ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১

জুয়েলারি শিল্প-শেষ পর্ব

স্বর্ণ নীতিমালা শুধু কাগজেই

রহিম শেখ

প্রকাশিত: ২২:৪৪, ২৭ জুন ২০২৪

স্বর্ণ নীতিমালা শুধু কাগজেই

জুয়েলারি শিল্প

তৈরি পোশাক শিল্পের মতো জুয়েলারি শিল্প একটি অন্যতম সম্ভাবনাময় খাত। দেশের অন্যতম টেকসই রপ্তানি খাত হিসেবে জুয়েলারি শিল্পের সক্ষমতা দিন দিন তৈরি হচ্ছে। তবে সঠিক নীতিমালার অভাবে রপ্তানি হচ্ছে না স্বর্ণালঙ্কার। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে এক ভরি স্বর্ণের অলঙ্কারে ৩ শতাংশ ভ্যাট দিতে হয়। কিন্তু বাংলাদেশে এই ভ্যাটহার ৫ শতাংশ। এ ছাড়া বর্তমানে স্বর্ণের কাঁচামাল আমদানিতে বিদ্যমান রয়েছে সর্বোচ্চ ৬০ শতাংশ শুল্ক।

এ ছাড়া আকরিক সোনা আমদানিতে আরোপ করা হয়েছে সম্পূরক শুল্ক (সিডি) ৫ শতাংশ। আংশিক পরিশোধিত সোনার ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ শুল্কহার বিদ্যমান রয়েছে। যা অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি। এ কারণে প্রাথমিক উৎপাদন ব্যয়ও বাংলাদেশে বেশি হচ্ছে। কাঁচামাল আমদানির ক্ষেত্রে রেয়াতসহ বিভিন্ন প্রকারের প্রণোদনামূলক বিশেষ সহায়তা স্বর্ণ নীতিমালায় উল্লেখ থাকলেও বাস্তবে এর প্রতিফেলন নেই। এতে বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে জানান স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা। স্বর্ণ নীতিমালা আরও যুগোপযোগী করার দাবি জানিয়েছেন খাত সংশ্লিষ্টরা। একই সঙ্গে চোরাচালান বন্ধে আরও কঠোর আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়েছেন।
জানা গেছে, দেশে স্বর্ণের বাণিজ্যিক ব্যবহার বৃদ্ধির পাশাপাশি রপ্তানির লক্ষ্যে স্বর্ণ আমদানি প্রক্রিয়া সহজ করা, আমদানি ও পরবর্তী বাণিজ্যিক প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা, স্বর্ণালঙ্কার রপ্তানিতে নীতি সহায়তা দেওয়ার মাধ্যমে এ খাতের বিকাশের লক্ষ্যে একটি সহায়ক পরিবেশ তৈরি করতে ২০১৮ সালে দেশে স্বর্ণ নীতিমালা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। ওই বছর অক্টোবরে মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদন পাওয়ার পর ‘স্বর্ণ নীতিমালা-২০১৮’ কার্যকর করা হয়।

এরপর সোনা আমদানির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক একটি গাইডলাইন তৈরি করে এবং ১৮টি প্রতিষ্ঠান এবং একটি ব্যাংককে অনুমোদিত ‘গোল্ড ডিলার’ হিসেবে লাইসেন্স দেয়। এসব অনুমোদিত গোল্ড ডিলাররাই স্বর্ণের বার এবং স্বর্ণালঙ্কার আমদানি করতে পারেন। ওই নীতিমালায় স্বর্ণের বার এবং স্বর্ণালঙ্কার আমদানির সুযোগ থাকলেও অপরিশোধিত স্বর্ণ আকরিক বা আংশিক পরিশোধিত স্বর্ণ আমদানির বিষয়ে কিছু ছিল না। কিন্তু রপ্তানি করতে চাইলে অবশ্যই নিজস্ব শোধনাগার থাকতে হয়।

