চিনি
এস আলম সুগারমিলের আগুনের আঁচ খাতুনগঞ্জের চিনির বাজারে। কোনো সংকট না থাকলেও সুযোগসন্ধানী মিল মালিকরা রাতের আঁধারে বাড়িয়ে দিলো দাম। কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে কেজিতে বেড়েছে ১ থেকে ২ টাকা। এরমধ্যে এস আলমের চিনির বস্তায় বেড়েছে ১০০ টাকার বেশি।
এদিকে রমজানে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করতে ঢাকার মিলগুলো প্যাকেট চিনির সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে বলেই অভিযোগ খুচরা ব্যবসায়ীদের।
সোমবার (৪ মার্চ) বিকেলে এস আলম সুগার মিলে আগুন লাগার আগমুহূর্ত পর্যন্ত দেশের চিনির বাজার ছিল পুরোপরি নিম্নমুখী। এমনকি ক্রেতাশুন্য চিনির বেচাকেনাও ছিল সর্বনিম্ন পর্যায়ে। কিন্তু আগুন লাগার পর পরেই চিনির দাম বাড়তে থাকে।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) দুপুরে এস আলমের চিনি কেজিতে দুই টাকা করে বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে ঢাকা ভিত্তিক অন্যান্য মিলের চিনির দাম বেড়েছে এক থেকে দেড় টাকা। অথচ এ মুহূর্তে বাজারে চিনির কোনো সংকট নেই বলেই জানিয়েছেন খাতুনগঞ্জের মেসার্স আলতাফ অ্যান্ড ব্রাদার্সের মালিক মুহাম্মদ আলতাফ এ গাফ্ফার।
আর মেসার্স এএম এন্টারপ্রাইজের মালিক মাহমুদুল হক লিটন জানিয়েছেন, পাইকারি পর্যায়ে দাম বাড়ার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে খুচরা পর্যায়েও। এর মাঝে শিল্পগ্রুপগুলো প্যাকেটজাত চিনির সরবরাহ একেবারেই বন্ধ করে দিয়েছে বলে অভিযোগ করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। যে কারণে খুচরা পর্যায়ে প্যাকেটজাত চিনিও বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে।
এদিকে এস আলম সুগার মিলের আগুনে ১ নম্বর গোডাউনে থাকা ৬০ হাজার মেট্রিক টন অপরিশোধিত চিনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দাবি করেছেন এক কর্মকর্তা। তবে এখনও মিলটির দুটি গোডাউনে কয়েক লাখ মেট্রিক টন র’ সুগার এবং আরও ৫০ হাজার মেট্রিক টন রিফাইন্ড সুগার মজুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। সংকট মোকাবিলায় এসব চিনি দ্রুত বাজারে ছাড়ার দাবি চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক আলমগীর পারভেজের।
বছরে বাংলাদেশে ২০ থেকে ২২ লাখ মেট্রিক টন চিনির চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রামের এস আলম সুগার মিল থেকে চাহিদার ১০ শতাংশ চিনি সরবরাহ করা হয়। তবে মিল নিকটবর্তী হওয়ায় চট্টগ্রাম এবং তার আশপাশের জেলাগুলোতে এস আলম চিনির একক বাজার রয়েছে।
এস