ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

aiub
aiub

এলসিসহ ই-ব্যাংকিংয়ে গ্রাহকদের ভোগান্তি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২২:৪২, ২৪ জুলাই ২০২৪

এলসিসহ ই-ব্যাংকিংয়ে গ্রাহকদের ভোগান্তি

বুধবার সীমিত পরিসরে ব্যাংকিং লেনদেন সম্পন্ন হয়

কোটা সংস্কার আন্দোলনের জেরে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে সরকারের নির্বাহী আদেশে তিন দিন বন্ধ ছিল দেশের সব বাণিজ্যিক ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠান। বুধবার ১১টা থেকে লেনদেন শুরু হয়, চলে বিকেল ৩টা পর্যন্ত। এ সময় ব্যাংকগুলোতে সীমিত পরিসরে সেবা দেওয়া হয়। বেশিরভাগ ব্যাংকে অর্থ লেনদেন ছাড়া অন্য কোনো কার্যক্রম তেমন হয়নি। ফলে জমা-উত্তোলনের কাউন্টারে কিছু গ্রাহক থাকলেও বাকিগুলো ছিল অনেকটাই ফাঁকা। পে-অর্ডার, ঋণপত্র (এলসি) খুলতে না পেরে ভোগান্তিতে পড়েন অনেক গ্রাহক।  
বুধবার রাজধানীর ব্যাংকপাড়া মতিঝিল, দিলকুশা পল্টনসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়। লেনদেন শুরুর ঘণ্টা খানেক পর দুপুর ১২টার দিকে মতিঝিল সোনালী ব্যাংকের লোকাল অফিসে গিয়ে দেখা যায়, টাকা জমা ও উত্তোলনের কাউন্টারের সামনে গ্রাহক লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। অন্যান্য কাউন্টারগুলো প্রায় ফাঁকা। 
ব্যাংকের কাউন্টারের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গ্রাহকরা শুধুমাত্র টাকা জমা-উত্তোলন করতে পারছেন। এলসি বা অন্য কোনো ব্যাংকের চেক ক্লিলিয়ারিং হচ্ছে না। সোনালী ব্যাংকে টাকা তুলতে আসা আমিনুল নামে এক গ্রাহক বলেন, একটি পে-অর্ডার ছিল ক্লিয়ারিং হয়নি। পাইকারি পণ্য বিক্রি করি গত কয়েক দিন টাকা দিতে পারিনি তাই মাল আটকা আছে। বাধ্য হয়ে টাকা তুললাম মাল আনব নগদ টাকা দিয়ে।
মতিঝিল সোনালী ব্যাংকের লোকাল অফিসের জেনারেল ম্যানেজার শফিকুল ইসলাম বলেন, বুধবার তিনদিন পর ব্যাংক খুলেছে। লেনদেন যে অনেক বেশি ছিল উপচে পড়া ভিড় তা নয়, স্বাভাবিক দিনের মতোই হয়েছে। এলসি হয়নি এছাড়া আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং সেবাগুলোও দেওয়া যায়নি। 
তবে দেশের ভেতরে এনপিএসবি ও বিইএফটিএন সেবা পেয়েছেন গ্রাহকরা। নিট পোশাক শিল্পের মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতির মোহাম্মদ হাতেম বলেন, নেট পুরোপুরি স্বাভাবিক না হলে এলসি হবে কেমন করে? গত সাতদিন আগে তিনটি এলসি দিয়ে রেখেছি একটাও ওপেন হয়নি। আজ সকালে ব্যাংকে কথা বললাম, তারা জানাল চেষ্টা করছে। এখন ৩টা পেরিয়ে গেলো কিন্তু এলসি ওপেন হয়নি।

সাধারণ ছুটি ঘোষণার কারণে টানা তিন দিন বন্ধ ছিল দেশের ব্যাংকগুলো। লেনদেনসহ সব ধরনের ব্যাংকিং কার্যক্রমও বন্ধ ছিল। এ সময় ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকায় ডিজিটাল ও মোবাইল ফোনে আর্থিক সেবা কার্যক্রমও ব্যাহত হয়। যার কারণে আমদানি-রপ্তানিসহ দেশের আর্থিক কর্মকা- স্থবির হয়ে পড়ে। পরে মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংক সব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের (সিইও) কাছে পাঠানো নির্দেশনায় সীমিত পর্যায়ে ব্যাংকিং চালুর বার্তা দেয়।

চিঠিতে বলা হয়েছে, বুধবার ব্যাংকের ৫০ শতাংশ শাখা ও বৃহস্পতিবার ৭৫ শতাংশ শাখা খোলা রাখতে হবে। কার্ফু শিথিল থাকার সময়ে বেলা ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করে নির্ধারিত শাখায় সীমিত আকারে ব্যাংকিং সেবা প্রদান করতে হবে। ব্যাংকগুলো তাদের সুবিধামতো শাখা খোলা রাখার উদ্যোগ নেবে।

×