সে কারণে ২০২১ সালের ১৭ মে ‘স্বর্ণ নীতিমালা-২০১৮ (সংশোধিত-২০২১)’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। নীতিমালা সংশোধন করে অপরিশোধিত স্বর্ণ আকরিক, আংশিক পরিশোধিত স্বর্ণ আমদানি এবং শোধনাগার স্থাপনের পথ তৈরি করা হয়। স্বর্ণ নীতিমালায় দেশীয় বাজারের পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের রপ্তানির সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী, রপ্তানিতে ইচ্ছুক ব্যবসায়ীদের বিনা শুল্কে স্বর্ণের ব্যবহার অথবা শুল্ক প্রত্যর্পণের আওতায় সুবিধাদি প্রদান করতে হবে। তাদের আর্থিক প্রণোদনা দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। কিন্তু এসব সুবিধা এখনো পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা। 
স্বর্ণ নীতিমালার উদ্দেশ্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘স্বর্ণালঙ্কার, স্বর্ণবার, স্বর্ণ কয়েন রপ্তানিতে উৎসাহ এবং নীতি সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে রপ্তানি বৃদ্ধি করা হবে; স্বর্ণালঙ্কার, স্বর্ণবার, স্বর্ণ কয়েন রপ্তানির ক্ষেত্রে বিদ্যমান শুল্ক/বন্ড সুবিধা যৌক্তিকীকরণ ও সহজীকরণ করা হবে।’ কিন্তু এসব বিষয়ে এখনো সরকারি ঘোষণা আসেনি বলে জানান সোনা ব্যবসায়ীরা। বর্তমানে স্বর্ণের কাঁচামাল আমদানিতে বিদ্যমান রয়েছে সর্বোচ্চ ৬০ শতাংশ শুল্ক। এ ছাড়া আকরিক সোনা আমদানিতে আরোপ করা হয়েছে সম্পূরক শুল্ক (সিডি) ৫ শতাংশ। আংশিক পরিশোধিত সোনার ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ শুল্কহার বিদ্যমান রয়েছে।
স্বর্ণ রপ্তানিতে কী কী প্রণোদনা ও বিশেষ সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে সেগুলোও উল্লেখ করা হয়েছে, স্বর্ণ নীতিমালায়। নীতিমালার ৯.৩ ধারায় উল্লেখ করা হয়, ‘বৈধভাবে স্বর্ণালঙ্কার, স্বর্ণবার, স্বর্ণ কয়েন রপ্তানি উৎসাহিত করতে রপ্তানিকারকদের স্বর্ণালঙ্কার, স্বর্ণবার, স্বর্ণ কয়েন তৈরির কাঁচামাল আমদানির ক্ষেত্রে রেয়াতসহ বিভিন্ন প্রকারের প্রণোদনামূলক বিশেষ সহায়তা প্রদান করা হবে।’ অথচ স্বর্ণ পরিশোধনাগারের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির শুল্ক কর নেওয়া হচ্ছে ৩০ থেকে ৬০ শতাংশ, যা অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি।

এ কারণে প্রাথমিক উৎপাদন ব্যয়ও বাংলাদেশে বেশি হচ্ছে। এতে বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে জানান স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা। নীতিমালার ৯.৩ ধারায় উল্লেখ করা হয়েছে, ‘স্বর্ণালঙ্কার রপ্তানির উদ্দেশ্যে আমদানিকৃত স্বর্ণের ক্ষেত্রে ডিউটি ড্র-ব্যাক সুবিধা প্রদান করা হবে।’ ৯.৫ ধারায় উল্লেখ করা হয়েছে, ‘রপ্তানির জন্য প্রস্তুতকৃত স্বর্ণালঙ্কার, স্বর্ণবার, স্বর্ণ কয়েন এ আন্তর্জাতিকভাবে অনুমোদনযোগ্য ধাতু অবচয়ের পরিসীমা প্রতিপালন করতে হবে।’ ৯.৭ ধারায় উল্লেখ করা হয়েছে, ‘স্বর্ণালঙ্কার, স্বর্ণবার, স্বর্ণ কয়েন রপ্তানির ক্ষেত্রে বন্ডেড ওয়্যারহাউজিং সুবিধা দেওয়া হবে।’

