ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

জিকিউয়ের বিনিয়োগ তদন্তে কমিটি গঠন

জিকিউয়ের বিনিয়োগ তদন্তে কমিটি গঠন

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত জিকিউ বলপেনের আর্থিক প্রতিবেদন এবং এর সহযোগী প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ বিষয়ে তদন্ত করতে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। কমিটিকে আগামী ৬০ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছে। গত ১১ নভেম্বর বিএসইসি তদন্ত কমিটিটি গঠন করেছে। কমিটিতে রয়েছেন-বিএসইসির অতিরিক্ত পরিচালক মো. ফারুক হোসেন, সহকারী পরিচালক মো. আমিরুল ইসলাম এবং সহকারী পরিচালক বিনয় দাস। বিএসইসির নির্দেশ অনুসারে, তদন্ত কমিটি ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত জিকিউ বলপেনের আর্থিক প্রতিবেদন পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করবে। এতে কোম্পানির সম্পদ, দায়, ইক্যুইটি, লাভ এবং নগদ প্রবাহের বিস্তারিত পরীক্ষা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত জিকিউ বলপেনের আর্থিক প্রতিবেদন এবং এর সহযোগী প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ বিষয়ে তদন্ত করতে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। কমিটিকে আগামী ৬০ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছে। গত ১১ নভেম্বর বিএসইসি তদন্ত কমিটিটি গঠন করেছে। কমিটিতে রয়েছেন-বিএসইসির অতিরিক্ত পরিচালক মো. ফারুক হোসেন, সহকারী পরিচালক মো. আমিরুল ইসলাম এবং সহকারী পরিচালক বিনয় দাস। বিএসইসির নির্দেশ অনুসারে, তদন্ত কমিটি ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত জিকিউ বলপেনের আর্থিক প্রতিবেদন পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করবে। এতে কোম্পানির সম্পদ, দায়, ইক্যুইটি, লাভ এবং নগদ প্রবাহের বিস্তারিত পরীক্ষা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

অর্থনীতি বিভাগের সব খবর

অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা আসতে শুরু করেছে ॥ অর্থ উপদেষ্টা

অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা আসতে শুরু করেছে ॥ অর্থ উপদেষ্টা

যে কোনো মূল্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতি করার জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। অন্যথায় দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ভেঙে পড়বে বলে আশঙ্কা তাদের। তবে বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশির উদ্দিন বলেন, ‘নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। টার্গেট করে নৈরাজ্য সৃষ্টি করা হচ্ছে।’ অন্যদিকে, অর্থ উপদেষ্টা জানিয়েছেন, ‘ক্ষয় হয়ে যেতে শুরু করা দেশের অর্থনীতিতে কিছুটা স্থিতিশীলতা আসতে শুরু করেছে। বাড়ছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। বিদেশী সহযোগী সংস্থাগুলো খুবই ইতিবাচক সাড়া দিচ্ছে।’ শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে ঢাকা চেম্বার আয়োজিত বাণিজ্য সম্মেলনে সব খাতের ব্যবসায়ী নেতারা অভিযোগ করেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ‘প্রাইভেট সেক্টর আউটলুক : প্রত্যাশা ও অগ্রাধিকার’ শীর্ষক বাণিজ্য সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা। বাণিজ্য সম্মেলনে সূচনা বক্তব্যে ডিসিসিআই সভাপতি আশরাফ আহমেদ বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি এখনো পুরোপুরি হয়নি। তাছাড়া জ্বালানি সমস্যা লেগেই রয়েছে। এতে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে শিল্প কারখানায়। এ পরিস্থিতিতে ব্যবসা চালিয়ে নেওয়া কঠিন হবে। অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ লিমিটেডের (এবিবি) চেয়ারম্যান সেলিম আর এফ রহমান বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। মূল্যস্ফীতি এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। মনিটারি পলিসিতে পরিবর্তন আনতে হবে। প্রতিটি খাত দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ব্যবসা চালিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আনতে হবে। ব্যাংক খাতকে ঢেলে সাজাতে হবে। জ্বালানি সরবরাহ বাড়াতে হবে। ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালসের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল মুক্তাদির বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। এটি বন্ধ করতে হবে। চোখ বন্ধ না করে, চোখ খোলা রেখে বাস্তবতার মুখোমুখি হতে হবে। তিনি এ বিষয়ে সরকারকে পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানান। বিকেএইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, মাহমুদ ডেনিমের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালককে সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলার জন্য ডেকে নেওয়া হলো। কিন্তু তার ওপর হামলা হয়েছে। এটি ক্রেতাদের কাছে নেতিবাচক বার্তা দেবে।

নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনে ১৫ বছর পর্যন্ত কর সুবিধা

নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনে ১৫ বছর পর্যন্ত কর সুবিধা

নবায়নযোগ্য জ্বালানি নির্ভর বিদ্যুৎকেন্দ্রের বাণিজ্যিক উৎপাদনে সব কোম্পানিকে আয়কর অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ২০২৫ সালের ১ জুলাই থেকে ২০৩০ সালের ৩০ জুন এর মধ্যে উৎপাদনে যাওয়া কোম্পানিকে ১৫ বছরের জন্য শর্ত সাপেক্ষে এই অব্যাহতি সুবিধা দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। বৃহস্পতিবার এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান সই করা প্রজ্ঞাপন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি বলতে জলবিদ্যুৎ, বায়ু ও সৌরচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রকে বোঝানো হয়েছে। এর আগে গত অক্টোবরে ১০ বছরের জন্য ওই কর অব্যাহতি সুবিধা দেওয়া হলেও এবারে তা বৃদ্ধি করে ১৫ বছর করা হয়েছে। এনবিআরের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), আয়কর আইন, ২০২৩ এর ধারা ৭৬ এর উপধারা (১) অনুযায়ী সব ব্যক্তির বা কোম্পানির নবায়নযোগ্য জ্বালানি নির্ভর বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কোম্পানিকে কর অব্যাহতি সুবিধা দেওয়া হয়েছে। যেসব কোম্পানির বাণিজ্যিক উৎপাদন ২০২৫ সালের ১ জুলাই থেকে ২০৩০ সালের ৩০ জুনের মধ্যে শুরু হবে, সেসব কোম্পানি শর্ত সাপেক্ষে কর অব্যাহতি সুবিধা পাবে। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হতে প্রথম ১০ বছর পর্যন্ত (প্রথম থেকে ১০ বছর) শতভাগ কর অব্যাহতি সুবিধা পাবে। পরের ৩ বছর অব্যাহতি সুবিধা ৫০ শতাংশ ও পরবর্তী ২ বছর ২৫ শতাংশ কর অব্যাহতি সুবিধা পাবে। শর্তের মধ্যে রয়েছে-আয়কর আইনের সব বিধানাবলি পরিপালন করতে হবে এবং প্রাইভেট সেক্টর পাওয়ার জেনারেশন পলিসি অব বাংলাদেশ-এ নির্ধারিত সব শর্তাবলি পূরণ করতে হবে।

ফের দরপতনে শেয়ারবাজার

ফের দরপতনে শেয়ারবাজার

এক কার্যদিবস ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর দেশের শেয়ারবাজারে আবার দরপতন হয়েছে। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দাম কমার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। ফলে কমেছে মূল্যসূচক। তবে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে দরপতনের পাল্লা ভারি হলেও অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) দাম বেড়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের। ফলে মূল্যসূচকও বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। এর আগে গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসের প্রতি কার্যদিবসেই লেনদেন অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমে। এতে গত সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ১১ হাজার ৯৫৯ কোটি টাকা। আর প্রধান মূল্যসূচক কমেছে ১৫৭ পয়েন্ট। আর চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক কমে ৫১ পয়েন্ট ও দ্বিতীয় কার্যদিবসে কমে ১০ পয়েন্ট। আর তৃতীয় কার্যদিবসে প্রধান মূল্যসূচক ৭ পয়েন্ট বাড়লেও দরপতন হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের। তবে চতুর্থ কার্যদিবসে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম বাড়ার পাশাপাশি বাড়ে সবকটি মূল্যসূচক। এমন পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেনের শুরুতে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার দেখা মেলে। লেনদেনের প্রথম সাড়ে তিন ঘণ্টা সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকে। কিন্তু শেষ আধাঘণ্টার লেনদেনে দাম কমার তালিকা বড় হওয়ায় প্রধান মূল্যসূচক কমেই দিনের লেনদেন শেষ হয়। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে ১২৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের স্থান হয়েছে দাম বাড়ার তালিকায়। বিপরীতে দাম কমেছে ১৯৬টি প্রতিষ্ঠানের। আর ৬৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। 

