
ছবি: সংগৃহীত
সুপ্রিয় জুট মিলস লিমিটেড এর জিএম মোঃ মেহেদী হাসান বলেন, পাট জাগ দেওয়া বা পচানোর মতো পানি সংকট থাকায় সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে কৃষকরা। নদীতে পানি কমে যাওয়া বা উপযুক্ত জলাধারা হারিয়ে যাওয়া এই সংকট প্রকট আকার ধারন করছে। ফলে ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে পাটের উৎপাদন। ঠাকুরগাওয়ে চারটি পাটকল রয়েছে। এখানে বর্তমানে দুটি পাটকল চালু আছে। বাকীগুলো বন্ধ আছে। তাদের গুণগত মান অন্য পাটকলের চেয়ে ভালো। কিন্তু উৎপাদন চালু রাখার জন্য তাদের অন্য জেলা থেকে পাট আমদানি করতে হয়। তাছাড়া পাটের দাম বেশি হওয়া। উৎপাদনের খরচ বেড়ে যায়। যার ফলে বন্ধ আছে পাটকলগুলো।
তিনি আরও বলেন, দৈনিক আমাদের ১২ মেট্রিক টন পাটের চাহিদা। সেই তুলনা বাজারে যে পরিমাণ পাট পাওয়া যাচ্ছে। যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। এই মুহুর্তে পাটের প্রচুর দাম। তাই আমরা উৎপাদনের সাথে খরচের হিসাব সাথে মেলাতে খুব কষ্ট হচ্ছে। এখন ওয়ার্কার ও প্রতিষ্ঠান টিকে রাখার জন্য আমরা মিল চালু রেখেছি।
এক মহিলা কর্মী বলেন, আমি সুপ্রিয় জুট মিলস লিমিটেড প্রায় ৫ বছর হয় কাজ করি। এখানে আমি একজন মেশিন ম্যান হয়ে কাজশুরু করেছিলাম। নলি বানানো সহ আরও অনেক কাজ করি। এখানে আমরা প্রায় ৮জন মহিলা কাজ করি। এখানে কাজ করার ফলে আমরা পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে বসবাস করছি।
মো: মেহেদী হাসান বলেন, এই প্রতিষ্ঠানে সারা বাংলাদেশ থেকে পাট আসে। বেশির ভাগ স্থানীয় বাজার থেকে পাট কেনা হয়। তারপরও জামালপুর ও যশোর এলাকা থেকে পাট আসে। পাট সঠিক সময়ে সঠিকভাবে জাগ না দেওয়ার কারণে আমরা সঠিক সময়ে সঠিক কোয়ালিটি পাইনা।
শহীদ