জ্বালানি তেল
উড়োজাহাজের জ্বালানি জেট ফুয়েল এবং ডিজেল নিয়ে শনিবার চট্টগ্রাম বন্দরের ডলফিন অয়েল জেটিতে ভিড়তে শুরু করেছে তিনটি ট্যাংকার। ট্যাংকার তিনটি গতকাল শুক্রবার বন্দরের বহির্নোঙরে এসে পৌঁছেছে। সেখানে ছোট ট্যাংকারে কিছু জ্বালানি স্থানান্তর করার পর এখন জেটিতে ভেড়ানো হচ্ছে।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) ও শিপিং এজেন্ট সূত্রে জানা যায়, ট্যাংকার তিনটির মধ্যে ‘নর্ড ম্যাজিস্টিক’ ও ‘কিউ চি’ ট্যাংকারে ডিজেল ও জেট ফুয়েল রয়েছে। আর ‘এমটি মেরিটাইম গ্রেসিয়াস’ ট্যাংকারে শুধু ডিজেল রয়েছে। এ তিন জাহাজে সব মিলিয়ে এক লাখ টন জ্বালানি রয়েছে। এর মধ্যে উড়োজাহাজের জ্বালানি জেট ফুয়েল রয়েছে ৩২ হাজার টন। আর ডিজেল রয়েছে ৬৮ হাজার টন।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের পরিচালক (বিপণন) অনুপম বড়ুয়া বলেন, দুই ট্যাংকারে থাকা জেট ফুয়েল দিয়ে ২৩-২৪ দিনের চাহিদা পূরণ করা যাবে। সামনে আরও ট্যাংকার আসবে। ডিজেল নিয়েও ট্যাংকার আসছে। জ্বালানি তেল নিয়ে এখন দুশ্চিন্তার কিছু নেই।
ডলার–সংকটে বিদেশি সরবরাহকারীদের বকেয়া পরিশোধ করতে না পারায় তারা ট্যাংকার পাঠানোর সময় পিছিয়ে দেয়। এতে উড়োজাহাজের জ্বালানি জেট ফুয়েলের মজুত কমে শেষের দিকে চলে আসে। কমতে থাকে ডিজেলের মজুতও। এ পরিস্থিতিতে কিছু বকেয়া পরিশোধের পর জাহাজ পাঠায় সরবরাহকারীরা। নতুন চালান আসায় সংকটের শঙ্কা কাটছে বলে জানিয়েছেন বিপিসির কর্মকর্তারা।
ডিজেল ও জেট ফুয়েলবাহী এমটি নর্ড ম্যাজিস্টিক ও ডিজেলবাহী এমটি মেরিটাইম গ্রেসিয়াস জাহাজের স্থানীয় প্রতিনিধি প্রাইড শিপিং লাইনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নজরুল ইসলাম বলেন, ডলফিন অয়েল জেটিতে জাহাজ দুটি ভেড়ানো হয়েছে। তেল খালাসও শুরু হয়েছে।
ডিজেল ও জেট ফুয়েল নিয়ে আসা ‘এমটি কিউ চি’ জাহাজের স্থানীয় প্রতিনিধি মেরিনার্স ট্রান্সপোর্ট সিস্টেমস কোম্পানির (এমটিএসসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেহেদী হাসান খান বলেন, শুক্রবার জাহাজ আসার পরপরই জেট ফুয়েল খালাস শুরু হয়। বাকি তেল খালাসের জন্য শনিবার দুপুরে জাহাজটি ডলফিন অয়েল জেটিতে ভেড়ানো হয়েছে।
শিপিং এজেন্টস সূত্রে জানা যায়, আগামী ৩ জানুয়ারির মধ্যে নতুন আরও তিনটি জ্বালানি তেলবাহী ট্যাংকার আসবে বন্দরে। এই তিন ট্যাংকারে রয়েছে প্রায় এক লাখ টন জ্বালানি তেল। এর মধ্যে জেট ফুয়েল ৩ হাজার ৬৯৯ টন। বাকি ৯৯ হাজার ৮৩৯ টন ডিজেল।
এস