ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ৩১ মার্চ ২০২৫, ১৬ চৈত্র ১৪৩১

শেষ মুহূর্তে রাজধানীর সব আউটলেটে জমজমাট বেচাকেনা

শেষ মুহূর্তে রাজধানীর সব আউটলেটে জমজমাট বেচাকেনা

শেষ মুহূর্তে ঈদের কেনাকাটায় ব্র্যান্ডের পাঞ্জাবি ও টি-শার্ট কিনতে আউটলেটগুলোতে উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। বিশেষ করে আড়ং, ইজি, কান্ট্রি বয়, লারিভ কোম্পানির নামডাক বেশি শোনা যাচ্ছে। সবগুলো আউটলেটেই জমজমাট বেচাকেনা। ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী পোশাক দিতে পেরে খুশি বিক্রয়কর্মীরাও। শনিবার রাজধানীর বেশ কয়েকটি আউটলেট ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। দেশব্যাপী পরিচিত পোশাকের ব্র্যান্ড আড়ংয়ের শো রুমে দেখা গেছে উপচেপড়া ভিড়। শাড়ি, পাঞ্জাবি, ছোট বাচ্চাদের বাহারি পোশাক পাওয়া যায় এই আউটলেটে। মগবাজার শাখার বিক্রয়কর্মী বলেন, ‘এবারের ঈদে আমাদের এই আউটলেটে বেচাকেনা অনেক ভালো। ইতোমধ্যে আমাদের পাঞ্জাবি স্টক আউট হয়ে গেছে। নতুন করে আবার আসছে।’ আড়ংয়ে  ‘পাঞ্জাবি ছাড়াও ছোট বাচ্চাদের অনেক রকম পোশাক রয়েছে। রয়েছে শাড়ি। ১ হাজার ৩০০ থেকে শুরু করে লাখ টাকার ওপরে শাড়ির কালেকশন রয়েছে। বিক্রিও হচ্ছে ভালো।’ আড়ং থেকে ক্রেতারা স্বাচ্ছন্দ্য ও ভালো মানের পোশাক পায় এ কারণে চাহিদা বেশি থাকে। আড়ংয়ে পোশাক কিনতে আসা বেসরকারি এক ব্যাংকের কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান জনকণ্ঠকে বলেন, ‘আমাদের পছন্দের তালিকায় আড়ং সবার ওপরে থাকে। এ কারণে এখানে এসেছি। আজকে প্রথম ঈদ শপিং করতে বের হয়েছি। এখান থেকে আমি ও আমার ছেলের জন্য পাঞ্জাবি কিনব। আড়ংয়ের পাঞ্জাবি আমার কাছে অনেক পছন্দের। ঈদে সাধারণত আড়ং থেকে পাঞ্জাবি কিনে থাকি। তাই এবারও আসছি।’ আড়ংয়ের বিপরীতে আরেক ব্র্যান্ডের আউটলেট কান্ট্রি বয়। সেখানে দেখা যায় ক্রেতাদের অনেক ভিড়। এই আউটলেটের ব্যবস্থাপক (ম্যানেজার) বাপ্পি দাস বাংলা বলেন, ‘এবারের ঈদে কেনাবেচা খারাপ না। ভালোই চলছে। তবে অন্যান্য ঈদের তুলনায় কিছুটা কম মনে হচ্ছে। তবে যেহেতু এখনো সময় আছে বিক্রি আরও বাড়বে।’ বাপ্পি বলেন, ‘আমাদের এখানে শার্ট, ছোট বাচ্চাদের পোশাক বেশি বিক্রি হচ্ছে।’ সারা ব্র্যান্ডের আউটলেটে দেখা যায় নানা রকমের পাঞ্জাবি, শার্ট, মেয়েদের বাহারি পোশাক। কথা হয় বিক্রয়কর্মী বখতিয়ারের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের পাঞ্জাবি বেশি চলছে। বিশেষ করে গ্রামীণ চেকের পাঞ্জাবিগুলোর কাটতি অনেক বেশি। ছোট-বড় সব রকমের কালেকশন রয়েছে।’ বখতিয়ার বলেন, ‘পাঞ্জাবির পাশাপাশি শার্টও ভালোই চলছে।’

অর্থনীতি বিভাগের সব খবর

ভোমরা স্থলবন্দরের আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম ৯ দিন বন্ধ থাকবে

ভোমরা স্থলবন্দরের আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম ৯ দিন বন্ধ থাকবে

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সাপ্তাহিক ছুটিসহ টানা ৯দিন জেলার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আমদানি রপ্তানি ও সকল প্রকার বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে, দুই দেশের পাসপোর্টধারী সাধারণ যাত্রীরা এসময় যাতায়াত করতে পারবেন। ভোমরা স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবু মুসা জানান, শুক্রবার সাপ্তাহিক সরকারি ছুটিসহ শনিবার থেকে আগামী ৫ এপ্রিল (শনিবার) পর্যন্ত টানা ৯ দিন বন্দরের সকল ধরনের আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। আগামী ৬ এপ্রিল রবিবার থেকে যথারীতি আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হবে। তিনি আরও জানান, ভোমরা কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশন ও ভারতের ঘোজাডাঙ্গা বন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কার্গো ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের মধ্যে আলোচনা সাপেক্ষে উভয় দেশের সম্মতিতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে, পাসপোর্টধারী যাত্রীরা এ সময়ে যাতায়াত করতে পারবেন।  সাতক্ষীরা ভোমরা স্থলবন্দর ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তুফাল দুলাল মণ্ডল জানান, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ভোমরা স্থল বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও পাসপোর্টধারী যাত্রীরা এসময়ে যাতায়াত করতে পারবেন। ভোমরা স্থলবন্দর শুল্ক স্টেশনের ডেপুটি কমিশনার আবুল কালাম আজাদ বলেন, ভোমরা সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের আবেদনের প্রেক্ষিতে এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের দিক নির্দেশনা মোতাবেক সাপ্তাহিক ছুটিসহ আজ শুক্রবার ২৮ মার্চ থেকে আগামী ৫ এপ্রিল শনিবার পর্যন্ত টানা ৯ দিন বন্দরের আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে।

