ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০২ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১

নিত্যপণ্যের বাজার

পেঁয়াজের সেঞ্চুরি আলু ও চালের দাম বাড়তি

​​​​​​​অর্থনৈতিক রিপোর্টর

প্রকাশিত: ২২:০৩, ২৮ জুন ২০২৪

পেঁয়াজের সেঞ্চুরি  আলু ও চালের  দাম বাড়তি

.

দাম বেড়ে নিত্যপণ্যের বাজারে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। ছাড়া শাক-সবজি, আলু চালের দাম বাড়তির দিকে রয়েছে। তবে কোরবানি ঈদের পর চাহিদা কমায় দাম কমেছে মুরগির। আটা, ডাল, চিনি, ডিম ভোজ্যতেলের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বাজারে ইলিশ মাছের সরবরাহ বাড়লেও দাম কমেনি। শুক্রবার রাজধানীর কাওরান বাজার, মোহাম্মদপুর টাউন হল মার্কেট, কৃষি মার্কেট, রায়ের বাজার সিটি করপোরেশন মার্কেট এবং নিউমার্কেট কাঁচাবাজার থেকে নিত্যপণ্যের দরদামের এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

কোরবানি ঈদের আগে থেকেই দাম কিছুটা বেড়েছে পেঁয়াজের। এবার দাম শতক ছুঁয়েছে। মানভেদে প্রতিকেজি পেঁয়াজ খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৯৫-১০০ টাকায়। দাম আরও বাড়ার আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। ভারত থেকে আমদানি অব্যাহত থাকলেও দাম বাড়ায় কিছুটা উদ্বেগ রয়েছে সাধারণ ভোক্তাদের। তাদের মতে, বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়িয়ে দাম নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখতে হবে। অন্যথায় অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট দাম আরও বাড়িয়ে বাজার অস্থির করে তুলতে পারে। প্রসঙ্গে কাওরান বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মোসলেম উদ্দিন বলেন, কোরবানি ঈদের পর মোকামে পেঁয়াজের দাম বাড়ায় খুচরা বাজারেও প্রভাব পড়েছে। সহসাই দাম কমবে ধরনের কোনো আভাস পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি বলেন, আমদানিকৃত পেঁয়াজের দাম বেশি। সাধারণত ভারতীয় পেঁয়াজের দাম দেশী পেঁয়াজের চেয়ে সবসময় কম থাকে। কিন্তু এবছর দেশীটির চেয়ে ভারতের পেঁয়াজের দাম বেশি। ভারত রপ্তানি মূল্য বাড়ানোর ফলে দেশে পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেছে। তিনি জানান, দাম বাড়লেও পেঁয়াজের কোনো সংকট নেই।

ছাড়া দাম বেড়ে প্রতিকেজি আলু ৬০-৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বরবটির মতো বেগুন, করলা, গাজর, টমেটো, শসা, আলু, কচুর মুখির দাম বেড়েছে। অতিবৃষ্টি দেশের কোথাও কোথাও বন্যা দেখা  দেওয়ায় সবজির উৎপাদন কমে গেছে। কারণে সবজির দাম বাড়তি। ব্যবসায়ীরা বলছেন, মৌসুম না

থাকায় এখন শসা, বেগুন, টমেটোর দাম বাড়তি। কাঁচামরিচের এখন মৌসুম হলেও খরায় অনেক এলাকায় গাছ মরে গেছে, সে জন্য উৎপাদন কম। দেশী গাজরের মৌসুম শেষের পথে।

তবে ভারত থেকে আমদানি অব্যাহত থাকায় কাঁচামরিচের দাম কমেছে। প্রতিকেজি কাঁচামরিচ মানভেদে ২৩০-২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তায় প্রতিকেজি কাঁচামরিচ খুচরা বাজারে ৪০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। বাড়তির দিকে রয়েছে চালের দাম। সরু চাল ৬৮-৮০, মাঝারি মানের পাইজাম লতা ৫৫-৬০ এবং স্বর্ণা চায়না ইরি ৪৮-৫৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কোরবানির পর চাহিদা কমেছে মুরগির দাম। দাম কমে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ১৭০-১৮০, সোনালি ৩২০-৩৪০, দেশি মুরগি ৫৫০-৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। গরু  খাসির মাংসের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ছাড়া বাজারে মাছের সরবরাহ বাড়লেও দাম কমেনি। প্রতিডজন ফার্মের ডিম ১৫৫-১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে।

×