৯.৮ ধারায় উল্লেখ করা হয়েছে, ‘হস্তনির্মিত ও মেশিনে তৈরি অলঙ্কার রপ্তানির ক্ষেত্রে বিশেষ প্রণোদনা সুবিধা প্রদান করা হবে।’ এসব সুপারিশ থাকলেও তা কবে নাগাদ বাস্তবায়ন হবে, তার সুনির্দিষ্ট কিছু নীতিমালায় বলা নেই। স্বর্ণ নীতিমালার ৯.৯ ধারায় উল্লেখ করা হয়েছে, ‘স্বর্ণালঙ্কার রপ্তানিকারকগণের অনুকূলে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে জমি বরাদ্দ বিষয়ে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ বিশেষভাবে বিবেচনা করবে।’ কিন্তু বারবার আশ্বাস দিলেও এখনো জমি বরাদ্দ দেয়নি সরকার।
৯.১১ ধারায় উল্লেখ করা হয়েছে, ‘রপ্তানি নীতিতে বিশেষ উন্নয়নমূলক ও রপ্তানিমুখী শিল্পখাতের অনুকূলে প্রদত্ত সকল সুযোগসুবিধা স্বর্ণালঙ্কার, স্বর্ণবার, স্বর্ণ কয়েন রপ্তানির ক্ষেত্রে প্রদানের সুপারিশ প্রেরণ করা হবে।’
অথচ এ ধরনের কোনো সরকারি উদ্যোগ এখন পর্যন্ত চোখে পড়েনি। স্বর্ণের কাঁচামাল ও মেশিনারিজ আমদানির ক্ষেত্রে সব ধরনের শুল্ক কর অব্যাহতি প্রদানসহ ১০ বছরের জন্য কর অবকাশ বা ট্যাক্স হলিডে প্রদানের প্রস্তাব বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) দিয়ে আসলেও তা এখন পর্যন্ত আমলে নেয়নি সরকার।
স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা জানান, তৈরি পোশাকসহ কয়েকটি খাতের পণ্য রপ্তানিতে প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। কিন্তু স্বর্ণালঙ্কার রপ্তানিতে কোনো প্রণোদনা নেই। এ ছাড়া ডিলারশিপ লাইসেন্স দেওয়া হলেও শুল্ক কর দিয়ে স্বর্ণ আমদানিতে আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে অবৈধভাবে বেশি আমদানি হচ্ছে।
এই প্রসঙ্গে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা রহমতুল মুনিম বলেন, ‘সোনা আমদানিতে সরকার নীতিগত সহায়তা দিলেও কোনো কাজে আসেনি। সেখানে অনেক অদেখা বিষয় আছে এবং লেনদেন ও বিক্রিতে স্বচ্ছতা আসেনি। কোন কোন খাতে সহায়তা দিলে স্থানীয় উৎপাদন বাড়বে এবং পরনির্ভরশীলতা কমে আসবে- সে বিষয়ে আমরা কাজ করছি।’
বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন সাবেক সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, তৈরি পোশাক শিল্পের মতো জুয়েলারি শিল্প একটি অন্যতম সম্ভাবনাময় খাত। দেশের অন্যতম টেকসই রপ্তানি খাত হিসেবে জুয়েলারি শিল্পের সক্ষমতা দিন দিন তৈরি হচ্ছে। তবে সঠিক নীতিমালার অভাবে রপ্তানি হচ্ছে না স্বর্ণালঙ্কার। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে এক ভরি স্বর্ণের অলঙ্কারে ৩ শতাংশ ভ্যাট দিতে হয়।

বাংলাদেশেও এটা  কমিয়ে ৩ শতাংশ ভ্যাট নির্ধারণ করা দরকার। তিনি বলেন, স্বর্ণ ব্যবসাকে আরও এগিয়ে নিতে এবং রপ্তানির পথ সুগম করতে দেশে গোল্ড ব্যাংক ও গোল্ড এক্সচেঞ্জ গড়ে তোলা এখন সময়ের দাবি। এতে স্বর্ণ বন্ধক রেখে ঋণ নিতে পারবেন ব্যবসায়ীরা। একই সঙ্গে প্রতিদিন স্বর্ণের বাজারমূল্য নির্ধারণ করাও সম্ভব হবে। বিপুল সম্ভাবনা থাকার পরও যথাযথ পদক্ষেপের অভাবে বিশ্বের স্বর্ণালঙ্কার রপ্তানিকারক দেশের তালিকায় নেই বাংলাদেশ। প্রতিবেশী দেশ ভারত জুয়েলারি পণ্য রপ্তানিতে বিশ্বে তৃতীয়। দক্ষিণ এশিয়ার শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও পাকিস্তান থেকেও স্বর্ণালঙ্কার রপ্তানি হয়। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে হয় না। এ জন্য প্রয়োজন রপ্তানিবান্ধব স্বর্ণ নীতিমালা। আগামী ২০২৬ সালের মধ্যে সরকার ১০০ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে। আমি মনে করি, এটা পূরণে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখতে পারে জুয়েলারি শিল্প। রপ্তানিবান্ধব স্বর্ণ নীতিমালা এখন সময়ের দাবি।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি মাসুদুর রহমান জানান, সরকার ২০১৮ সালে স্বর্ণ নীতিমালা করেছিল। কিন্তু সেই নীতিমালায় লাইসেন্স ইস্যু করার ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা ছিল। যেমন- স্বর্ণ আমদানিতে ভরিতে ৫ শতাংশ ভ্যাট, ২ শতাংশ করসহ ১২ থেকে ১৩ শতাংশ শুল্ককর ছিল। তা ছাড়া তখন স্বর্ণ আমদানির পর সেগুলো যাচাইয়ের জন্য পাঠাতে হতো বিএসটিআইতে। তারা অনুমোদন দিতে প্রায় দুই সপ্তাহ লেগে যেত। কিন্তু ব্যাগেজ রুলের অধীনে তখন ভরিতে ২ হাজার টাকা ট্যাক্স দিয়ে ২০ ভরি আনা যেত। তা ছাড়া ১০০ গ্রাম পর্যন্ত স্বর্ণ বিনা শুল্কে আনা যাচ্ছে।

