বিশ্বব্যাংক
বাংলাদেশকে ২৫ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ২ হাজার ৬৭৫ কোটি টাকা। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশ্বব্যাংকের কাছে ১ বিলিয়ন ডলার ঋণ চেয়েছিল বাংলাদেশ। পরিপ্রেক্ষিতে প্রথম দফায় ২৫ কোটি ডলার এবং বাকি ৭৫ কোটি ডলার বিভিন্ন কিস্তিতে ঋণ দেবে সংস্থাটি।
রবিবার (১৩ নভেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব শরিফা খানের সঙ্গে বৈঠক করেন বাংলাদেশ সফররত বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইজার। বৈঠক শেষে ইআরডি কর্মকর্তারা এসব তথ্য জানান।
তারা বলেন, বিশ্বব্যাংকের এই ঋণ পাঁচ বছরের রেয়াতকালসহ ৩০ বছরে ২ শতাংশ সুদসহ পরিশোধ করতে হবে বাংলাদেশকে। গ্রিড ডিপিসি সিরিজের আওতায় এই অর্থ দেবে বৈশ্বিক ঋণদাতা সংস্থাটি।
রাইজার আশ্বস্ত করেছেন, প্রথম ধাপে বাংলাদেশকে ২৫ কোটি ডলার দেবে বিশ্বব্যাংক। আর আগামী ২ বছরের মধ্যে বাকি ৭৫ কোটি ডলার ঋণ দেয়া হবে।
ইআরডি কর্মকর্তারা জানান, অপরিহার্য ৯ পণ্য আমদানি করতে ২০২১ সালের চেয়ে ২০২২ সালে ৮ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার বেশি ব্যয় হবে। মূলত এজন্যই বিশ্বব্যাংকের কাছে ১ বিলিয়ন ডলার ঋণ চাওয়া হয়। এতে সম্মতি দিয়েছে আন্তর্জাতিক সংস্থাটি।
তারা বলেন, এজন্য আলাদা উইন্ড খুলে গ্রিড ডিপিসির আওতায় ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে ২৫ কোটি ডলার দেবে বিশ্বব্যাংক। এছাড়া বাজেট বাস্তবায়নে সংস্থাটির কাছে ৫০ কোটি ডলার ঋণ চাওয়া হয়েছিল। এর আওতায় ২৫ কোটি ডলার দিয়েছে তারা। বাকি ২৫ কোটি একইসময়ে পাওয়া যাবে।
বিশ্বব্যাংক