![শেয়ারবাজারে পতন, বেড়েছে লেনদেন শেয়ারবাজারে পতন, বেড়েছে লেনদেন](https://www.dailyjanakantha.com/media/imgAll/2024April/art-4-2501071558.jpg)
পতনের বৃত্ত থেকে বের হতে পারছে না দেশের শেয়ারবাজার
পতনের বৃত্ত থেকে বের হতে পারছে না দেশের শেয়ারবাজার। মাঝেমধ্যে কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দিলেও পরক্ষণেই দরপতন হচ্ছে। ফলে দিন যত যাচ্ছে, শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের লোকসান ততই বাড়ছে। এতে শেয়ারবাজারের ওপর থেকে আস্থা হারিয়ে ফেলছেন বিনিয়োগকারীরা। সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা গেলেও শেষ পর্যন্ত দরপতন হয়েছে।
মূলত শেষ এক ঘণ্টায় এক শ্রেণির বিনিয়োগকারী বিক্রির চাপ বাড়ানোতে কিছু বড় মূলধনের প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কমে যায়। এতে মূল্যসূচকের পতন হয়েছে। তবে লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে। ডিএসইতে এদিন ১৩ কার্যদিবসের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে। ডিএসইতে দাম কমার তালিকায় বেশি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট থাকলেও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) দাম বাড়ার তালিকায় বেশি প্রতিষ্ঠান স্থান পেয়েছে। ফলে এই শেয়ারবাজারে বেড়েছে মূল্যসূচক। তবে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।
এর আগে রবিবার সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে নেটওয়ার্ক সমস্যার কারণে ডিএসইতে লেনদেনে বিঘœ ঘটে। নির্ধারিত সময়ের দেড় ঘণ্টা পর সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে লেনদেন শুরু হয়ে চলে দুপুর ২টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত। পরের ১০ মিনিট অর্থাৎ ২টা ৫০ মিনিট থেকে ৩টা পর্যন্ত পোস্ট ক্লোজিং সেশন চলে। নেটওয়ার্ক সমস্যার সমাধানের পর লেনদেন হলেও শেয়ারবাজারে সার্বিক দরপতন হয়। পরের কার্যদিবস সোমবার ডিএসইতে মূল্যসূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যায়।
এমন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মধ্য দিয়ে। ফলে লেনদেনের শুরুতে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার দেখা মেলে। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বাড়ায় লেনদেনের এক পর্যায়ে ডিএসই’র প্রধান মূল্যসূচক ৩৪ পয়েন্ট বেড়ে যায়।
কিন্তু দুপুর ১টার পর শেয়ারবাজারের চিত্র বদলে যেতে থাকে। দাম বাড়ার তালিকা থেকে বেশ কিছু বড় মূলধনের প্রতিষ্ঠান দাম কামার তালিকায় চলে আসে। ফলে একদিনে দাম কমার তালিকা বড় হয়, অন্যদিকে সবকটি মূল্যসূচক কমে দিনের লেনদেন শেষ হয়।