ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১

রপ্তানি আয়ের হিসাবের তথ্যে বড় হেরফের

কার ভুলে গরমিল

​​​​​​​রহিম শেখ

প্রকাশিত: ২৩:০০, ৭ জুলাই ২০২৪

কার ভুলে গরমিল

.

দেশের রপ্তানির তথ্য প্রকাশ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রতিষ্ঠানের তথ্যকে উৎস হিসেবে দেখিয়ে রপ্তানি আয়ের তথ্য বিভিন্ন প্রতিবেদনে প্রকাশ করে আসছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংক গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল দেশের বৈদেশিক লেনদেন ভারসাম্যের (বিওপি- ব্যালেন্স অব পেমেন্ট) তথ্য প্রকাশ করলে রপ্তানির তথ্যে বড় ধরনের গরমিল দেখা দেয়। হিসাব পদ্ধতি সংশোধন করে রপ্তানি আয় থেকে ১৩ দশমিক ৮০ বিলিয়ন বা হাজার ৩৮০ কোটি ডলার বাদ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সংশোধনের মাধ্যমে রপ্তানি আয় কমে আসায় দেশের জিডিপির আকার, প্রবৃদ্ধি, মাথাপিছু আয়সহ এসব সূচকে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এজন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ওপর দায় চাপিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নিয়ে অর্থ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠিও দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এদিকে অর্থবছর শেষ হলেও এখনো রপ্তানি আয়ের চূড়ান্ত হিসাব প্রকাশ করেনি কোনো সরকারি সংস্থা। নিয়ে নতুন কোনো তথ্যও দেওয়া হচ্ছে না।

কবে তা জানা যাবে সেটিও কেউ বলছেন না। তবে রপ্তানি আয়ের হিসাবে যে গরমিল দেখা দিয়েছে তার একটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। তিনি রবিবার এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ইপিজেড) থেকে যে পরিমাণ পণ্য রপ্তানি হয়েছে তা ডবল কাউন্ট (দুবার গণনা করা বা দুবার যোগ করা) করায় তথ্যে গরমিল হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) সরকারের লেনদেন ভারসাম্যের সামগ্রিক তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে সময়ে রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ছিল ৩৩ দশমিক ৬৭ বিলিয়ন ডলার। একই সময়ে ইপিবির তথ্য অনুযায়ী রপ্তানি হয় ৪৭ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। হিসাব পদ্ধতি সংশোধন করে রপ্তানি আয় থেকে ১৩ দশমিক ৮০ বিলিয়ন বা হাজার ৩৮০ কোটি ডলার বাদ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। জিডিপির আকার, প্রবৃদ্ধি, মাথাপিছু আয়সহ অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ সূচকগুলো পরিমাপের অন্যতম অনুষঙ্গ হলো রপ্তানি আয়ের তথ্য। সংশোধনের মাধ্যমে রপ্তানি আয় কমে আসায় দেশের জিডিপির আকার, প্রবৃদ্ধি, মাথাপিছু আয়সহ এসব সূচকে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্যমতে, দেশের জিডিপিতে রপ্তানি আয়ের উল্লেখযোগ্য মাত্রায় প্রভাব রয়েছে। ফলে এতে রপ্তানি আয় হ্রাসের উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়তে যাচ্ছে। বিশেষ করে ব্যয়ভিত্তিক জিডিপি হিসাবের সময় রপ্তানি আয় থেকে আমদানি ব্যয় বাদ দিয়ে রিসোর্স ব্যালেন্স হিসাব করা হয়ে থাকে। এখন রপ্তানি আয় কমে যাওয়ায় রিসোর্স ব্যালেন্সের পরিমাণ আরও বাড়বে। এতে মোট দেশজ ব্যয় জিডিপির মধ্যে ব্যবধান বাড়বে এবং এর প্রভাবে পরিসংখ্যানগত ফারাকও বাড়তে যাচ্ছে।

