ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২

চলতি বছরেই ঘুরে দাঁড়াবে ইউনিয়ন ব্যাংক ॥ এমডি

নাজমুল ইসলাম

প্রকাশিত: ০০:২৬, ২৪ এপ্রিল ২০২৫

চলতি বছরেই ঘুরে দাঁড়াবে ইউনিয়ন ব্যাংক ॥ এমডি

এমডি

এস আলম গ্রুপ ও তাদের সহযোগীদের নানাভাবে সুবিধা দেওয়ার কারণে ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসি দেউলিয়া হওয়ার দ্বারপ্রান্তে চলে যায়। দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারও আত্মগোপনে চলে যান। ড. মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করার পর কেন্দ্রীয় ব্যাংকে নতুন গভর্নর হিসেবে যোগ দেন অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর।     
ড. মনসুর এসেই ১০ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে নতুন পর্ষদ ঘোষণা দেন। বর্তমান এই পর্ষদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও হিসেবে রয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক মো. হুমায়ুন কবির।  ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. হুমায়ুন কবির বলেন, চলতি বছর আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে পুরোদমে ঘুরে দাঁড়াবে ইউনিয়ন ব্যাংক। সেই লক্ষ্যে বর্তমান পর্ষদ কাজ করে যাচ্ছে। জনগণের টাকা জনগণকে ফেরত দিতে হবে।

এই মোটিভ নিয়ে আমরা কাজে নেমেছি। এস আলম গ্রুপ নামে-বেনামে ইউনিয়ন ব্যাংক থেকে যে ঋণ নিয়েছে, তার মধ্যে চলমান কিছু প্রকল্প থেকে টাকা আদায় সম্ভব এবং সেগুলো আদায়ের ব্যাপারে আমরা অত্যন্ত সচেষ্ট। আমানত বাড়ানোর পাশাপাশি ঋণ আদায়েও বেশি জোর দিচ্ছি। আমানতকারীর টাকার সুরক্ষা, সাধারণ শেয়ার হোল্ডারদের বিনিয়োগ সুরক্ষাসহ ইউনিয়ন ব্যাংকে স্থিতিশীলতা আনা ও আইনের সুশাসন এবং ব্যাংকিং সেক্টরে জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে কাজ করছি।
গত ২৫ আগস্ট ব্যাংকটির চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মু. ফরীদ উদ্দীন আহমদ। এর আগে তিনি ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন। পাঁচ সদস্যের বোর্ড গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বর্তমানে এ ব্যাংকের ভালো ও নির্ভরযোগ্য বোর্ড অব ডিরেক্টরস প্রত্যেকেই নিজ নিজ স্থানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। বিজ্ঞ পর্ষদ তাদের সুচিন্তিত পলিসি ও দক্ষ পরিচালনার মাধ্যমে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে সর্বাত্মক সহায়তা দিচ্ছে।

পরিচালনা পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের মধ্যে শতভাগ স্বচ্ছতা রয়েছে। এ রকম বোর্ড আর্থিক খাতে সব জায়গায় দরকার বলে মনে করেন তারা। একটি ভালো ব্যাংক তৈরি করতে যা যা পরিকল্পনা দরকার সব ধরনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। মো. হুমায়ুন কবির বলেন, ব্যাংকটিতে সুশাসন ফেরাতে সকল ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সকল গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। এর মধ্যে ভালো ও মন্দ কাউকে বাদ দেওয়া হচ্ছে না। ভালো ও মন্দ সবাই আমাদের গ্রাহক। সবাইকে বলছি নিয়মিত বিনিয়োগ পরিশোধ করতে।

যারা নিয়মিত ঋণ দেয় না, তাদের অনেকেই আশ্বাস দিয়েছে- বিনিয়োগ পরিশোধ করবে। তবে যারা দেবে না তাদের ব্যাপারে আমরা কঠোর। তাদের ব্যাপারে সকল ধরনের আইনগত ব্যবস্থা নিতেও আমরা পিছু হটব না। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. হুমায়ুন কবির বলেন, নগদ জমা বাড়ানোর পাশাপাশি রিকভারি অর্থাৎ মেয়াদোত্তীর্ণ ও খেলাপি বিনিয়োগ থেকে আদায় বাড়ানোর প্রতি বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া আগের মতো গ্রাহকের আস্থা ফিরিয়ে আনতে নানাবিধ কার্যক্রম অব্যাহত রাখব।

×