ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি

ভোজ্যতেলের দাম লিটারে ১০ টাকা বেড়েছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার

প্রকাশিত: ০০:০৫, ১৭ এপ্রিল ২০২৪

ভোজ্যতেলের দাম লিটারে ১০ টাকা বেড়েছে

ভোজ্যতেলের দাম লিটারে ১০ টাকা বেড়েছে

ভোজ্যতেলের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। অনেকটা সরকারকে পাশ কাটিয়ে ভোজ্যতেলের দাম বাড়িয়েছেন এ খাতের ব্যবসায়ীরা। এতে প্রতিলিটার ভোজ্যতেলে দাম বাড়ানো হয়েছে ১০ টাকা। নতুন দামে এক লিটার বোতলের সয়াবিন তেল ১৭৩ টাকা, ৫ লিটারের বোতল ৮৪৫ টাকা এবং এক লিটার খোলা পাম তেল ১৩২ টাকায় বিক্রি হবে। ইতোমধ্যে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে।

ঈদের পর বাজারে সরবরাহ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে ভোজ্যতেলের। ফলে খুচরা বাজারে ভোজ্যতেল বিক্রি হচ্ছে বেশি দামে। হঠাৎ করে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর পেছনে অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ঈদের আগে থেকে দাম বাড়ানোর কৌশল নিয়েছিল ব্যবসায়ীরা। কিন্তু সরকারিভাবে কঠোর বাজার মনিটরিং করায় ওই সময় তেলের দাম বাড়ানো সম্ভব হয়নি। তবে ঈদের ছুটিকে কাজে লাগিয়ে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সব ধরনের ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানো হয়েছে।

এদিকে, হঠাৎ করে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর তীব্র সমালোচনা করে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, এখনই দাম বাড়ানোর সুযোগ নেই। আমি এখনো তাদের এ সংক্রান্ত কোনো চিঠিই পাইনি। এমনকি ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের কোনো আলোচনা করা হয়নি। তাই এ বিষয়টি বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের (বিটিটিসি) সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আমদানিসহ অন্যান্য খরচ পর্যবেক্ষণ করা হবে।

তিনি বলেন, দামটা কেমন হওয়া উচিত সেটা ট্যারিফ কমিশন দেখার পর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ঠিক করবে। তথ্যমতে, রোজার মাস সামনে রেখে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে গত ফেব্রুয়ারি মাসে ভোজ্যতেল, চিনি, চাল ও খেজুরের আমদানি শুল্ক কমিয়েছিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সেখানে তেলের শুল্ক কমানো হয়েছিল ৫ শতাংশ, যা কার্যকর ছিল গত ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত। এর ওপর ভিত্তি করে গত ১ মার্চ থেকে সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১০ টাকা কমিয়ে ১৬৩ টাকা নির্ধারণ করেছিলেন মিল মালিকরা।
শুল্ক অব্যাহতির মেয়াদ শেষে মিল মালিকরা ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর উদ্যোগ নিলে তাতে আপত্তি রয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের। কারণ দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করে সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ নির্দেশনা রয়েছে। সম্প্রতি দ্রব্যমূল্য সংক্রান্ত এক বৈঠকে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী জানান, দ্রব্যমূল্য কমানো এবং বাজারে পণ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা রয়েছে।

এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বিষয়টি নিয়মিত মনিটরিং করা হয়। এ কারণে অসাধু ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমতো পণ্যের দাম বাড়িয়ে ফায়দা লুটতে পারবে না। কাউকে সেই সুযোগ দেওয়া হবে না। এদিকে, শুল্ক প্রত্যাহারের মেয়াদ শেষের দিন সোমবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয় বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন।

×