ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১

বিড়ি শিল্পকে শুল্ক মুক্ত করে মজুরী বৃদ্ধির দাবি

প্রকাশিত: ১৫:৩২, ১৯ ডিসেম্বর ২০২২

বিড়ি শিল্পকে শুল্ক মুক্ত করে মজুরী বৃদ্ধির দাবি

শ্রমিককের মজুরী বৃদ্ধির দাবিতে মানববন্ধন 

বিড়ি শিল্পকে শুল্ক মুক্ত করে শ্রমিককের মজুরী বৃদ্ধিসহ পাঁচ দফা দাবিতে মানববন্ধন ও কাস্টমস অফিস ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে বৃহত্তর রংপুর অঞ্চল বিড়ি মালিক সমিতি ও বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়ন।

সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) রংপুর বিভাগীয় কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অফিসের সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। মানববন্ধন শেষে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অফিসের কমিশনার সুরেশ চন্দ্র বিশ্বাস বরাবর পাঁচ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

শ্রমিকদের অন্যান্য দাবি গুলো- ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর আগ্রাসন বন্ধ করা, যাচাই-বাছাই ব্যাতিরেকে (অনলাইন) লাইসেন্সসহ রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া সকল বিড়ি বন্ধ করা, সিগারেটের ন্যায় বিড়িতেও অগ্রিম আয়কর ৩ শতাংশ করা এবং বহুজাতিক কোম্পানীর সিগারেটের মূল্য বৃদ্ধি করা।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ব্রিটিশ-আমেরিকান টোব্যাকো বিড়ি শিল্পকে ধ্বংসে নানা পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের ষড়যন্ত্রে দেশীয় শিল্পগুলো রুগ্ন হয়ে যাচ্ছে। দেশীয় শ্রমিকবান্ধব বিড়ি শিল্প বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ফলে লক্ষ লক্ষ শ্রমিক বেকার হয়ে পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। তারা এদেশের মানুষের ফুসফুস পুড়িয়ে বিদেশে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করছে। তাদের আগ্রাসন বন্ধ এবং বিড়ি শিল্পকে শুল্ক মুক্ত করে শ্রমিককের মজুরী বৃদ্ধি করতে হবে।

বক্তারা আরো বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কমদামে অবৈধ ভাবে বিড়ি বিক্রি করায় সরকার বিপুল পরিমান রাজস্ব হারাচ্ছে আর প্রকৃত রাজস্ব প্রদানকারী বিড়ি শিল্প মালিকরা চরম ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। দেশের প্রাচীন শ্রমঘন বিড়ি শিল্প ও শ্রমিকদের টিকিয়ে রাখার স্বার্থে বহুজাতিক কোম্পানির সিগারেটের মূল্য বৃদ্ধি করতে হবে। একইসাথে সরেজমিনে পরিদর্শন ব্যতিরেকে অর্থাৎ শ্রমিক শেড, গোডাউন, অফিস ছাড়া অস্তিত্বহীন বিড়ি কারখানার লাইসেন্স দেওয়া বন্ধ করতে হবে। এছাড়া সিগারেটের ন্যায় বিড়িতেও অগ্রিম আয়কর ৩ শতাংশ করতে হবে।

বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি আমিন উদ্দিনের (বিএসসি) সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, সহ-সভাপতি নাজিম উদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক হারিক হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল গফুর, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাসনাত লাভলু, প্রচার সম্পাদক শামীম ইসলাম, কার্যকরী সদস্য আনোয়ার হোসেন প্রমূখ।

মানববন্ধনে শ্রমিকদের হাতে হাতে “নব্য ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পনী বন্ধ করা করতে হবে, দেশ থেকে বহুজাতিক বেনিয়া হঁটাও বিড়ি শ্রমিক বাঁচাও, অসাধু দুর্নীতিবাজ কাস্টমস কর্মকর্তার বিচার চাই বিচার চাই, বিড়ি শিল্পের কিছু হলে জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো ফুসফুস পড়ায় এদেশে টাকা পাচার করে বিদেশে”সহ বিভিন্ন শ্লোগান সম্বলিত ফেস্টুন দেখা যায়।

 

কাওসার রহমান

সম্পর্কিত বিষয়:

×