ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

ব্যাংকটির আমানত বেড়েছে প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকা ও ঋণ বিতরণ বেড়েছে ৭ হাজার কোটি টাকা

অর্ধবার্ষিকীতে পরিচালন মুনাফা ৬ গুণ বেড়েছে রূপালী ব্যাংকের

প্রকাশিত: ১৭:১৩, ২ জুলাই ২০২৩

অর্ধবার্ষিকীতে পরিচালন মুনাফা ৬ গুণ বেড়েছে রূপালী ব্যাংকের

রূপালী ব্যাংক

চলতি বছরের অর্ধবার্ষিক হিসাব সমাপনীতে মুনাফা প্রায় ছয়গুণ বেড়েছে রাষ্ট্র মালিকানাধীন রূপালী ব্যাংক লিমিটেডের।

একই সাথে ব্যাংকের ৫২ বছরের ইতিহাসে এবারেই প্রথম হাফে সর্বোচ্চ মুনাফা অর্জন করেছে ব্যাংকটি। ব্যাংকের একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে, চলতি ২০২৩ সালের ১লা জানুয়ারি থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত প্রথম ছয় মাসে বা অর্ধ-বার্ষিক হিসাব সমাপনীতে পরিচালন মুনাফা হয়েছে ৩৪০ কোটি টাকারও বেশি। গত বছর একই সময়ে ব্যাংকটির পরিচালন মুনাফা ছিল মাএ ৫৭ কোটি টাকা। যা ২০২১ সালে ছিল মাত্র ২৮ কোটি টাকা। 

বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর গত বছরের আগস্টে দায়িত্ব নেয়ার পর ব্যাংকটির আমানত বেড়েছে প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকা। ঋণ বেড়েছে ৭ হাজার কোটি টাকা। পরিচালন মুনাফা নিয়ে জানতে চাইলে ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন তালিকাভূক্ত হওয়ায় এ বিষয়ে কোন তথ্য প্রদান করা যাচ্ছেনা। তবে ব্যাংকিং খাতে যখন আমানতের ক্রাইসিস তখন কিভাবে এত আমানত বাড়লো এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন আমরা মনে করি যেহেতু এটি সরকারি ব্যাংক তাই এর প্রতি গ্রাহকদের যে আস্থা তা সরকারের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থার প্রতিফলন। এই বিপুল পরিমাণ আমানত ঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারলে ব্যাংকটি সব আর্থিক সূচকে আরও ভালো করবে বলেও মনে করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক।  

ব্যাংকের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, মূলত সুদ ও ট্রেজারি থেকে আয়  এবং আদায় বাড়ায় ব্যাংকটি অর্ধবার্ষিকিতে এই মুনাফা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। মূলত সিএমএসএমই ঋণ বৃদ্ধি, রফতানি বাণিজ্যে জোর দেয়া, রেমিট্যান্স আহরণে সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করায় ব্যাংকের এই অর্জন। তাছাড়া ব্যাংকটি আদায়ে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছে। ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ৩০ জুন যেখানে আদায় হয়েছে ৫৮ কোটি টাকা সেখানে ২০২৩ সালের একই সময়ে নগদ আদায় হয়েছে ৩২৮ কোটি টাকা। ব্যাংকটির কর্মকর্তারা মনে করেন বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক ঘোষিত ১০০ ও ১৫০ দিনের বিশেষ কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নের ফলে এ সাফল্য এসেছে।

সরকারি ব্যাংকগুলো নিয়ে যখন চারদিকে নানা নেতিবাচক খবর তখন রূপালী ব্যাংকের এই অর্জন ব্যাংকগুলোর প্রতি সাধারণ জনগণ ও বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়াতে সক্ষম হবে বলে মনে করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা। পূজিবাজার বিশ্লেষকরা মনে করেন, রাষ্ট্র মালিকানাধীন অন্য ব্যাংকগুলোও দ্রুত তালিকাভূক্ত করা উচিত। এতে করে তারাও জবাবদিহিতার আওতায় আসবে এবং রূপালী ব্যাংকের মত ভালো করার তাগিদ অনুভব করবে। 

আরএস

সম্পর্কিত বিষয়:

×