ঈদে মুরগির দাম বৃদ্ধির পেছনে করপোরেট সিন্ডিকেটের কারসাজি ॥ বিপিএ

ঈদে মুরগির দাম বৃদ্ধির পেছনে করপোরেট সিন্ডিকেটের কারসাজি ॥ বিপিএ

বাংলাদেশের পোল্ট্রি শিল্প বর্তমানে এক চরম সংকটের মুখে রয়েছে। বিশেষ করে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মুরগির দাম বৃদ্ধির পেছনে যে কারণগুলো রয়েছে, তা দেশের পোল্ট্রি খামারিদের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক। সাম্প্রতিক সময়ে মুরগির বাজারদর বেড়েছে, তবে এর পেছনে রয়েছে করপোরেট কোম্পানির সিন্ডিকেট ও প্রান্তিক খামারিদের উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির একটি জটিল সম্পর্ক। ডিম-মুরগির দাম বাড়লেই সকল মহলে হইচই পড়ে যায়, বাজারে অভিযান পরিচালিত হয়।  অথচ ফিড ও বাচ্চার দাম বাড়লেও সরকার নীরব। এটা কি দ্বৈত নীতি নয়? বড় কোম্পানিগুলো সিন্ডিকেট করে ফিড মুরগির বাচ্চার দাম বাড়ালেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। যদি ডিম-মুরগির দাম নিয়ন্ত্রণে অভিযান চলে, তবে ফিড ও বাচ্চার বাজারেও একইভাবে অভিযান চালিয়ে উৎপাদন খরচ কমানো উচিত। নইলে খামারিরা টিকে থাকবে কীভাবে? বাজার অস্থিরতা কাটবে না। শনিবার বাংলাদেশ পোল্টি অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএ) সভাপতি সুমন হাওলদারের স্বাক্ষরিত  এক বিজ্ঞপ্তিতে একথা বলা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রান্তিক খামারিরা বর্তমানে ১ কেজি ব্রয়লার মুরগি উৎপাদনে খরচ করছেন ১৭০-১৮০ টাকা, যেখানে করপোরেট কোম্পানির উৎপাদন খরচ ১৩০-১৩৫ টাকা। এর ফলে প্রতি কেজিতে প্রায় ৩০-৪০ টাকা বেশি খরচ করতে হচ্ছে ক্ষুদ্র খামারিদের। উৎপাদন খরচের এই বৈষম্যের কারণে তারা বাজারে প্রতিযোগিতা করতে পারছেন না এবং প্রতিনিয়ত লোকসানের মুখে পড়ছেন। গত ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে মুরগির বাচ্চার দাম ছিল ৪৫-৫৫ টাকা, তখন ১ কেজি ব্রয়লার মুরগির উৎপাদন খরচ ছিল ১৫৫ টাকা, আর বাজারদর ছিল ১৮০-১৯০ টাকা। বর্তমানে মুরগির বাচ্চার দাম বেড়ে ৭০-৮০ টাকা হয়ে যাওয়ায় উৎপাদন খরচ ১৭০-১৮০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। বাজারে মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২২০-২৩০ টাকায়, যা অনেকের কাছে ন্যায্য মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে প্রান্তিক খামারিরা লাভবান হচ্ছেন না। মুরগির বাচ্চার অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি পোল্ট্রি শিল্পে সংকটের অন্যতম প্রধান কারণ। ঈদের আগে হঠাৎ করেই বাচ্চার দাম ৪৫-৫৫ টাকা থেকে ৭০-৮০ টাকায় বেড়ে গেছে। এর ফলে খামারিদের উৎপাদন খরচ বেড়ে গিয়েছে, অথচ করপোরেট কোম্পানিগুলো তুলনামূলকভাবে কম দামে উৎপাদন করতে পারছে। কোম্পানিগুলো নিজেদের মুনাফা বাড়ানোর জন্য বাচ্চার দাম বাড়িয়ে সিন্ডিকেট তৈরি করেছে, যা ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক খামারিদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সেমাই-চিনি ও সুগন্ধি চালে স্বস্তি

