অনলাইন রিপোর্টার ॥ রাজধানীতে কাঁচা মরিচের দাম নিয়ে চলছে অস্থিরতা। বিক্রেতারা ইচ্ছেমতো ক্রেতাদের থেকে দাম নিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সপ্তাহ খানেক আগেও যে কাঁচা মরিচ ছিলো ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা সেই কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে কেজি প্রতি প্রায় ১৫০ টাকা।
রবিবার রাজধানীর গাবতলী, মিরপুর, কারওয়ান বাজারসহ বিভিন্ন জায়গা ঘুরে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ২৫০ টাকা থেকে ৩২০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
এছাড়া ঢাকার বিভিন্ন স্থানে কাঁচা মরিচের দাম নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে বাগবিতন্ডা দেখা গেছে। এদিন রাজধানীর হাতিরপুল কাঁচা বাজারে আসা আশা নামের এক নারী কাঁচা মরিচের দাম শুনে বিক্রেতার সঙ্গে রীতিমতো হইচই শুরু করেন।
তিনি বলেন, বাজারের একজন খুচরা বিক্রেতা তার কাছে ১০০ গ্রাম কাঁচা মরিচের দাম চান ৮০ টাকা। আর এক কেজি বা এর বেশি কিনলে ৩০০ টাকা রাখা যাবে। দুদিন আগেও যেখানে ১৬০ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ কিনেছি। আজ সেখানে তার দাম হলো ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা।
শবনম সুলতানা বলেন, কোনো ইস্যু ছাড়াই হঠাৎ করেই কাঁচা মরিচের এতো দাম বাড়ায় আমাদের মতো মধ্যবিত্তদের অনেক কষ্ট হয়। কেননা এটা নিত্য প্রয়োজনীয় সবজি। সরকারের এদিকে নজর দেয়া উচিত।
অপরদিকে রাজধানীর মিরপুর কচুক্ষেত বাজারে আসা নাজিম উদ্দিন নামের একজন শিক্ষক বলেন, বাজারে এসে কাঁচা মরিচের দাম শুনে হতাশ। ভেবেছিলাম ১ কেজি কিনবো। কিন্তু বেশি দামের কারণে ২৫০ গ্রাম কিনতে হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে কয়েকজন বিক্রেতার কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, আড়ত থেকে বেশি টাকায় তারা মরিচ কিনেছেন। তাই খুচরাও বেশি দামে বিক্রি করছেন।
রাজধানীর রামপুরা বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী রফিক বলেন, আগামীকাল পবিত্র আশুরা। সরকারি ছুটি। তাই কাঁচা মরিচের দামও বেড়েছে। সপ্তাহ খানেক আগেও আমরা কেজি প্রতি ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করেছি। কিন্তু আজ আরত থেকেই বেশি দামে কিনতে হয়েছে।
খুচরা ব্যবসায়ী রহিম জানান, দেশে যে পরিমাণ কাঁচা মরিচের উৎপাদন হয় তা দেশের জন্য পর্যাপ্ত নয়। প্রতিবছরই বন্যা বা বর্ষা মৌসুমে কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে থাকে। পরে ইন্ডিয়া থেকে মরিচ এলে দাম কমে যায়। কিন্তু এ বছর করোনার কারণে ইন্ডিয়া থেকে মরিচ কম আসায় দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
জানা গেছে, কারওয়ান বাজারের পাইকারি বাজারে প্রতি পাল্লা (৫ কেজি) কাঁচা মরিচ ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। অর্থাৎ মান ভেদে প্রতি কেজির দাম এক সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে ১৫০ টাকা।