ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১

অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে অ্যামচ্যাম প্রতিনিধি দলের বৈঠক

বিনিয়োগ আকর্ষণে সহায়ক পরিবেশ তৈরির তাগিদ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২৩:০৮, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বিনিয়োগ আকর্ষণে সহায়ক পরিবেশ তৈরির তাগিদ

অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে অ্যামচ্যাম প্রতিনিধি দলের বৈঠক

দেশী-বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণে ব্যবসা-বাণিজ্যে সহায়ক পরিবেশ তৈরির ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন উদ্যোক্তারা। এক্ষেত্রে ব্যবসা-বাণিজ্য সহজীকরণে ওয়ান স্টপ সার্ভিস কার্যকর করা, দ্রুত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, বন্দরের জটিলতা দূর করা, শহরের যানজট নিয়ন্ত্রণ, ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেম আরও যুগোপযোগী করা, আমদানি-রপ্তানিতে যৌক্তিক শুল্ক ও ভ্যাট কার্যকর এবং অবকাঠামো নির্মাণের তাগিদ দেওয়া হয়েছে। 
বুধবার সচিবালয়ে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ‘আমেরিকান  চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশ’র (অ্যামচ্যাম) একটি প্রতিনিধি দল। ওই বৈঠকেই ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সহায়ক পরিবেশ তৈরির ওপর তাগিদ দেওয়া হয়।

বৈঠকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহা. সেলিম উদ্দিন, অ্যামচ্যাম সভাপতি সৈয়দ এরশাদ আহমেদ, সিটি ব্যাংক এনএ বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী  সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল, কান্ট্রি ম্যানেজার, মাস্টারকার্ড, আলা উদ্দিন আহমেদ, আমেরিকান লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির (মেটলাইফ) চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার সাব্বির আহমেদ, কান্ট্রি ম্যানেজার ভিসা বাংলাদেশ নেপাল ও ভুটানের প্রধান মির্জা সজিব রায়হান, কান্ট্রি লিডার বেক্টন ডিকিনসন বাংলাদেশ, রুবাবা দৌলা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। উদ্যোক্তা দেশের অর্থনীতি এগিয়ে নিতে দেশী-বিদেশী বিনিয়োগ বাড়ানোর ক্ষেত্রে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন। 
এ ছাড়া প্রতিনিধি দলটি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ডিফার্ড পেমেন্ট (বিলম্বিত পরিশোধ) যুগোপযোগী ও ডিজিটাল পেমেন্টের ক্ষেত্রে ক্যাশ ইনসেন্টিভ (নগদ সহায়তা) চালুর দাবি জানান। তারা মনে করেন, এর ফলে ক্যাশলেস সোসাইটি গঠন দ্রুত হবে। শুধু তাই নয়, বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে হলে চলমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরও উন্নয়ন করতে হবে। এর পাশাপাশি বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে হলে অবকাঠামো উন্নয়নের প্রয়োজন। এ বিষয়গুলো অর্থ উপদেষ্টার কাছে তুলে ধরা হয়েছে। এ সময় বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ প্রতিনিধি দলের উদ্দেশে বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্য ব্যবসা-বাণিজ্য সহজ করা। বিগত ১৬ বছরে দেশে কোনো নিয়ম-নীতি মানা হয়নি। 
এ ছাড়া ব্যাংকগুলোয় ১৮ হাজার কোটি টাকা সর্টেজ এমনিতে হয়নি। আমরা আইনশৃঙ্খলা থেকে শুরু করে প্রতিটি ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কাজ করছি। ব্যবসা-বাণিজ্যে অপ্রয়োজনীয় বাধা যা আছে তা কমাতে চাই। এ লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। যানজট প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, প্রায়ই ঢাকায় যানজট হচ্ছে, গুলশান-বনানীতেও  দেখি উল্টোপথে গাড়ি চলছে। ১৮ কোটি মানুষের জন্য তো এক কোটি ট্রাফিক পুলিশ নিয়োগ করা যাবে না। প্রয়োজন সিভিক সেন্স (নাগরিকসুলভ শিষ্টাচার বোধ) জাগ্রত করা। এ বিষয়গুলোর দিকেও নাগরিক সমাজকে খেয়াল রাখতে হবে।

×