সেমাই-চিনি ও সুগন্ধি চালে স্বস্তি

ঈদের সকালে সেমাই কিংবা নামাজ থেকে ফিরে জর্দা-পোলাও খাওয়া রেওয়াজ হয়ে গেছে। তবে এবার এরজন্য খুব বেশি বেগ পেতে হবে না অন্যান্য বছরের মতো। কারণ এ বছর সেমাই, চিনি ও সুগন্ধি চালের দাম স্বস্তিদায়ক পর্যায়ে রয়েছে। বাড়েনি বরং গত বছরের চেয়ে কমেছে। যদিও তরল ও গুঁড়া দুধের দাম কিছুটা বেড়েছে। সবকিছু হিসেবে নিলে মোটাদাগে খরচের ফর্দ কমই থাকছে। এদিকে ঈদের ছুটি শুরু হওয়ার পর থেকে রাজধানীর নিত্যপণ্যের বাজারগুলোতে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। ভোক্তারা সাধ্যমতো মুদিপণ্যের কেনাকাটা করেছেন। পোলাওর চালের পাশাপাশি সেমাই, চিনি, মসলাপাতি কিনছেন। এই কেনা-বেচা চাঁদ রাত পর্যন্ত চলবে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, লাচ্ছা সেমাইয়ের ২০০ গ্রামের প্যাকেট কোম্পানিভেদে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আবার কোম্পানির চিকন সাদা সেমাইও ২০০ গ্রামের প্যাকেটের দাম ৪৫ টাকা। আর ঘিয়ে ভাজা বা স্পেশাল ৪০০ গ্রামের প্যাকেট বিক্রি হচ্ছে ২১০ টাকা থেকে শুরু করে ৪৫০ টাকা পর্যন্ত। এছাড়া খোলা লাচ্ছা সেমাই বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১৮০ থেকে ২২০ টাকায়। খোলা চিকন সেমাই ১২০-১৮০ টাকা দামে বিক্রি হতে দেখা গেছে। গত বছরও সেমাইয়ের দাম একই রকম ছিল বলে জানান বিক্রেতারা। খিলগাঁও তালতলা বাজারে বিক্রমপুর স্টোরের কর্ণধার আব্দুর রশিদ বলেন, সেমাইয়ের দাম গত বছর যা ছিল এ বছরও তাই রয়েছে। বরং খোলা সেমাই এর দাম অনেকটা কমেছে। অন্যদিকে বাজারে এখন প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে। গতবার ঈদের আগে এ চিনি কিনতে হয়েছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায়। একইভাবে ভালো মানের সুগন্ধি চাল ১১৫-১২০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে, যা গত বছরের ঈদের আগের চেয়ে প্রায় ২০ টাকা কম। রামপুরা ভাই ভাই স্টোরের জামাল হোসেন বলেন, পোলাওয়ের চাল নিয়ে এবার কোনো সমস্যা নাই। বরং গত বছরের চেয়ে কম দামে ভালো মানের চাল বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজার ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রতি লিটার তরল দুধ ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সর্বশেষ ২১ মার্চ রাষ্ট্রীয় দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লিমিটেড (মিল্ক ভিটা) তরল দুধের দাম বাড়ায়। তাতে আধা লিটার প্যাকেটের দুধের দাম ৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫৫ টাকা এবং এক লিটার প্যাকেটের দুধের দাম ৯০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০০ টাকা করা হয়েছে। এর আগে গত বছরের নভেম্বরে আড়ং ও প্রাণ একইভাবে তাদের প্রস্তুতকৃত তরল দুধের দাম বাড়িয়ে ১০০ টাকা করেছিল। তবে এতদিন মিল্কভিটার দুধ ১০ টাকা কমে ৯০ টাকা লিটার দরে বিক্রি হতো। অন্যদিকে বাজারে বর্তমানে প্রতি কেজি গুঁড়া দুধ ৮২০ থেকে ৮৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যেমন বাজারে এখন প্রতি কেজি ডিপ্লোমা দুধ ৮৬০ টাকা, ফ্রেশ দুধ ৮১০–৮২০ টাকা ও স্টারশিপ ৬৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা জানান, দুই মাস আগে খুচরা পর্যায়ে গুঁড়া দুধের দাম কেজিতে ৩০ টাকার মতো বাড়িয়েছিল কোম্পানিগুলো। ডিপ্লোমা, ডানো, ডানো ডেইলি, পুষ্টি, ফ্রেশ, মার্কস, স্টারশিপসহ প্রায় সব কোম্পানিই তখন গুঁড়া দুধের দাম বাড়ায়। যদিও রোজার মধ্যে কোম্পানিগুলো গুঁড়া দুধের দাম বাড়ায়নি বলে জানিয়েছেন খুচরা বিক্রেতারা। মালিবাগ বাজারের ক্রেতা আবুল হোসেন বলেন, সবকিছুর মধ্যে দুধের দামটা একটু বেশি মনে হলো। তবে প্রতিবছর বাজারে ঈদের আগে যে আতঙ্ক তৈরি হয়, সেটাই এবার নেই। দুধের দামটা না বাড়লে একদম সব ঠিকঠাক ছিল। এদিকে ঈদ ঘিরে সেমাই তৈরির উপকরণের দাম অপরিবর্তিত দেখা গেছে। গত বছরের মতো দামেই বাদাম কিশমিশ কেনা যাচ্ছে। এখন প্রতি কেজি চিনাবাদাম ১২০-২০০ টাকা ও কাজুবাদাম বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকায়। এছাড়া প্রতি কেজি কিশমিশ বিক্রি হচ্ছে ৪০০-৫০০ টাকা।

