
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের প্রতিষ্ঠাতা ও পুরাতন মালিক সোনিয়া মেহজাবিন ও তার স্বামী মাসুকুর রহমান ই-অরেনজ এর মালিকানা ফেরত নিতে চান। প্রতিষ্ঠানটি আবার চালু করা ও গ্রাহকদের পাওনা টাকা ফেরত প্রদানের দায়িত্ব গ্রহণ করতে চান তারা। এই কাজগুলো করা যাবে যদি তারা জামিনে মুক্তি পান। গ্রাহকদের সকল দেনা পাওনা বুঝিয়ে দেওয়া যাবে এই মর্মেও তারা আস্বস্ত করেছেন।
শুক্রবার দুপুরে মহানগর দায়রা জজ আদালত চত্ত্বরে সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ই-অরেঞ্জের আইনজীবী মোঃ শামসুল হুদা।
এসময় আইনজীবী জানান, যেহেতু প্রতিষ্ঠানটির পুরাতন, মালিক সোনিয়া মেহজাবিন এই মুহূর্তে কারাগারে রয়েছেন এবং তার সম্মতি ক্রমে তিনি জামিনে মুক্তি পেয়ে ই-অরেঞ্জের মালিকানা ফেরত নিয়ে সকল সন্মানিত গ্রাহকদের পাওনা টাকা বুঝিয়ে দিবেন এবং গ্রাহকদের সাথে নিয়ে পুনরায় আবার ব্যবসা পরিচালনা শুরু করবেন। এই মর্মে বানিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিবকেও সোনিয়া তার আইনজীবীর মাধ্যমে মালিকানা ফেরত ও ব্যাবসা চালু করার অনুমতি চেয়েছেন। বানিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে মালিকানা সমাধান করতে বলা হয়েছে। সর্বপরি সোনিয়া ও মাসুকুরের জামিনের মাধ্যমে এটার সমাধান সম্ভব। তারা আটক থাকলে কোনো সমাধান আসার সুযোগ থাকছে না। গ্রাহকদের হাহাকার বাড়তেই থাকবে।
ব্যবসা পরিচালনায় যেসকল বিষয়ে আইনী জটিলতা রয়েছে সেগুলো তিনি আইনগত ভাবে সমাধান করে সামনে অগ্রসর হবেন। এখানে উল্লেখ্য যে, যেহেতু নতুন মালিক কাজ করছেন না, তাই সোনিয়া মেহজাবিন ও মাসুকুর কে জামিনের মাধ্যমে মুক্তি ও মালিকানা ফেরতের প্রদানের মাধ্যমে ই-অরেনজ সমাধানের একটা প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে। গ্রাহকদের অথ ফেরত পাবার সম্ভাবনা ও সুযোগ থাকবে। সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।
এসময় কয়েকজন গ্রাহক জানান, গেলো ৩ বছর ধরে ই-অরেঞ্জের গ্রাহকরা চরম মানবেতর জীবনযাপন করছে। নানান সমস্যার পরেও অনেক ই'কমার্স প্রতিষ্ঠান তাদের গ্রাহকদের টাকা বুঝিয়ে দিয়েছে এবং তাদের কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে পরিচালনা করছেন। কিন্তু ই-অরেঞ্জের গ্রাহকরা তাদের টাকা বুঝে পায়নি। তাই অতিসত্ত্বর ই-অরেঞ্জের সকল ঝামেলা মিটিয়ে গ্রাহকদের টাকা বুঝিয়ে দেওয়া হোক। এতে যদি মালিক পক্ষকে নজরদারিতে রেখে জামিন দেওয়া যায় তাহলে গ্রাহকদের টাকা পেতে সুবিধা হয়। এই মুহূর্তে সকল গ্রাহকদের একটায় দাবী যেকোনো মুল্যে আমাদের পাওনা ফেরত দিতে হবে।
ফজলু/রাজু