ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২

স্বর্ণকে পেছনে ফেলবে রুপা! সোনার থেকেও বেশি রিটার্নের ইঙ্গিত রুপার

প্রকাশিত: ১১:০৫, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

স্বর্ণকে পেছনে ফেলবে রুপা! সোনার থেকেও বেশি রিটার্নের ইঙ্গিত রুপার

ছবি : সংগৃহীত

সম্প্রতি বিশ্ব ও দেশের বাজারে সোনার দাম উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে, কিন্তু রুপোর দাম তুলনামূলকভাবে স্থির থেকেছে। চলতি ক্যালেন্ডার বছরের শুরু থেকে সোনা ২৫.১ শতাংশ বেড়েছে, যেখানে রুপো বেড়েছে মাত্র ১৩.৫ শতাংশ।নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের রুপার দাম পড়বে ২ হাজার ৮৪৬ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৭১৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৩৩৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৭৫০ টাকা।

 

 

এই পার্থক্যের কারণে অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন, সামনের সময়ে রুপোর দাম সোনার তুলনায় বেশি বাড়তে পারে। কেডিয়া অ্যাডভাইজারির ডিরেক্টর জানান, সোনার র‍্যালি এখন কিছুটা বিরতি নিতে পারে, সেই সুযোগে রুপো বিনিয়োগকারীদের জন্য বেশি রিটার্ন দিতে পারে।

বিশ্লেষকদের দৃষ্টিভঙ্গিতে রুপোর প্রতি আস্থার আরেকটি বড় কারণ হলো সোনা-রুপোর অনুপাত বা গোল্ড-টু-সিলভার রেশিও। এই অনুপাত হিসাব করা হয় একটি আউন্স সোনার দামে কত আউন্স রুপো কেনা যায়। বর্তমানে এই অনুপাত ১০০-এর ওপরে চলে গেছে, যা কোভিড-পরবর্তী সময়ে দ্বিতীয়বার ঘটছে। ইতিহাস বলছে, এত উচ্চ অনুপাত দীর্ঘস্থায়ী নয় এবং তা রুপোর দাম বৃদ্ধির পূর্বাভাস দেয়। গত ২৫ বছরে গড় অনুপাত ছিল ৬৮, আর শেষ ১০ বছরে ছিল ৮৫। ফলে এই অনুপাতকে অনেকেই রুপোর অবমূল্যায়নের ইঙ্গিত হিসেবে দেখছেন।

 

 

রুপোর একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো এর শিল্পক্ষেত্রে ব্যাপক ব্যবহার। ২০২৪ সালে রুপোর মোট চাহিদার ৬০ শতাংশ এসেছে শিল্পক্ষেত্র থেকে, যা পূর্বের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। ২০১৬ সালে এই চাহিদা ছিল ৫০ শতাংশের নিচে। বিনিয়োগ, গয়না এবং রূপার পাত্র তৈরির মতো অন্যান্য খাতে রুপোর চাহিদা বর্তমানে ৩৯ শতাংশে নেমে এসেছে।  বিশ্লেষকদের মতে, এই শিল্পনির্ভরতা রুপোর দামে চাপ ফেলেছে, কারণ বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং মন্দার আশঙ্কা শিল্পখাতের চাহিদা কমিয়ে দিতে পারে। তবে, যুক্তরাষ্ট্রে সুদের হার কমার সম্ভাবনা, ডলারের দুর্বলতা এবং ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা রুপোর বিনিয়োগচাহিদা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।

 

 

দেশে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে রুপোর প্রতি আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে, বিশেষ করে এক্সচেঞ্জ-ট্রেডেড ফান্ড এর মাধ্যমে। বিশ্ব অর্থনীতির উন্নতি হলে রুপোর শিল্পচাহিদা আরও বাড়বে এবং সোনার দীর্ঘ র‍্যালির পর বিনিয়োগকারীরা রুপোর মতো অবমূল্যায়িত ধাতুর দিকেই বেশি ঝুঁকবে। ফলে, তিনি রুপোতে বিনিয়োগ করার পরামর্শ দিচ্ছেন উচ্চ রিটার্নের প্রত্যাশায়।

আঁখি

×