ঈদের আগে বাজার মূলধনে যোগ হলো ২ হাজার কোটি টাকা

ঈদের আগে বাজার মূলধনে যোগ হলো ২ হাজার কোটি টাকা

শেয়ার বিক্রির চাপ কমায় ঈদের আগে শেষ তিন কার্যদিবস শেয়ারবাজারে টানা ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার দেখা মিলেছে। এতে গত সপ্তাহজুড়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ইউনিটের দাম বেড়েছে। ফলে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন ২ হাজার কোটি টাকার ওপরে বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে সবকটি মূল্যসূচক। তবে কমেছে দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণ। গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১৯৩টির স্থান হয়েছে দাম বাড়ার তালিকায়। বিপরীতে দাম কমেছে ১৬১টির। আর ৪২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। অর্থাৎ লেনদেনে অংশ নেওয়া ৪৯ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ায় সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭৩ হাজার ৮৬৬ কোটি টাকা। যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৬ লাখ ৭১ হাজার ৫১৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ২ হাজার ৩৪৯ কোটি টাকা বা দশমিক ৩৫ শতাংশ। বাজার মূলধন বাড়ার পাশাপাশি গত সপ্তাহে মূল্যসূচকও বেড়েছে। ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স গত সপ্তাহে বেড়েছে ১৭ দশমিক ৪৬ পয়েন্ট বা দশমিক ৩৪ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ২৩ দশমিক ৯১ পয়েন্ট বা দশমিক ৪৬ শতাংশ। ইসলামি শরিয়াহভিত্তিতে পরিচালিত কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক গত সপ্তাহজুড়ে বেড়েছে ১০ দশমিক শূন্য ৯ পয়েন্ট বা দশমিক ৮৭ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি কমে ৭ দশমিক ২৬ পয়েন্ট বা দশমিক ৬২ শতাংশ। আর বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক গত সপ্তাহজুড়ে বেড়েছে ২৬ দশমিক ৮১ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৪২ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ১৩ দশমিক ৬৮ পয়েন্ট বা দশমিক ৭২ শতাংশ। সবকটি মূল্যসূচক বাড়লেও ডিএসইতে লেনদেনের গতি কমেছে। গত সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৪০৬ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৪৭৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ৭০ কোটি ৯ লাখ টাকা বা ১৪ দশমিক ৭০ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে ওরিয়ন ইনফিউশনের শেয়ার। কোম্পানিটির শেয়ার প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ২৭ কোটি ৬৬ লাখ টাকা, যা মোট লেনদেনের ৬ দশমিক ৮০ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বেক্সিমকো ফার্মার শেয়ার প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ২৩ কোটি ১০ লাখ টাকা।

পোশাক শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হয়েছে

পোশাক শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হয়েছে

বিজিএমইএ প্রশাসক মো. আনোয়ার হোসেন জানান, পাওনা পরিশোধে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। ২৭ মার্চের মধ্যে ৯৯.৫৩ শতাংশ কারখানা শ্রমিকদের ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন পরিশোধ করেছে। আর ৮৩ দশমিক ২০ শতাংশ কারখানা মার্চ মাসের আংশিক বেতন দিয়েছে। ৯৪.৭৮ শতাংশ কারখানা বোনাস পরিশোধ করেছে। তিনি এজন্য তৈরি পোশাক খাতের উদ্যোক্তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি আরো জানান, বিজিএমইএ’র অনুরোধের প্রেক্ষিতে সরকার আগাম প্রস্তুতি নিয়ে ব্যাংকগুলোকে প্রণোদনার অর্থ ছাড় করতে নির্দেশ দেয়ার কারণে উদ্যোক্তারা নির্বিঘ্নে ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন, মার্চ মাসের আংশিক/পূর্ণ বেতন এবং উৎসব ভাতা পরিশোধ করতে সক্ষম হয়েছেন। বিশেষ করে ছাড়ের অর্থ প্রথমে ক্ষুদ্র ও মাঝারি কারখানাগুলোকে ও পরে বড় কারখানাগুলোকে দেয়ার কারণে এবছর পোশাক খাতে বেতন-ভাতা পরিশোধকে ঘিরে তেমন কোন সংকট সৃষ্টি হয়নি। এজন্য তিনি অর্থ উপদেষ্টা, শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা, বাণিজ্য উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক বিশেষ সহকারী, সেনাবহিনী, বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর, শ্রমিক নেতৃবৃন্দ এবং মিডিয়াসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেছেন, তাদের সকলের ঐকান্তিক সহযোগিতায় এবারও শ্রমিক ভাই-বোনেরা উৎসবমুখর পরিবেশে পরিবার পরিজন নিয়ে ঈদুল ফিতর উদযাপন করতে যাচ্ছেন। তিনি আরও জানান, ঈদের আগে বেতন ভাতা বিষয়ে সমস্যা হতে পারে এরকম ৪৪৫টি কারখানা প্রতিষ্ঠানকে ক্লোজ মনিটরিংয়ের আওতায় এনে সমস্যার ধরন বুঝে সমাধানের উদ্যোগ নেয় বিজিএমইএ। বিজিএমইএ এর সরাসরি হস্তক্ষেপে সমস্যা কটিয়ে প্রায় শতাধিক কারখানার শ্রমিকদের বেতনভাতা প্রদান নিশ্চিত করা হয়। উল্লেখ্য, পোশাক খাতে সর্বমোট চালু কারখানার সংখ্যা ২১০৭টি। এগুলোর মধ্যে ঢাকা অঞ্চলে ১৭৬৯টি এবং চট্টগ্রাম অঞ্চলে ৩৩৮টি কারখানা রয়েছে। জরুরি শিপমেন্টের জন্য ব্যস্ততা থাকায় কিছু কারখানা ২৮ মার্চ এবং কিছু কারখানা আগামী ২৯ মার্চ বেতন-ভাতা পরিশোধ সম্পন্ন করবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ২৯ মার্চের মধ্যেই প্রায় শতভাগ পোশাক কারখানায় মার্চ মাসের আংশিক/পূর্ণ বেতন ও ঈদ বোনাস পরিশোধ সম্পন্ন হবে। ঈদের ছুটিতে মহাসড়কগুলোকে যানযট কমানোর জন্য কারখানাগুলোর শ্রমিকদের ধাপে ধাপে ঈদের ছুটি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ২৬ মার্চ থেকে শুরু হয়ে ২৯ মার্চের মধ্যে সকল শ্রমিক ঈদের ছুটিতে চলে যাবেন। তিনি রপ্তানিমুখী পোশাক শিল্পের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমসহ দেশের রপ্তানি বাণিজ্য সচল রাখতে সরকারী ছুটির দিনে ইপিবি, চট্টগ্রাম বন্দর, চট্টগ্রাম কাষ্টমস হাউজ, আইসিডি কমলাপুর, ঢাকা কাস্টমস, মংলা কাস্টমস, বেনাপোল কাস্টমস ও পানগাঁও কাস্টমস হাউজ এবং ঢাকা ও চট্টগ্রামের কাস্টমস বন্ড কমিশনারেট কার্যালয় এবং একইসঙ্গে এসব কাস্টমস হাউস ও শুল্ক স্টেশন-সংশ্লিষ্ট বন্দর, ব্যাংকের শাখা খোলা রাখার জন্যও সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। বিজিএমইএ প্রশাসক এছাড়াও বিজিএমইএ এর অনুরোধের প্রেক্ষিতে আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে উত্তরবঙ্গগামী যাত্রীদের ভ্রমণের সুবিধার্ধে স্পেশাল ট্রেনের ব্যবস্থা করায় বাংলাদেশ রেলওয়ে’কে এবং মহাসড়কগুলোতে বিশেষ বিআরটিসি বাস সার্ভিস চালু করার জন্য সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।