পুঁজিবাজারের মূল শক্তিই বিনিয়োগকারী ॥ ডিএসই পরিচালক

পুঁজিবাজারের মূল শক্তিই বিনিয়োগকারী ॥ ডিএসই পরিচালক

বিনিয়োগকারীদের আস্থার ওপর নির্ভর করে পুঁজিবাজারের ভবিষ্যৎ। মূলত এ বাজারের শক্তিই হলো বিনিয়োগকারীরা। তাদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পারলেই বাজার স্থিতিশীল হবে। এজন্য বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করতে হবে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ট্রেনিং একাডেমি কর্তৃক আয়োজিত ৪ দিনব্যাপী ‘কমপ্লায়েন্স অ্যান্ড ইন্টারঅ্যাকটিং ইস্যু ফর দ্য টিআরইসি হোল্ডারস’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালার আজ সমাপনী দিনে সার্টিফিকেট বিতরণী অনুষ্ঠানে ডিএসইর পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন এসব কথা বলেন। বৃহস্পতিবার উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. শফিকুর রহমানের পাঠান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান হয়েছে। ডিএসইর পরিচালক বলেন, এ ক্ষেত্রে ব্রোকারেজ হাউসের সিইও, সিএফও, কমপ্লায়েন্স অফিসার ও অনুমোদিত প্রতিনিধিদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। বিশেষ করে অনুমোদিত প্রতিনিধিদের কমপ্লায়েন্সের সকল নির্দেশনা সঠিকভাবে মেনে চলে লেনদেন সম্পন্ন করতে হবে। আপনারা হচ্ছেন বাজারের মূল সহায়ক শক্তি। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে সার্বিক অর্থনীতির সঙ্গে সমন্বয় রেখে পুঁজিবাজার বড় হয়নি। ইতোমধ্যে বেশকিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো বাজারে কোনো বাজে আইপিও না আসা। অর্থনীতি উন্নয়নের জন্য সরকার বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে এর মধ্যে টাকা পাচার বন্ধ এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ঋণের কিস্তি না দিলে ঋণ খেলাপি হয়ে যাওয়া ইত্যাদি। আমরা আশাবাদী খুব শীঘ্রই সরকার পুঁজিবাজারের দিকে আরও অধিক নজর দিবে। মিনহাজ মান্নান বলেন, একজন বিনিয়োগকারীর জন্য আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তিন মাসে স্বাভাবিক হবে ন্যাশনাল ব্যাংক

