শনিবার রাজধানীর এক হোটেলে ভিসতা পার্টনারস মিট-২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়
বাংলাদেশে আরো বৃহৎ আকারে উৎপাদন কারখানা স্থাপন এবং প্রাইভেট হাইটেক পার্ক স্থাপনের ঘোষণা দিল ভিসতা ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড। তাদের প্রোডাক্ট লাইনে যোগ হচ্ছে আরো কিছু পণ্য। ভিসতা পার্টনারস মিট-২০২৩ এবং ভিসতা’র তৃতীয় বর্ষে পদার্পন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব ঘোষনা দেয়া হয়।
শনিবার রাজধানীর গুলশানে একটি হোটেলে দিনব্যাপী ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ভিসতা পার্টনারস মিট-২০২৩ এ বিজনেস স্ট্র্যাটেজি এবং ফিউচার বিজনেস প্ল্যান তুলে ধরেন ভিসতা’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক লোকমান হোসেন আকাশ।
ভিসতা চেয়ারম্যান শামসুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন ভিসতা পরিচালক চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন, ভিসতা পরিচালক এবং ঢাকা বিজনেস সম্পাদক উদয় হাকিম, ভিসতা পরিচালক প্রকৌশলী মইনুল হক, ভিসতা’র নির্বাহী পরিচালক এবং সেলস ও মার্কেটিং বিভাগের প্রধান তানভীর রেজা জিহাদ প্রমূখ।
সারা দেশে থেকে ভিসতা’র কয়েকশ’ ব্যবসায়িক পার্টনার (ডিপো ও ডিস্ট্রিবিউটর) অনুষ্ঠানে যোগ দেন। উপস্থিত ছিলেন ভিসতা’র উপদেষ্টাগন, বিভিন্ন এনজিও প্রতিনিধি, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, শুভাকাঙ্খী, গণমাধ্যমকর্মী এবং ভিসতা পরিবারের সদস্যগণ।
পার্টনারস মিটে জানানো হয়, গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিতে রয়েছে ভিসতা’র উৎপাদন কারখানা। সেখান থেকেই তৈরি হচ্ছে বাংলাদেশের বেস্ট এবং রপ্তানি কোয়ালিটির অ্যান্ড্রয়েড টেলিভিশন। এছাড়া এইচভ্যাক বা সেন্ট্রাল এসি নিয়ে কাজ করছে ভিসতা। খুব শিগগীরই ভিসতা প্রোডাক্ট লাইনে যোগ হচ্ছে ওয়াইফাই রাউটার, অ্যান্ড্রয়েড প্রজেক্টর, ইন্টারঅ্যাকটিভ হোয়াইট বোর্ড ইত্যাদি। এখনকার চেয়ে ৫ গুন বেশি উৎপাদন সক্ষমতার নতুন কারখানা স্থাপন করতে যাচ্ছে ভিসতা।
এছাড়া প্রাইভেট হাইটেক পার্ক স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে ভিসতা। সফলতার সঙ্গে দুই বছর পার করে তৃতীয় বর্ষে পদার্পণ করলো ভিসতা ইলেকট্রনিক্স। এ উপলক্ষে আমন্ত্রিত অতিথিদের নিয়ে একটি কেক কাটা হয়।
বিশ^কাপ ফুটবলের সময় ভিসতা অফারে বিজয়ীদের জন্য থাইল্যান্ড সফর, দার্জিলিং সফর এবং কক্সবাজার সফর বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। এছাড়া গত বছরের বিক্রয় কার্যক্রমে সারা দেশে সেরাদের পুরষ্কৃত করা হয়। ২০২২ সালে ভিসতা পণ্য বিক্রিতে প্রথম হয়েছে রাজশাহীর লাভেলো ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স।
প্রতিষ্ঠানের পক্ষে পুরষ্কার গ্রহণ করেন সাদিয়া চৌধুরী। দ্বিতীয় হয়েছেন চট্টগ্রামের ইনসটা পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং এর স্বত্ত্বাধিকারী প্রকৌশলী মিলন দাস। তৃতীয় হয়েছেন টাঙ্গাইলের ভিসতা গ্যালারির স্বত্ত্বাধিকারী এমদাদুল হক। পারফরমেন্সের ভিত্তিতে ভিসতা কর্মকর্তাদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন রাজশাহীর এইচ এম আশরাফ, দ্বিতীয় হয়েছেন চট্টগ্রামের সাদেক হোসেইন, তৃতীয় হয়েছেন রংপুরের হানিফুর রহমান।
অনুষ্ঠানে চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘আমি ভিসতার মালিকদের একজন। আমার কোম্পানি থেকে কোনো নিম্নমানের পণ্য উৎপাদন বা বিক্রি হবে না। তিনি বলেন, ইনশাল্লাহ ভিসতাই হবে দেশের এক নম্বর ব্র্যান্ড। ক্রেতারা চোখ বন্ধ করে ভিসতা পণ্য কিনেত পারেন। কোয়ালিটির দিক দিয়ে ভিসতাই সেরা।’
ভিসতা চেয়ারম্যান শামসুল আলম বলেন, ভিসতা বাজারে আছে- থাকবে। ভিসতা এসেছে যুগের পর যুগ টিকে থাকতে। ভিসতা বহুদূর যাবে। বাজারে নতুন আসলেও কোয়ালিটিতে ভিসতাই সেরা। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে ইলেকট্রনিক্স পণ্য উৎপাদনে ভিসতা টিমই সেরা। তিনি জানান, মালয়েশিয়া, জর্জিয়াসহ বেশকিছু দেশ থেকে বিনিয়োগ প্রস্তাব পেয়েছেন তারা। আছে আরো কিছু আকর্ষনীয় অফার। ভিসতা সেসব যাচাই বাছাই করছে।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক লোকমান হোসেন আকাশ বলেন, সুদূর প্রসারী শিল্পায়নের পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে ভিসতা। শুধু বাংলাদেশ নয়, ভিসতার লক্ষ্য আন্তর্জাতিক বাজার। সে বাজারেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে যাচ্ছে ভিসতা। অচিরেই দেশের দ্রুতবর্ধনশীল উদ্যোগ হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেতে যাচ্ছে ভিসতা।
পরিচালক উদয় হাকিম বলেন, ভিসতা শব্দের অর্থ দূরদর্শী- সাফলের সিঁড়ি। তিনি বলেন, বাংলাদেশে অনেকেই প্রযুক্তিপণ্য তৈরি করেন। তাদের পণ্যের মান ভালো নয়, তাতে ক্রেতা ভোগান্তিও বাড়ে, অতিরিক্ত মুনাফা করে। সেদিক বিবেচনায় ভিসতা সেরা মানের পণ্য দিচ্ছে, দামও কম। তিনি জানান, আগামি মাস থেকেই বড় আকারের কারখানা স্থাপনের কাজ শুরু করছে ভিসতা। প্রাইভেট হাইটেক পার্ক স্থাপনের উদ্যোগও নেয়া হয়েছে। বিভিন্ন দেশ থেকে আসছে নানা উদ্যোগী প্রস্তাব।
ভিসতা অগ্রযাত্রায় তিনি সরকার, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, দেশী- বিদেশী ইনভেস্টর, শুভাকাঙ্খী এবং বিজনেস পার্টনারদের সহায়তা কামনা করেন।
ভিসতা পার্টনারস মিটের শেষ পর্যায়ে ছিলো মনোজ্ঞ সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে সঙ্গীত পরিবেশন করেন কন্ঠশিল্পী লাবনী।
রহিম শেখ