মোবাইল অপারেটর টেলিটকের ডাটা প্যাকেজের দাম কমেছে

মোবাইল অপারেটর টেলিটকের ডাটা প্যাকেজের দাম কমেছে

রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একমাত্র মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর ‘টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড’ গ্রাহকদের সাশ্রয়ী মূল্যে দ্রুতগতির মোবাইল ইন্টারনেট সুবিধা দিতে ডাটা প্যাকেজের মূল্য ১০ শতাংশ কমানোর ঘোষণা দিয়েছে। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহম্মদ জসীম উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ কথা বলা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড গ্রাহকদের সাশ্রয়ী মূল্যে দ্রুতগতির মোবাইল ইন্টারনেট সুবিধা দিতে সর্বদা সচেষ্ট থাকে। সম্প্রতি সরকারের সিদ্ধান্তের আলোকে বাংলাদেশ সাবমেরিন কোম্পানি লিমিটেড তাদের ব্যান্ডউইথ ভাড়া ১০ শতাংশ কমানোর ঘোষণা দিয়েছে। এই ভাড়া হ্রাসের সুবিধা গ্রাহক পর্যায়ে পৌঁছে দিতে  টেলিটক তার বিদ্যমান অধিকাংশ ডাটা প্যাকেজের দাম ১ শতাংশ হ্রাস করছে, যা ঈদের দিন হতে কার্যকর করা হবে এবং তা পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। আশা করা যাচ্ছে ডাটা ট্যারিফ হ্রাসের ফলে মোবাইল ডাটা গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল ও গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কাছে টেলিযোগাযোগ সেবা পৌঁছানোর জন্য হাওড় ও দ্বীপাঞ্চলে টেলিটক নেটওয়ার্ক বিস্তার করেছে। দেশে ৪জি প্রযুক্তির বিস্তার এবং ৫জি প্রযুক্তি চালুর ব্যবস্থা  গ্রহণ করা হচ্ছে যা ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে। সম্প্রতি সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি ব্যান্ডউইথ খরচ হ্রাস করেছে। যার ফলে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ আরও বৃদ্ধি পাবে এবং দেশের ডিজিটাল অগ্রযাত্রা ত্বরান্বিত হবে। পোশাক খাতের শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হয়েছে: বিজিএমইএ প্রশাসক

ঈদের ছুটিতে চালু থাকবে এটিএম বুথ ও ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা

ঈদের ছুটিতে চালু থাকবে এটিএম বুথ ও ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে টানা ৯ দিন ছুটির কবলে দেশ। বন্ধ থাকবে ব্যাংকসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান। তবে লেনদেনের জন্য এটিএম বুথ ও ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা চলমান থাকবে। বাংলাদেশ ব্যাংক এসকল সেবা সচল রাখতে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ নির্দেশনা থাকলেও অনেক ব্যাংক রয়েছে এই সেবা প্রদানে তেমন আগ্রহ দেখান না। হাতে গোনা কয়েকটি ব্যাংকের এটিএম বুথের লেনদেন সেবা ভালো রয়েছে। অনেক ব্যাংক রয়েছে নিজেদের গ্রাহক ছাড়া অন্যদের টাকা তোলা যাচ্ছে না। আবার অনেক ব্যাংকের বুথ অচল রয়েছে। যে কারণে গ্রাহকরা সেবা বঞ্চিত হয়ে ভোগান্তিতে পড়ছে।    সারাদেশে এটিএম বুথ রয়েছে ১২ হাজার ৯৪৬টি এবং ক্যাশ রিসাইক্লিং মেশিন (সিআরএম) রয়েছে ৭ হাজার ১২টি। এটিএম বুথে নিয়মিত টাকা জমা করতে হয়। ঈদের সময় সিআরএমগুলোয়ও এটিএমের মতো টাকা জমা করতে হয়, কারণ এই সময় সবাই টাকা উত্তোলন করে। একটি এটিএমে ২০ লাখ টাকা থেকে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত জমা করা যায়। ব্যাংকগুলো দুই পদ্ধতিতে এটিএম বুথে টাকা জমা করে। শাখার নিকটবর্তী এটিএম বুথগুলোয় শাখার কর্মকর্তারা টাকা জমা করে থাকেন। দূরের এটিএম বুথগুলোয় তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে টাকা জমা করা হয়। দেশের ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি এটিএম বুথ রয়েছে ডাচ্বাংলা ব্যাংকের। ব্যাংকটির এটিএম বুথ রয়েছে ৮ হাজার ২৫০টি। এর মধ্যে অনেক ফাস্ট ট্র্যাকের মধ্যে। সব ব্যাংকের গ্রাহকেরা টাকা উত্তোলনের জন্য ডাচ্বাংলা ব্যাংকের এটিএম ব্যবহার করে থাকেন। এবারের টানা বন্ধে গ্রাহকের ভোগান্তি এড়াতে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত ফাস্ট ট্র্যাকের কর্মীদের অফিস খোলা রাখছে ব্যাংকটি। এ ছাড়া নিয়েছে আরও বেশ কিছু উদ্যোগ। এই উদ্যোগগুলো সম্পর্কে জানিয়েছেন ডাচ্বাংলা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবুল কাশেম মো. শিরিন। তিনি বলেন, ‘ঈদের আগের দিন পর্যন্ত আমাদের ফাস্ট ট্র্যাক খোলা থাকবে। কর্মকর্তারা বুথগুলোয় কাজ করবেন। এই সময় পর্যন্ত এটিএমগুলোয় টাকার কোনো ঘাটতি হবে না, সার্বক্ষণিক তদারকি থাকবে।’ আবুল কাশেম মো. শিরিন আরও বলেন, ‘আমাদের সফটওয়্যার আছে, যা দিয়ে এটিএমে টাকা না থাকলে বা কোনো সমস্যা হলে তাৎক্ষণিক বার্তা পাওয়া যায়। এক ঘণ্টার মধ্যে ভেন্ডররা টাকা জমা না করলে আমাদের পর্যায় পর্যন্ত বার্তা আসে। ফলে কী পরিমাণ এটিএম কাজ করছে, তা আমরা জানতে পারি। সাধারণত আমাদের দেড় থেকে দুই শতাংশ এটিএম বুথে এ ধরনের সমস্যা হয়। এটা যেকোনো দেশের চেয়ে কম। পৃথিবীতে ৩ শতাংশ পর্যন্ত এটিএম কাজ না করাকে গ্রহণযোগ্য ধরা হয়।’ বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে পূবালী ব্যাংকের শাখা ও এটিএম নেটওয়ার্ক শক্তিশালী অবস্থানে আছে। পূবালী ব্যাংকের এমডি মোহাম্মদ আলী জনকণ্ঠকে বলেন, ‘এটিএম বুথ সার্বক্ষণিক চালু রাখার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ফলে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। যেসব এটিএম বুথে শাখা থেকে টাকা জমা করে, সেসব বুথে শেষ হয়ে গেলে কিছুটা সময় প্রয়োজন হয়। অন্য এটিএম বুথগুলো তৃতীয় পক্ষ থেকে টাকা জমা করে। টাকা না থাকলে আমরা তাৎক্ষণিক জানতে পারি। ফলে ঈদের ছুটিতে টাকা পেতে সমস্যা হবে না।’ ইসলামী ব্যাংকের এটিএম সংখ্যাও সারাদেশে কম নয়। তাদের প্রায় তিন হাজারেরও বেশি এটিএম বুথ রয়েছে।   কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে। ঈদ উপলক্ষে প্রতিটি বুথে পর্যাপ্ত টাকা রাখা আছে। সেই সঙ্গে নিরাপত্তার জন্য সিকিউরিটি ব্যাবস্থা আরও শক্তিশালী করা হয়েছে। বেসরকারি খাতের সিটি ব্যাংক বেশিরভাগ এটিএমকে সিআরএমে রূপান্তর করেছে। ব্যাংকটির এটিএম ও সিআরএম রয়েছে ৪৫৮টি। ব্যাংকটির ৮০ শতাংশ এটিএম ও সিআরএম শাখার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ হয় আর ২০ শতাংশ তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে। সিটি ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) অরূপ হায়দার জনকণ্ঠকে বলেন, ‘আমাদের এটিএম বুথে সার্বক্ষণিক টাকা থাকে। ঈদের বন্ধের মধ্যেও আমাদের কর্মকর্তারা কাজ করবেন।

বিএটি বাংলাদেশের ৩০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন

বিএটি বাংলাদেশের ৩০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ অনুমোদন

পুঁজিবাজারে তালিকাভ্ক্তু কোম্পানি ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড (বিএটি বাংলাদেশ) ২০২৪ সালের জন্য ৩০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের অনুমোদন দিয়েছে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। বৃহস্পতিবার তারিখে ভার্চুয়াল মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির ৫২তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শেয়ারহোল্ডারদের উপস্থিতিতে এই সাধারণ সভায় লভ্যাংশের অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় শেয়ারহোল্ডাররা সর্বসম্মতিক্রমে সংবিধিবদ্ধ নিরীক্ষক ও কর্পোরেট গভর্নেন্স নিরীক্ষক নিয়োগ অনুমোদন দেন। বিএটি বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ওয়াইল সাবরার সভাপতিত্বে অনলাইনে এ এজিএম অনুষ্ঠিত হয়। দেশ ও বিদেশ থেকে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারহোল্ডাররা বিএটি বাংলাদেশের এজিএম পোর্টালের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন। এজিএমে পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচন এবং প্রতিষ্ঠানের ২০২৪ সালের আর্থিক বিবরণীর অনুমোদন প্রদান করা হয়। ২০২৪ সালে বিএটি বাংলাদেশ মূল্য সংযোজন কর, সম্পূরক শুল্ক এবং অন্যান্য কর হিসেবে জাতীয় রাজস্ব কোষাগারে ৩৪ হাজার ১৭৩ কোটি টাকা জমা দিয়েছে, যা প্রতিষ্ঠানটিকে দেশের অন্যতম সর্বোচ্চ করদাতায় পরিণত করেছে। সভায় প্রতিষ্ঠানটির স্বতন্ত্র পরিচালক মাসুদ খান ও প্রফেসর ড. মেলিতা মেহজাবিন; অ-নির্বাহী পরিচালক সিরাজুন নূর চৌধুরী, স্টুয়ার্ট কিড ও ফ্রান্সিসকো তোসো ক্যানেপা এবং প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিশা আব্রাহাম, ফাইন্যান্স ডিরেক্টর নিরালা সিং, কমার্শিয়াল ডিরেক্টর নুমায়ের আলম ও কোম্পানি সচিব সৈয়দ আফজাল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