তিন মাসে স্বাভাবিক হবে ন্যাশনাল ব্যাংক

ন্যাশনাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেছেন, চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত প্রায় ৯০০ কোটি টাকা খেলাপি ঋণ আদায় করেছে ন্যাশনাল ব্যাংক। তিনি বলেন, চলতি বছরের বাকি সময়ের মধ্যে আরও ৪০০ কোটি টাকা আদায়ের প্রক্রিয়া চলমান। আশা করি, আগামী তিন মাসের মধ্যে একটা স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসবে। বৃহস্পতিবার ব্যাংকটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেন, দেশীয় উদ্যোক্তার মাধ্যমে পরিচালিত প্রথম ব্যাংক বেসরকারি ন্যাশনাল ব্যাংক। অ্যাসেট রিকভারি, বৈদেশিক বাণিজ্য এবং রেমিটেন্স বাড়ানোর চেষ্টা করছি। এ লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি, টিম কাজ করছে। তিনি বলেন, এই কঠিন সময়েও আমাদের ব্যাংক দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খাত গার্মেন্টস শিল্প ও কারখানাগুলোর সঙ্গে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। বিশেষত এলসি সুবিধা প্রদানসহ গার্মেন্টস কর্মীদের বেতন-ভাতা সময়মতো পরিশোধ নিশ্চিত করায় ন্যাশনাল ব্যাংক সদা সচেষ্ট। পাশাপাশি দেশর অর্থনীতিকে সচল রাখতে বৈদেশিক লেনদেনের ক্ষত্রেও ন্যাশনাল ব্যাংক যথেষ্ট সচেষ্ট। ফলে সাম্প্রতিক সময়েও রেমিটেন্সে ন্যাশনাল ব্যাংকের অবস্থান দৃঢ় রয়েছে। আব্দুল আউয়াল মিন্টু বলেন, ন্যাশনাল ব্যাংকের অনিয়ম ছিল বহুমাত্রিক ও বহুপাক্ষিক। নিয়ম বা অনিয়ম যেভাবেই ঋণ দেওয়া হোক, অনাদায়ী ঋণ আদায় আমাদের লক্ষ্য। তবে আমরা দায়িত্ব নেওয়ার তিন মাসের মধ্যে কোনো অনিয়ম হয়নি, আগামীতেও হবে না। অনিয়মের টাকা উদ্ধারে কাজ করে যাচ্ছি। ৫টি টিম কাজ করছে, দেশের বাইরে থেকেও অডিট কাজ করছে। তিনি আরও বলেন, অনেক ব্যাংকের ওপর আস্থা না থাকায় গ্রাহক অন্য ব্যাংক চলে যাচ্ছে, এটা আমাদের ক্ষেত্রেও দেখেছি। আস্থা রাখুন, তিন মাস পর ভালো কিছু দেখা যাবে। গ্রাহকদের কোনো কোনো ব্যাংকের প্রতি আস্থা নেই। কারণ মানুষের বেতন যা বেড়েছে তার চেয়ে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। এতে অনেক গ্রাহক সঞ্চয় ভাঙছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের সহযোগিতায় আমরা সেই আস্থা ফেরানোর কাজ করছি। তিনি আরও বলেন, ন্যাশনাল ব্যাংকের বড় ধরনের আয় আসতো বৈদেশিক বাণিজ্যের মাধ্যমে। অনিয়মের কারণে এই আয়ে ভাটা পড়েছে। আশা করছি খুব শীঘ্রই এটিও ইতিবাচক ধরার ফিরবে। উদ্যোক্তা পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ন্যাশনাল ব্যাংকের টাকা যারা লুট করেছে আমরা তাদের চিহ্নিত করেছি। যেসব ব্যক্তি এই ব্যাংক লুট করেছে তাদের অনেকের গুলশানের জায়গা হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদের সন্ধান পেয়েছি। আমরা রিকভারিতে জোর দিয়েছি। যদি তারা অর্থ ফেরত না দেয় তাহলে তাদের সম্পদ বিক্রি করে ব্যাংকের অর্থ ফিরিয়ে আনব। এ ছাড়া যেসব অর্থ দেশের বাইরে পাচার করা হয়েছে সেগুলো বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী তিন মাসের মধ্যে সংকট কাটবে। উল্লেখ্য, গত ২০ আগস্ট বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন পর্ষদ গঠন করে দেয়। এর মাধ্যমে এস আলমের হাত থেকে দখলমুক্ত করা হয় ন্যাশনাল ব্যাংককে। বৃহস্পতিবার ন্যাশনাল ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে ন্যাশনাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও উদ্যোক্তা পরিচালক আবদুল আউয়াল মিন্টু, ভাইস চেয়ারম্যান ও উদ্যোক্তা পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন, পরিচালক জাকারিয়া তাহের, স্বতন্ত্র পরিচালক মুখলেসুর রহমান, মো. আব্দুস সাত্তার সরকার, ড. মেলিতা মেহজাবিন, মো. জুলকার নায়েন উপস্থিত ছিলেন।

