সাতদিনে এলো ৭ হাজার ১৪ কোটি টাকার
ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করেছে রেমিটেন্সের প্রবাহ। গত মাসের ধারাবাহিকতা রয়েছে চলতি মাসে। আগস্টের চেয়ে রেমিটেন্স বা প্রবাসী আয় বাড়তে পারে চলতি মাস সেপ্টেম্বরে। এ মাসের প্রথম সাতদিনেই এসেছে ৫৮ কোটি ৪৫ লাখ ডলারের রেমিটেন্স। যা বাংলাদেশী মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২০ টাকা হিসাবে) ৭ হাজার ১৪ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ প্রতিবেদন বলছে, সেপ্টেম্বরের প্রথম সাতদিনে ৫৮ কোটি ৪৫ লাখ ৪০ হাজার ডলারের রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীরা। আর প্রতিদিন আসছে ৮ কোটি ৩৫ লাখ ডলার করে। এভাবে রেমিটেন্স আসার ধারাবাহিকতা থাকলে চলতি মাসে আড়াই বিলিয়ন ছাড়িয়ে যাবে।
আলোচিত সাতদিনে কোনো রেমিটেন্স আসেনি এমন ব্যাংকের সংখ্যা ১২টি। এর মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকাব। বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেনস ব্যাংক, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক ও সীমান্ত ব্যাংক।
বিদেশী ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে ব্যাংক আল-ফালাহ, হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া এবং উরি ব্যাংক।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, চলতি মাস সেপ্টেম্বরের শুরু থেকেই রেমিটেন্স আসার গতি ভালো রয়েছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে আড়াই বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। রেমিটেন্স বেশি আসার পেছনে সচেতনতা কাজ করছে। প্রবাসীদের কাছে পৌঁছানো আর ডলারের দরবৃদ্ধিতে হুন্ডি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন তারা। এতে বাড়ছে রেমিটেন্স আসার পরিমাণ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, দেশের ইতিহাসে একক মাসে সর্বোচ্চ ২৬০ কোটি ডলার রেমিটেন্স এসেছিল ২০২০ সালের জুলাই মাসে। বছরওয়ারি হিসাবে সর্বোচ্চ রেমিটেন্স আসে ২০২০-২১ অর্থবছরে। ওই অর্থবছরে মোট রেমিটেন্স আসে ২৪ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৪৭৮ কোটি ডলার। আর চলতি বছরের জুন মাসে ব্যাংকিং চ্যানেলে মোট ২৫৪ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় দেশে এসেছে। বাংলাদেশী মুদ্রায় যা ২৯ হাজার ৭১৮ কোটি টাকা। এটি এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিটেন্স বা প্রবাসী আয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, সদ্য বিদায়ী আগস্ট মাসের পুরো সময়ে দেশে বৈধপথে রেমিটেন্স এসেছে ২২২ কোটি (২.২২ বিলিয়ন) ডলার। যা তার আগের বছরের (আগস্ট-২০২৩) একই সময়ের চেয়ে ৬২ কোটি ডলার বেশি এসেছে।