বিবিএসের কর্মকর্তারা বলছেন, রপ্তানি আয়ের পরিসংখ্যানে পরিবর্তনের বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হলে সংস্থাটি নিয়ে কাজ শুরু করবে। ব্যয়ভিত্তিক জিডিপি হিসাবের সময়ও এতে রপ্তানি আয়ের তথ্য বদলের প্রভাব পড়বে। বেড়ে যাবে পরিসংখ্যানগত ফারাক। তাছাড়া বৈদেশিক বাণিজ্য পরিসংখ্যানেও পরিবর্তন আসবে। তবে রপ্তানি আয়ের হিসাবের এমন ব্যবধান নিয়ে ইপিবির দেওয়া রপ্তানি তথ্যে এর আগেও ২০০৮-০৯ অর্থবছর আপত্তি জানিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। তখন বাংলাদেশ ব্যাংকের এক নির্বাহী পরিচালকের নেতৃত্বে একটি কমিটিও করেছিল। সেই কমিটির সুপারিশ ছিল, প্রকৃত রপ্তানির তথ্য হিসাব করে রপ্তানি আয় নির্ধারণ করার। কিন্তু পরে তা বাস্তবায়ন হয়নি। সেই থেকে ধীরে ধীরে রপ্তানি আয়ের ব্যবধান বেড়েছে। পণ্য রপ্তানির পর আয় দেশে আনতে ১৮০ দিন সময় পান উদ্যোক্তারা। তাতে কিছু অর্থ বিদেশে থাকার তথ্য থাকে হিসাব-নিকাশে। এর পরিমাণ সাধারণত - বিলয়ন ডলার হয়। তবে গত কয়েক বছর থেকে ব্যবধান বড় হলে রপ্তানির পরিমাণ এবং রপ্তানিকারকদের দেশে অর্থ না আসার বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন অর্থনীতিবিদ গবেষকরা। রপ্তানির আড়ালে অর্থপাচার নিয়ে যেমন আলোচনা-সমালোচনা হয় তেমনি বাংলাদেশ ব্যাংক বারবার তাগাদা দিলেও ডলার সংকটের সময় উদ্যোক্তারা কেন রপ্তানি আয় দেশে আনছেন না তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে বারবার। বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, দেশের সীমান্ত পার হয়ে স্থল, জল আকাশপথে যে পণ্য সেবা বিদেশে যাবে সেই পরিমাণকে প্রকৃত রপ্তানি ধরবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর বিপরীতে চুক্তি অনুযায়ী যে অর্থ আসার কথা তাই রপ্তানি আয় হিসেবে গণ্য করা হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে রপ্তানি আদেশের পর দেশের অভ্যন্তরে বৈদেশিক মুদ্রায় কোনো লেনদেন হলেও তা চূড়ান্ত রপ্তানি হিসাবে যোগ হবে না।

অন্যদিকে  তৈরি পোশাক খাতসহ বিভিন্ন খাতের নমুনা (স্যাম্পল) বিদেশে পাঠানো হয়। পাঠানোর সময় তাতে শুল্ক দেওয়ায় এটিকেও রপ্তানি দেখাচ্ছে ইপিবি। তৃতীয় কোনো দেশে রপ্তানির জন্য অর্থাৎ যে পণ্য দেশের অভ্যন্তরে ব্যবহৃত হবে না শুধু বন্দর হয়ে অন্য কোনো দেশে চলে যাবে-এমন পণ্যও রপ্তানি হিসাবে যোগ হচ্ছে। অন্যদিকে রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক খাতের জন্য সুতা কাপড় তৈরি করে বস্ত্র কারখানাগুলো। এসবের কাঁচামাল হিসেবে সুতা আমদানি করা হয়। শুধু রপ্তানিমুখী শিল্পে সরবরাহ করায় তারা ক্রেতাদের থেকে বিদেশী মুদ্রায় বিক্রয় মূল্য নেয়। বৈদেশিক মুদ্রায় (স্থানীয় এলসি) দেশের অভ্যন্তরে এমন লেনদেন হওয়ায় এটিকে প্রচ্ছন্ন রপ্তানি (ডিম এক্সপোর্ট) ধরা হয়। এটি রপ্তানি প্রণোদনা পাওয়ায় ইপিবি মোট রপ্তানিতে তথ্য যোগ করছে।