ইইউতে রপ্তানি কমতে পারে ২০ শতাংশ 

ইইউতে রপ্তানি কমতে পারে ২০ শতাংশ 

স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় বাংলাদেশের উঠে আসা ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ভিয়েতনামের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (ইভিএফটিএ) প্রভাবে ইইউতে বাংলাদেশের সামগ্রিক রপ্তানি ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারে। রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্টের (র‌্যাপিড) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক বুধবার ঢাকায় এক সেমিনারে এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, ইভিএফটিএর জন্য বাণিজ্য পরিবর্তনের কারণে ইইউতে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি এক দশমিক আট শতাংশ এবং চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য সাড়ে ছয় শতাংশ কমবে বলে জানানো হচ্ছে। ২০০২ সালে উভয় দেশের একই ধরনের চালান থাকা সত্ত্বেও ২০২৩ সালের মধ্যে ইইউতে ভিয়েতনামের রপ্তানি দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে। তার মতে, ভিয়েতনাম পোশাক শিল্পের ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজে প্রচুর বিনিয়োগ করেছে। বাংলাদেশ এখনো দৃশ্যমান কিছু করতে পারেনি, সুযোগটি পুরোপুরি কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছে। ২০২০ সালে কার্যকর হওয়া ইভিএফটিএর মাধ্যমে ভিয়েতনামকে আগের স্ট্যান্ডার্ড জেনারালাইজড স্কিম অব প্রেফারেন্সেসের (জিএসপি) পরিবর্তে ইইউ বাজারে বিনা শুল্কে বাণিজ্য সুবিধা দেওয়া হয়। শুল্ক তুলে নেওয়া ছাড়াও ইভিএফটিএ শুল্কহীন বাধাগুলো মোকাবিলা, পরিষেবা ও বিনিয়োগের জন্য বাজার খুলে দেয় এবং ভিয়েতনামকে ইইউর শ্রম ও পরিবেশগত মানের সঙ্গে মিলিয়ে নেয়। সম্মিলিতভাবে প্রতিযোগিতা ও বিনিয়োগের পথকে প্রশস্ত করে। বর্তমানে এভরিথিং বাট আর্মস (ইবিএ) কর্মসূচির আওতায় ইইউয়ে বাংলাদেশ রপ্তানি পণ্যের শুল্কমুক্ত সুবিধা পাচ্ছে। এটি সেখানে পোশাক রপ্তানি বাড়াতে সহায়ক হয়েছে। তবে এ সুবিধা শুধু স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য প্রযোজ্য। অর্থাৎ উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার পর বাংলাদেশ এ সুবিধা হারাতে পারে। একই সময়ে, বাংলাদেশ নীতি বাস্তবায়নে পিছিয়ে থাকলেও ভিয়েতনাম সময়োপযোগী ও কৌশলগত নীতি ব্যবস্থা নিয়ে কার্যকরভাবে ব্যবসার পরিবেশ সুসংহত এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগ বাড়িয়েছে। মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক মনে করেন, বাংলাদেশ যদি প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে চায়, বিশেষ করে বৈশ্বিক বাণিজ্য বিধিমালা বিকশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজসহ অবকাঠামো উন্নয়নে বিনিয়োগকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। তার ভাষ্য, বাংলাদেশ পোশাক রপ্তানির ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল এবং ভিয়েতনামের রপ্তানি আরও বহুমুখী। বিশ্ব পোশাক বাজারে চীনের পণ্য কমে যাওয়ায় যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে তা বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামও একই গতিতে পূরণ করছে। তিনি জানান, ইইউয়ে চীনের বাজার দখল করেছে বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রে ভিয়েতনাম। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম এহসান বলেন, উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার পর মোট রপ্তানি কমার আশঙ্কা নেই। তার মতে, চীন ও ভিয়েতনামে শ্রম সংক্রান্ত সমস্যার পাশাপাশি শ্রমিকরা পোশাকশিল্পে কম আগ্রহী হওয়ায় সেসব দেশ থেকে কার্যাদেশ বাংলাদেশে চলে আসতে পারে। তিনি বাংলাদেশে শ্রমিক অসন্তোষ, জ্বালানি সংকট ও ব্যাংকিং খাতের অস্থিরতাসহ অন্যান্য সমস্যার কথাও তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান এম মাসরুর রিয়াজ ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকীও বক্তব্য রাখেন।