কক্সবাজারে দুই লক্ষাধিক নকল ব্যান্ডরোলযুক্ত বিড়ি জব্দ

কক্সবাজারে দুই লক্ষাধিক নকল ব্যান্ডরোলযুক্ত বিড়ি জব্দ

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে দুই লক্ষাধিক নকল ব্যান্ডরোলযুক্ত আকিজ বিড়ি জব্দ করা হয়েছে। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। স্থানীয়রা জানায়, সরকারের মোটা অংকের টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে কিছু অসাধু চক্র দীর্ঘদিন ধরে নকল আকিজ বিড়ি উৎপাদন করে কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বাজারজাত ও মজুত করে আসছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার উখিয়া উপজেলার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অভিযান চালানো হয়। এসময় দুই লক্ষ ২০ হাজার শলাকা নকল ব্যান্ডরোলযুক্ত আকিজ বিড়ি জব্দ করা হয়। নকল আকিজ বিড়ি চক্রের সদস্য মিজান জানান, চট্টগ্রামের রিয়াজ উদ্দিন মার্কেটের আলী আকবরের হোল সেলস দোকান থেকে নকল আকিজ বিড়ি তারা চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার  বিভিন্ন বাজারে সরবরাহ করে থাকে। আকিজ বিড়ি ফ্যাক্টরি লিমিটেডের চট্টগ্রাম অঞ্চলের ব্যবস্থাপক (ইনচার্জ) মো. জসিম উদ্দিন জানান, সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে একটি অসাধু সিন্ডিকেট চক্র বিড়িতে নকল ব্যান্ডরোল ব্যবহার করে কম দামে বিক্রি করছে। এতে একদিকে সরকার বিপুল পরিমানে রাজস্ব হারাচ্ছে, অন্যদিকে প্রকৃত রাজস্ব প্রদানকারী বিড়ি মালিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

প্রবাসী আয়ে জোয়ার

প্রবাসী আয়ে জোয়ার

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে প্রচুর রেমিটেন্স, রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কঠোর তদারকির কারণে দেশে বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে ফিরেছে স্থিতিশীলতা। ব্যাংকগুলোর কাছে বৈদেশিক মুদ্রার তারল্য বেড়েছে, ব্যাংকগুলোর কাছে বৈদেশিক মুদ্রার নেট ওপেন পজিশনে (এনওপি) ভালো অবস্থানে আছে। বৈদেশিক মুদ্রার আয় ও দায়ের পাথ্যর্কই হলো নেট ওপেন পজিশন। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে-গত ২০ মার্চ পর্যন্ত ব্যাংকগুলোর এনওপি ৫৫০ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। এটি মাসের শুরুতে ছিল মাত্র  ১৫০ মিলিয়ন ডলার। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত কয়েক মাসে এনওপি ২৫০ মিলিয়ন থেকে ৩০০ মিলিয়ন ডলারের মধ্যে ওঠানামা করেছে। ব্যাংকাররা বলছেন, এনওপি বেড়ে যাওয়ার পেছনে ডলার প্রবাহ বেড়ে যাওয়াই মূলত কারণ। ফলে, বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরেছে। ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, গত বছরের আগস্টে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর রেমিটেন্স আসার পাশাপাশি রপ্তানি বেড়ে যাওয়ায় দেশের রিজার্ভ সন্তোষজনক অবস্থায় আছে। যমুনা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মির্জা ইলিয়াছ উদ্দিন আহমেদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘দেশে ডলার বেশি আসায় সম্প্রতি বিদেশী মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল হয়েছে। রেমিটেন্স বেশি আসায় ডলারের প্রাপ্যতা বেড়েছে। ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে গত ২৩ মার্চ পর্যন্ত রেমিটেন্স এসেছে দুই দশমিক ৬৩ বিলিয়ন ডলার। সংশ্লিষ্টদের ধারণা, মার্চের শেষ নাগাদ তা তিন বিলিয়ন ডলার হতে পারে। এটি হবে সর্বকালের সর্বোচ্চ। গত বছরের আগস্টে দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর রেমিটেন্স আসা বাড়তে থাকে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত সেপ্টেম্বরে রেমিটেন্স আসা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৮০ দশমিক ২৮ শতাংশ বেড়ে দুই দশমিক চার বিলিয়ন ডলার হয়েছে। অক্টোবরে রেমিটেন্স এসেছিল দুই দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলার, নভেম্বরে দুই দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলার, ডিসেম্বরে দুই দশমিক ৬৩ বিলিয়ন ডলার, এছাড়া চলতি বছরের জানুয়ারিতে দুই দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলার ও ফেব্রুয়ারিতে এসেছিল দুই দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলার। যমুনা ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী মির্জা ইলিয়াছ উদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, ‘হুন্ডি ও হাওলার পাশাপাশি পাচার কমে গেছে। এটি ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিটেন্স আসাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। তার মতে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কঠোর নজরদারিতে কারসাজি কমেছে। এটি মুদ্রাবাজারকে স্থিতিশীল করতে সহায়তা করেছে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য বলছে-গত ফেব্রুয়ারিতে রপ্তানি আয়  দুই দশমিক ৭৭ শতাংশ বেড়ে তিন দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলার এসেছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব অনুসারে, বাংলাদেশের রিজার্ভ এখন ২০ দশমিক শূন্য এক বিলিয়ন ডলার। আন্তঃব্যাংক বিনিময় হার ডলারপ্রতি ১২২ টাকা। যদিও এটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনানুষ্ঠানিক নির্দেশনা মতে ঠিক করা ডলার রেট। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের দাবি, ঈদে বিদেশী মুদ্রার পাশাপাশি স্থানীয় মুদ্রাবাজারও স্থিতিশীল আছে। তারা জানান, ঈদকে সামনে রেখে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ নগদ টাকা তোলার চাপ থাকলেও কয়েকটি দুর্বল ব্যাংক ছাড়া অধিকাংশ ব্যাংকে এখন অতিরিক্ত টাকা আছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে-গত ২৫ মার্চ স্বল্পমেয়াদি আন্তঃব্যাংক ঋণের সুদ বা কলমানি রেট ১০ শতাংশের বেশি থেকে কমে নয় দশমিক ৯৫ শতাংশ হয়েছে, যা প্রমাণ করে যে বাজারে তারল্য চাহিদার তুলনায় জোগান ভালো আছে।