বিষয়টি ব্যাখ্যা করে নাম প্রকাশ না করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, কোনো রপ্তানিকারক বিদেশ থেকে ১০০ ডলারের পণ্য রপ্তানির আদেশ (এলসি) পেলেন। তিনি এর বিপরীতে ৫০ ডলারের কাঁচামাল নিলেন অভ্যন্তরীণ কোনো কোম্পানি থেকে। দেশী কোম্পানি কাঁচামাল আমদানি তাতে মূল্য সংযোজন করে রপ্তানিকারক কোম্পানির কাছে বিক্রি করলেন। যেহেতু কাঁচামাল আমদানি করতে হয় তাই পুরো অর্থ সরবরাহকারী কোম্পানি বিদেশী মুদ্রায় নিলেন, এটিই ডিম এক্সপোর্ট। রপ্তানিকারক কিন্তু পণ্য রপ্তানির পরে ১০০ ডলারই পাবেন বিদেশী ক্রেতার কাছ থেকে। এর চেয়ে বেশি অর্থ দেশে আসবে না। রপ্তানিকারক দেশে আসা ১০০ ডলারের মধ্যে থেকেই কাঁচামাল সরবরাহকারীকে ৫০ ডলার পরিশোধ করবেন। বাংলাদেশ ব্যাংক পদ্ধতিতেই হিসাব করবে।

গত বৃহস্পতিবার অর্থ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক চিঠিতে বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, নতুন হিসাব পদ্ধতিতে রপ্তানি আয় কমে যাওয়ায় দেশের বিভিন্ন আর্থিক পরিসংখ্যান ওলটপালট হয়ে পড়েছে। রপ্তানি কমে যাওয়ায় চলতি হিসাব উদ্বৃত্ত থেকে ঘাটতিতে পড়েছে। আর রপ্তানির বিপরীতে প্রত্যাবাসিত অর্থ আসার লক্ষ্য কমে যাওয়ায় আর্থিক হিসাব ঘাটতি থেকে উদ্বৃত্তে ফিরে গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল থেকে দেশের অভ্যন্তরে বিক্রয়কে রপ্তানি হিসেবে এবং এসব পণ্য আবার বিদেশে রপ্তানির সময় হিসাব করা হয়েছে। সাধারণত পণ্য রপ্তানির সময় রপ্তানির প্রাথমিক ঋণপত্র মূল্য থেকে কিছুটা কম হয়ে থাকে, যা ইপিবি সমন্বয় করে না। ছাড়া স্টকলট, ডিসকাউন্ট এবং কমিশনের কারণে ক্ষয়ক্ষতি ইপিবি কর্তৃক সমন্বয় করা হয় না। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চিঠিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের সব ব্যাংক, ইপিবি, এনবিআরসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে আমদানি ব্যয়, রপ্তানি আয়, অদৃশ্য ব্যয়, অদৃশ্য আয়, রেমিটেন্সের তথ্য মাসিক ভিত্তিতে সংগ্রহ করে লেনদেন ভারসাম্যের বিবরণী প্রস্তুত করে থাকে। সাম্প্রতিককালে রপ্তানির বিপরীতে প্রত্যাবাসিত অর্থ আসা কমে যাওয়ায় ট্রেড ক্রেডিট উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা মূলত রপ্তানি (শিপমেন্ট) প্রকৃত রপ্তানি আয়ের ব্যবধানের কারণে হয়ে থাকে।