ক্ষতিগ্রস্ত আমদানিকারকরা ঋণ পরিশোধে সময় পাবেন ৮ বছর

ক্ষতিগ্রস্ত আমদানিকারকরা ঋণ পরিশোধে সময় পাবেন ৮ বছর

ডলারের বিপরীতে টাকার দাম কমে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত আমদানিকারকরা ঋণ পরিশোধে আট বছর পর্যন্ত সময় পাবেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, যেসব আমদানিকারক দাম পরিশোধে দেরি হওয়ার শর্তে পণ্য এনে লোকসানে পড়েছেন কেবল তারাই এ সুযোগ পাবেন। আলাদাভাবে লোকসান হিসাব করে এক বছরের বাড়তি সময়সহ মাসিক বা ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে এ ঋণ পরিশোধ করতে হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে- করোনা মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার দীর্ঘমেয়াদি প্রভাবের কারণে ডলারের বিপরীতে টাকার দাম অনেক কমেছে। কাঁচামাল আমদানি করতে গিয়ে দেশীয় কারখানাগুলো ডলারের বিনিময় হারের কারণে লোকসানে পড়েছেন। ফলে অনাকাক্সিক্ষত ঋণ সৃষ্টি হয়েছে এবং এসব প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন কমে যাওয়ার পাশাপাশি কার্যকরী মূলধনে ঘাটতি দেখা দিচ্ছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ইস্পাত ও সিমেন্ট খাতসহ আমদানিনির্ভর শিল্পের পাশাপাশি যেসব দেশীয় পণ্যের দাম সরকার নির্ধারণ করে সেগুলোর উৎপাদন চলমান রাখতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনা অনুসারে তেল-চিনিসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম সরকার নির্ধারণ করায় অনেক খাদ্যপণ্য আমদানিকারক এ সুবিধা পাবেন। বাংলাদেশ ব্যাংক আরও বলেছে, ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত এলসির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক বিনিময় হার-সংক্রান্ত মোট ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করবে। অপ্রত্যাশিত বিনিময় হার-সংক্রান্ত ক্ষতির মোট পরিমাণ নির্ধারণে যে পদ্ধতি ব্যবহার করা হবে তাও ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গ্রাহকের ঋণ ঝুঁকি বিশ্লেষণ করে ক্ষতির সমপরিমাণ টাকা ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল ক্রেডিট লিমিটের বাইরে আলাদা মেয়াদি ঋণ হিসেবে দেওয়া যাবে। এটি সর্বোচ্চ এক বছরের বিরতিসহ সর্বোচ্চ আট বছরের জন্য মাসিক বা ত্রৈমাসিক সমান কিস্তিতে পরিশোধ করা হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক আরও জানায়, কোনোভাবেই একক গ্রাহক ঋণসীমা অতিক্রম করা যাবে না এবং কোনো খেলাপিই এ সুবিধা পাবেন না। এ সুযোগ পেতে আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে নিজ নিজ ব্যাংকে আবেদন করতে হবে। ডলারের হারের ওঠানামার কারণে গ্রাহক প্রকৃতপক্ষে ক্ষতিতে পড়েছেন কি-না তা ব্যাংককে নিশ্চিত করতে হবে। সংশ্লিষ্ট নথি বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন বিভাগে যাচাইয়ের জন্য সংরক্ষণ করতে হবে। গত কয়েক বছরের ব্যবধানে প্রতি ডলারের বিনিময় হার বেড়ে হয়েছে ১২০ টাকা থেকে ১২৫ টাকা। গত বছরের জানুয়ারিতে তা ছিল ১০৫ টাকা ১০৭ টাকা। ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমদানিনির্ভর প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যকরী মূলধন কমেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।