ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩০ ভাদ্র ১৪৩১

ভরা মৌসুমেও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে মাছের রাজা ইলিশ

ডিম চিনির দাম কমলেও বেড়েছে আলু পেঁয়াজের

অর্থনৈতিক রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২১:৫৬, ৩০ আগস্ট ২০২৪

ডিম চিনির দাম কমলেও  বেড়েছে আলু  পেঁয়াজের

.

নিত্যপণ্যের বাজারে ডিম চিনির দাম কমলেও বেড়েছে ভোজ্যতেল, আলু ও পেঁয়াজের। ভরা মৌসুমে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে মাছের রাজা ইলিশ। প্রতিকেজি (১০০০ গ্রাম) ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৮শ’ থেকে দুই হাজার টাকায়। এ ছাড়া আধা কেজি ওজনের প্রতিটি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার থেকে ১২শ’ টাকায়। অন্যান্য দেশী মাছের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। এ ছাড়া মুরগি, আটা, ডাল ও মসলাপাতির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। চাল ও সবজির দাম কিছুটা বাড়তির দিকে রয়েছে। এ ছাড়া ভারত পেঁয়াজের রপ্তানিমূল্য বাড়িয়ে দেওয়ায় বিকল্প হিসেবে পাকিস্তান, মিসর, চীন ও থাইল্যান্ড থেকে আমদানি বেড়েছে। আশা করা হচ্ছে, শীঘ্রই দেশে পেঁয়াজের দাম কমে আসবে।

শুক্রবার রাজধানীর কাওরানবাজার, ফকিরাপুল বাজার, কাপ্তান বাজার ও খিলগাঁও রেলগেট বাজার ঘুরে দেখা যায়, মাছের বাজারে ইলিশের সরবরাহ বাড়লেও দাম কমেনি। ভরা মৌসুমে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে স্বাদের মাছ ইলিশ। আধা কেজি ওজনের ইলিশ কিনতেও প্রায় হাজার টাকা ব্যয় করতে হচ্ছে। মাছ বিক্রেতারা বলছেন, বরিশাল, চাঁদপুর ও চট্টগ্রামের মোকামগুলোতে এবার বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। এ কারণে খুচরায়ও দাম বেশি। তবে সাগর ও নদীতে বেশি মাছ ধরা পড়লে দাম যে কোনো সময়ে কিছুটা কমতে পারে। বাড়তি দামে ইলিশ মাছ বিক্রি হলেও দেশী জাতের মাছের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। এ ছাড়া ব্রয়লার, সোনালি ও দেশী মুরগি আগের দামে বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ১৬৫-১৭০, সোনালি ২৬০-২৭০ এবং দেশী ৪৫০-৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। দাম কমে প্রতিহালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫২-৫৩ টাকায়। গরু ও খাসির মাংসের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

এ ছাড়া মুদিপণ্যের মধ্যে আটা, ডাল, মসলাপাতির দাম অপরিবর্তিত থাকলেও কিছুটা বেড়েছে চালের। এ ছাড়া দাম বেড়ে প্রতিলিটার পামওয়েল ১৩০-১৩৫, প্রতিকেজি আলু ৫৫-৬০ ও পেঁয়াজ ১০০-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। তবে ভারতের পাশাপাশি পাকিস্তান, মিসর, চীন ও থাইল্যান্ড থেকে আমদানি বেড়েছে পেঁয়াজের। উল্লেখ্য, দেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা প্রায় ৩০ লাখ টন। দেশীয় ফলনের বাইরে ৩০ শতাংশ চাহিদা পূরণ করত ভারত।

বন্যাসহ নানা কারণে ভারতে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় অস্থির হয়ে ওঠে দেশের বাজারও। খুচরায় পেঁয়াজের দাম ওঠে ১৪০ টাকায়। এই অবস্থায় বিকল্প উৎস পাকিস্তান, মিসর, চীন ও থাইল্যান্ড থেকে পেঁয়াজ আমদানি করছেন ব্যবসায়ীরা। এই চার দেশ থেকে জুলাই ও আগস্ট মাসে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে পাঁচ হাজার টন। ভারত ও মিয়ানমার থেকে স্থলবন্দর দিয়েও পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ীরা দুই লাখ ৭০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতিপত্র নিয়েছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সঙ্গ নিরোধ কেন্দ্র এসব পেঁয়াজ পরীক্ষা শেষে দ্রুত খালাসের অনুমতি দিচ্ছে।

 

×