা। ব্যাংকিং চ্যানেলে ডলারের দামের সঙ্গে খোলা বাজার মূল্যের সঙ্গে পার্থক্য এখন মাত্র ১ শতাংশেরও কম। সক্রিয় আন্তঃব্যাংক লেনদেন বজায় থাকলে বৈদেশিক মুদ্রার বাজার বা ডলারের দাম স্থিতিশীল থাকবে।
এদিকে সম্প্রতি বিশ্বব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি, সাম্প্রতিক বন্যা থেকে পুনরুদ্ধার, উন্নত সেবা প্রদানের জন্য সরকারি ও আর্থিক খাত সংস্কার, একটি পরিচ্ছন্ন জ্বালানি খাত গড়ে তোলা এবং বায়ুর মান ও স্বাস্থ্যসেবা উন্নত করতে সহায়তা করবে। এছাড়া বিশ্বব্যাংক সম্প্রতি বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা ও স্বাগতিক সম্প্রদায়ের জন্য ৭০ কোটি ডলারের কর্মসূচি অনুমোদন করেছে। এছাড়া বিশ্বব্যাংকের পাশাপাশি ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (আইএসডিবি) ২০২৪-২৬ সালে তার সদস্য দেশ অংশীদারিত্ব কৌশলের (এমসিপিএস) অংশ হিসেবে আগামী তিন বছরের জন্য বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশকে প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ কোটি ডলারের সামগ্রিক সহায়তা দিতে পারে। 
এ প্রসঙ্গে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ আরও জানিয়েছেন, জেদ্দা-ভিত্তিক ঋণদানকারী সংস্থাটি দীর্ঘমেয়াদে বাংলাদেশকে সহায়তা দেবে। কারণ তারা প্রকল্পগুলোর জন্য  দেশের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ সহায়তা প্রদান করবে। এছাড়া আগামীবছরের (২০২৫) মার্চ মাস নাগাদ এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কাছ থেকে বিভিন্ন খাতে সহায়তা হিসেবে বাংলাদেশ মোট ৯০ কোটি বা মার্কিন ডলার পাবে। এরমধ্যে চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে বাজেট সহায়তার অংশ হিসেবে এডিবির কাছ থেকে পাওয়া যাবে ৪০ কোটি মার্কিন ডলার। 
এছাড়া রাষ্ট্র সংস্কারে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ড. ইউনূস সরকারের ‘পাশে আছে’ বলে জানিয়েছেন সংস্থার প্রধান নির্বাহী ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা। তিনি বলেন, আইএমএফ এ সরকারের জন্য আর্থিক সহায়তার বিষয়টি দ্রুত অগ্রাধিকার দিয়েছে। তিনি বাংলাদেশে আইএমএফের একটি মিশন পাঠিয়েছেন এবং তারা এখন ঢাকায় রয়েছে। ঢাকা সফর শেষে মিশনটি আগামী অক্টোবর মাসে আইএমএফ পরিচালনা পর্ষদের কাছে তাদের প্রতিবেদন জমা দেবে। জর্জিয়েভা বলেন, আইএমএফ পরিচালনা পর্ষদ  মিশনের  প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন ঋণ কর্মসূচি শুরু করতে পারে অথবা গতবছরের শুরুর দিকে চালু হওয়া বিদ্যমান সহায়তা কর্মসূচির আওতায় আরও ঋণ দিতে পারে। 
নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে সাধারণ পরিষদের বার্ষিক অধিবেশনের ফাঁকে মঙ্গলবার আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভার সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ প্রসঙ্গে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, দেশের বৈদেশিক লেনদেনে ভারসাম্য জোরদার করতে আইএমএফের সহায়তার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তিনি বলেন, বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখতে আইএমএফের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হবে। 
এছাড়া বাংলাদেশের বাড়তি তিন বিলিয়ন ডলারের ঋণের প্রস্তাব যাচাইয়ে আইএমএফের পাঁচ সদস্যের একটি মিশন ঢাকা সফর করছে। সংস্থার এশীয় ও প্যাসিফিক বিভাগের কর্মকর্তা ক্রিস পাপাজর্জিওর নেতৃত্বে মিশন বুধবার অর্থ  মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক করে। অর্থ বিভাগের সঙ্গে বৈঠকে মিশন সুষ্ঠুভাবে বাজেট ব্যবস্থাপনার স্বার্থে ভর্তুকি কমিয়ে আনার ওপর জোর দিয়েছে। এজন্য তারা বিদ্যুৎ, জ্বালানি তেল ও সারের মূল্য সমন্বয়ের পাশাপাশি এসব ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনায় সংস্কারের পরামর্শ দিয়েছে। একইসঙ্গে সামাজিক নিরাপত্তা খাতের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এবং বাজেটের আকার ও সুবিধাভোগী বাড়ানোর বিষয়েও আলোচনা করেছেন তারা। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করবে আইএমএফ মিশন। 
উল্লেখ্য, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংকট সামাল দিতে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নানা সংস্কারের শর্তে গতবছরের ৩০ জানুয়ারি ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন করে আইএমএফ। সম্প্রতি এ ঋণের পরিমাণ আরও ৩ বিলিয়ন বা ৩০০ কোটি টাকা ডলার বাড়িয়ে ৭৭০ কোটি ডলারে উন্নীত করার প্রস্তাব দেয় বাংলাদেশ। বাড়তি ঋণের জন্য আলাদা প্যাকেজ ঘোষণা করার কথা রয়েছে।

×