ঈদের কেনাকাটায় নিম্ন ও মধ্যবিত্ত ক্রেতাদের ভিড়

ঈদের কেনাকাটায় নিম্ন ও মধ্যবিত্ত ক্রেতাদের ভিড়

আকাশে পবিত্র ঈদুল ফিতরের চাঁদ উঠতে বাকি আর মাত্র কয়েকদিন। ঈদকে কেন্দ্র করে এরই মধ্যে জমে উঠেছে পোশাকের বাজার। কেনাকাটায় ছোট-বড়, ধনী-গরিব কেউ পিছিয়ে নেই। রোজার শেষ মুহূর্তে উচ্চবিত্ত পরিবারের পাশাপাশি এখন নি¤ ও মধ্যবিত্ত ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে।   মানুষ ঈদের কেনাকাটায় আয়ের ৮০ শতাংশই ব্যয় করেন নতুন পোশাকের জন্য। রাজধানীর প্রতিটি এলাকায় স্থায়ী অস্থায়ী বাজারে উৎসবমুখর পরিবেশে কেনাকাটা করছে মানুষ। বিশেষ করে রাজাধানীর বড় মার্কেটগুলোর মধ্যে টিকাটুলির ‘রাজধানী মার্কেট’, গুলিস্তান, নিউ মার্কেট, এলিফ্যান্ট রোড, ফার্মগেট, মালিবাগের তালতলা মার্কেট, মিরপুর ১০ নম্বর রোডের ক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা এমন তথ্য জানান।  সরেজমিন দেখা যায়, শিশু থেকে বৃদ্ধ, বিভিন্ন বয়সী মানুষ কেনাকাটা করতে এসেছেন নিউমার্কেট এলাকার বিপণি-বিতানগুলোতে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত নিউমার্কেটে চলছে কেনাকাটা। ফুটপাত থেকে শুরু করে প্রতিটি মার্কেটে ক্রেতাদের ভিড়ে হিমশিম খাচ্ছেন বিক্রেতারা। যেন নিঃশ্বাস ফেলার সময় পাচ্ছেন না তারা। ফুটপাত মানভেদে একশ’ টাকা থেকে শুরু করে পাঁচশ’ ও হাজার টাকা দামের নতুন কাপড় পাওয়া যাচ্ছে। মার্কেট থেকে বেশি মানুষ ঝুঁকছেন ফুটপাতের দোকানগুলোতে। যাদের বেশিরভাগই নি¤œ ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির। সরেজমিন দেখা যায়, গুলিস্তান হল সংলগ্ন সড়ক থেকে গোলাপ শাহ মাজারের দিকে যেতে সংযোগ সড়কটিতে যান চলাচল প্রায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে পুরো সড়কজুড়ে পোশাকের পসরা সাজিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা। কেউ ভ্যানে, কেউ চৌকিতে আবার কেউ মাটিতেই পণ্য নিয়ে বসেছেন। প্রতিটি দোকানেই ক্রেতাদের প্রচুর ভিড়। ভিড় ঠেলেই পছন্দের পণ্য কিনছেন সবাই। গুলিস্তানে যে পোশাক পাওয়া যায়, গুলিস্তানে যে পোশাক পাওয়া যায় তার মান খুব যে খারাপ তা না। কিন্তু এখানে দামটা অনেক কম হয়। একই পোশাক ব্র্যান্ডের দোকানে হয়তো ১৯-২০ হবে। কিন্তু দাম ৫ থেকে ১০ গুণ বেশি। পল্টন থেকে শুরু করে গুলিস্তানের ফুটপাতের দোকানগুলোতে প্রায় সব ধরনের পোশাকই পাওয়া যাচ্ছে।