জানা গেছে, সরকারি প্রতিষ্ঠানের তথ্যের সমন্বয়হীনতা নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশের পর গত বৃহস্পতিবার ইপিবির শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটো। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, এখন থেকে একক কোনো সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে ইপিবি আর রপ্তানির তথ্য প্রকাশ করবে না। সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের তথ্য সংগ্রহ যাচাই-বাছাইয়ের পর প্রকৃত রপ্তানির তথ্য প্রকাশ করা হবে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাই থেকে উদ্যোগ নেওয়া হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অর্থনীতির বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ‘ডবল কাউন্টিংবা দুইবার গণনা হওয়ায় বেড়ে যাচ্ছে রপ্তানি আয়ের হিসাব। ডবল কাউন্টিং হচ্ছে স্যাম্পল, তৃতীয় দেশে যাওয়া পণ্য, ডিম এক্সপোর্ট, সীমান্ত পার হওয়া চূড়ান্ত রপ্তানি, রপ্তানির জন্য আসা পণ্য ব্যবহৃত না হলে পুনরায় ফেরত পাঠানোর তথ্য যোগ হওয়ার কারণে। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো . মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এটা কেবল রপ্তানির ক্ষেত্রেই নয়, আমাদের খাদ্যশস্য উৎপাদন থেকে শুরু করে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্তের ক্ষেত্রেও রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলোর তথ্যে মিল নেই। এর মধ্য দিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা সমন্বয়হীনতা এবং দক্ষতার অভাব স্পষ্ট হয়। ফলে নীতিনির্ধারকদের সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা হয়। আর ভুল তথ্যের ওপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নিলে সেই সিদ্ধান্তও ভুল হয়। পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, আইএমএফের চাপে দেরিতে হলেও সংস্থাগুলো সঠিক তথ্য প্রকাশ করা শুরু করেছে। এটা ভালো দিক। ফলে রপ্তানির হিসাব যত বড় করে দেখানো হতো, আসলে রপ্তানি এত বেশি নয়। রপ্তানির হিসাব বেশি দেখানোর কারণেই চলতি হিসাব উদ্বৃত্ত আসত। অর্থনীতিবিদদের পাশাপাশি রপ্তানিকারকরাও নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, এটি নিছক কোনো ভুল নয়, এটা একটা ষড়যন্ত্র। ষড়যন্ত্র করে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে রপ্তানি বেশি দেখিয়ে এই খাতের রপ্তানি সহায়তা কমানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ দপ্তরের দায়িত্বে থাকা নেতৃত্ব জেনে-বুঝে রাজনৈতিক নেতৃত্বকে খুশি করতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-উপাত্তগুলো ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে দেখিয়েছে। ভুল জেনেও রাজনৈতিক নেতৃত্ব এসব পরিসংখ্যান ব্যবহার করেছে তাদের রাজনৈতিক সুবিধা আদায়ে।

দুবার গণনায় গরমিল বলছেন সালমান এফ রহমান রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ইপিজেড) থেকে যে পরিমাণ পণ্য রপ্তানি হয়েছে তা ডবল কাউন্ট (দুবার গণনা করা বা দুবার যোগ করা) করায় তথ্যে গরমিল হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। রবিবার রাজধানীর একটি হোটেলে ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স (আইসিসি), বাংলাদেশ আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি কথা বলেন। সালমান এফ রহমান বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাজই হচ্ছে, যারা বেশি রাজস্ব দেয় তাদের ওপর আরও ট্যাক্সের বোঝা চাপানো। এখান থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। এনবিআরকে ডিজিটালাইজড করা গেলে প্রবণতা কমবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে ইপিবির সমন্বয়েরও অভাব রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইপিজেড থেকে যে পরিমাণ পণ্য রপ্তানি হয়েছে, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) তা ডবল গণনা করায় রপ্তানি আয়ের তথ্যে গরমিল হয়েছে।

×