অনলাইন রিপোর্টার ॥ দেশীয় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জ শপের বিরুদ্ধে কোটি টাকার অর্ডার নিয়ে পণ্য ডেলিভারি না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। রাজধানীর গুলশান-১ এর সড়ক অবরোধ শেষে ই-অরেঞ্জের গ্রাহকরা বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজার বাসার পথে রয়েছেন। দুই শতাধিক ভুক্তভোগী মাশরাফির বাসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছেন।
সোমবার (১৬ আগস্ট) রাত পৌনে ৮টার দিকে গুলশান-১ এর ১৩৭ নম্বর রোডে অবস্থিত ই-অরেঞ্জের কার্যালয় থেকে মিপুর-১২ তে অবস্থিত মাশরাফি বিন মর্তুজার বাসায় আলোচনার জন্য রওয়ানা দেন তারা।
রাত সাড়ে ৮টার দিকে মাশরাফির বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়া শুভ নামের এক ভুক্তভোগী বলেন, এ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মাশরাফির সংশ্লিষ্ট রয়েছে। তার সঙ্গে আমাদের ফোনে কথা হয়েছে। তিনি আমাদের বলেছেন তার বাসায় যেতে। সেখানে আমাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে তার সঙ্গে কথা হবে।
তিনি আরও বলেন, সুপারশপ স্বপ্ন থেকে ডাবল ভাউচারের জন্য টাকা পরিশোধ করেছিলাম ই-অরেঞ্জে। তারা বলেছিল, ১০ হাজার টাকার ভাউচার কিনলে দ্বিগুণ অর্থাৎ ২০ হাজার টাকার ভাউচার পাওয়া যাবে।
এর আগে সোমবার বিকেল থেকে তারা গুলশান-১ এর মাঝামাঝি রাস্তায় অবস্থান নেন। এ সময় সড়কে যানচলাচলে বিঘ্ন ঘটে। পরে তারা ই-অরেঞ্জের কার্যালয়ের সামনে চলে আসেন।
গুলশান থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম বলেন, ৪০ জন গ্রাহক মোটরসাইকেল নিয়ে গুলশান-২ মোড়ে আসেন। পরে তারা সেখান থেকে গুলশান-১ এর দিকে চলে যান।
আন্দোলনরত একজন ভুক্তভোগী বলেন, আমরা ই-অরেঞ্জ নামের ই-কমার্স সাইট থেকে বাইক, মোবাইলসহ নামি-দামি পণ্য অর্ডার করেছিলাম। সরকারের ই-কমার্স নীতিমালা প্রকাশের আগে ই-অরেঞ্জের ডাবল টাকা ভাউচার কিনেছিলাম। কর্তৃপক্ষ গত ১৬ মে (সম্ভাব্য তারিখ) থেকে সব ডেলিভারি বন্ধ রেখেছে। ১৮ জুলাই ই-অরেঞ্জ একটি ডেলিভারি ডেট প্রকাশ করে এবং পরবর্তীতে লকডাউনের দোহাই দিয়ে ডেলিভারি বন্ধ করে দেয়। পরে জানায় লকডাউন শেষ হলে ডেলিভারি কার্যক্রম পুনরায় শুরু হবে। লকডাউন শেষ হওয়ার আগের দিন ১০ আগস্ট তারা আবার নতুন করে ১৬ আগস্ট ডেলিভারির তারিখ প্রকাশ করে।