ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১

এক দফা দাবিতে কৃষি ব্যাংকে আন্দোলন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার

প্রকাশিত: ০০:২৩, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

এক দফা দাবিতে কৃষি ব্যাংকে আন্দোলন

বৈষম্য দূর করতে এক দফা দাবিতে আন্দোলন করেছেন কৃষি ব্যাংক

বৈষম্য দূর করতে এক দফা দাবিতে আন্দোলন করেছেন কৃষি ব্যাংকের ১০ম গ্রেডের পদোন্নতি বঞ্চিত কর্মকর্তারা। শনিবার রাজধানীর মতিঝিলে কৃষি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি ও মানববন্ধনের মাধ্যমে দাবি আদায়ের এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
আন্দোলনকারীরা জানান, ৯ম গ্রেড থেকে ওপরে থাকা কর্মকর্তাদের নিয়মিত পদোন্নতি হলেও বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন দশম গ্রেডের কর্মকর্তারা। অথচ কৃষি ব্যাংকের মোট জনবলের অর্ধেকের বেশি দশম গ্রেডের কর্মকর্তা। অন্য গ্রেডের কর্মকর্তাদের বিধান অনুযায়ী ৩ বছর পরপর পদোন্নতি হলেও দশম গ্রেডের কর্মকর্তাদের পদোন্নতির জন্য অপেক্ষা করতে হয় ৭ থেকে ৮ বছর।
 বৈষম্যবিরোধী কর্মকর্তাদের দাবি, কৃষি ব্যাংকের মোট ১০ হাজার ২৭ জন জনবলের মধ্যে ৫ হাজার ২৭২ জন শুধু দশম গ্রেডের কর্মকর্তা। এই সিংহভাগ জনবলই ব্যাংকের প্রাণ। ঋণ আদায়, বিতরণ, আমানত সংগ্রহ, কিংবা প্রাত্যহিক গ্রাহক সেবা এসবের চৌদ্দআনা কাজই এই গ্রেডের কর্মকর্তারা করে থাকেন। নানা ধরনের অব্যবস্থাপনার মধ্যেও তাই প্রতিবছর বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক প্রদত্ত সব লক্ষ্যমাত্রা সন্তোষজনকভাবে অর্জন করতে সক্ষম হচ্ছে। অথচ এই গ্রেডের জনবলই সবচেয়ে বৈষম্যের শিকার।
সার্বিক বিষয়ে কৃষি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শওকত আলী বলেন, কর্মকর্তাদের দাবির বিষয়ে আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে পদক্ষেপ নেব। আগামীকাল আন্দোলনকারীদের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করব। এদিকে পদোন্নতিবঞ্চিত কর্মকর্তারা সম্প্রতি এসব দাবি নিয়ে তারা প্রধান উপদেষ্টা অর্থ উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে চিঠি দিয়েছেন।
তাদের দাগুলো হচ্ছে- ১. বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের প্রবিধানমালা, ২০০৮ অনুযায়ী যাদের ৩ বছরের বেশি হয়েছে তারা পদোন্নতি যোগ্য। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হলো ১০ম গ্রেড কর্মকর্তা ব্যতীত ৯ম গ্রেড থেকে তদূর্ধ্ব কর্মকর্তাদের পদোন্নতি যথাসময়ে নিশ্চিত করা হলেও শুধু ১০ম গ্রেডের কর্মকর্তাদের বারবার বঞ্চিত করা হয়েছে। এমতাবস্থায় সুপারনিউমারি পদ্ধতিতে পদোন্নতিযোগ্য (যাদের ৩ বছরের অধিক হয়েছে) ১০ম গ্রেডের পদোন্নতিবঞ্চিত কর্মকর্তাদের পদোন্নতি প্রদান করার জন্য দাবি জানাচ্ছি।
২. বৈষম্যমূলক কালাকানুন তথা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পদে পদোন্নতির মাধ্যমে ৫০ শতাংশ ও সরাসরি ৫০ শতাংশ নিয়োগ পদ্ধতি বাতিল করে পদোন্নতির মাধ্যমে ৭৫ শতাংশ ও সরাসরি ২৫ শতাংশ নিয়োগ প্রদান করার জন্য দাবি জানাচ্ছি।

৩. বৈষম্যমূলক ও অসামঞ্জস্যপূর্ণ অর্গানোগ্রাম সংশোধনপূর্বক সময়োপযোগী নতুন অর্গানোগ্রাম বাস্তবায়ন এর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে যেখানে অন্যান্য ব্যাংকের মতো অধিক সংখ্যক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও মুখ্য কর্মকর্তা পদ থাকবে। ৪. জুন ও ডিসেম্বর ভিত্তিক পদোন্নতিযোগ্য কর্মকর্তাদের পদোন্নতি নিশ্চিতকরণে আপনার সদয় হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

×