কিন্তু অনেকেই ব্যাগেজ রুলের অপব্যবহার করে বেশি স্বর্ণ নিয়ে আসত। কিন্তু লাইসেন্সধারীদের ১২ থেকে ১৩ শতাংশ শুল্ককর দিয়ে স্বর্ণ আমদানি করতে হতো। এখনো সে ধরনের সমস্যা রয়ে গেছে। সার্বিক পরিপ্রেক্ষিত বিবেচনায় এখন নীতিমালা আমদানি ও ব্যবসাবান্ধব করতে হবে। বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ট্যারিফ অ্যান্ড ট্যাক্সেশনের চেয়ারম্যান ও কার্যনির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন বলেন, ব্যাগেজ রুল সংশোধন করার মাধ্যমে সোনার বার ও রূপার বার আনা বন্ধ করতে হবে।

ব্যাগেজ রুলের সুবিধা নিয়ে অবাধে সোনার বার বা পি- বিদেশ থেকে দেশে প্রবেশ করছে। চোরাচালানের মাধ্যমে বিদেশে অর্থ পাচার হয়। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। কিন্তু প্রকৃত অর্থে সোনা চোরাচালান বন্ধে কার্যকর প্রস্তাবিত বাজেটে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে দাবি করে বাজুস। এ প্রসঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ‘স্বর্ণ খাতকে নীতিসহায়তা দিতে আমরা সুপারিশ করেছি। এসব সুপারিশ কার্যকরের দায়িত্ব অন্য বিভাগের।

আমরা জুয়েলারিকে বিশেষ উন্নয়নমূলক খাতে রেখেছি। নিশ্চয়ই খাতটি আগামীতে অগ্রাধিকার তালিকায় উঠে আসবে।’ পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘জুয়েলারি খাত হবে দেশে আগামীর সবচেয়ে সম্ভাবনাময় শিল্প। দেশে রিফাইনারি স্থাপনের মাধ্যমে স্বর্ণবার উৎপাদন এবং তা দিয়ে তৈরি স্বর্ণালঙ্কার রপ্তানির বড় সুযোগ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে।’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, ‘বসুন্ধরা গ্রুপ দেশে গোল্ড রিফাইনারি স্থাপন করতে যাচ্ছে। এ উদ্যোগ দেশের স্বর্ণশিল্পের একটি ব্রেক থ্রু হবে।

দেশে স্বর্ণশিল্প কেন গড়ে ওঠা দরকার, সে বিষয়গুলো নীতিনির্ধারকদের অনুধাবন করতে হবে। এরমধ্য দিয়ে অলঙ্কার রপ্তানির একটি বিরাট সুযোগ আসবে এবং অনেক বৈদেশিক মুদ্রা পাওয়া যাবে। এ ক্ষেত্রে স্বর্ণ নীতিমালাটি আরও পর্যালোচনা করা যেতে পারে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, সরকারের পক্ষ থেকে স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বসে আলোচনা করা উচিত দেশে স্বর্ণশিল্প গড়ে উঠতে আর কী কী করা প্রয়োজন কিংবা এ ক্ষেত্রে কী কী প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। দেশে রপ্তানিমুখী স্বর্ণশিল্প গড়ে উঠলে এ খাতে বিশেষায়িত কারিগর শ্রেণিও তৈরি হবে, যা কর্মসংস্থানেও ব্যাপক অবদান রাখবে।’

×