
ছবি: সংগৃহীত
প্রত্যেক মানুষেরই কিছু না কিছু ইচ্ছে বা স্বপ্ন থাকে। ইচ্ছাশূন্য মানুষ যেন একপ্রকার মৃতপ্রায় — কারণ মানুষ বেঁচে থাকে আশায়, স্বপ্নের টানে এগিয়ে চলে। কখনো কখনো বারবার হারার পরও স্বপ্নের শক্তিতেই মানুষ ঘুরে দাঁড়ায়, সৃষ্টি করে নতুন নির্মাণের নকশা।
বিশ্ব ইচ্ছে দিবসের সূচনা হয়েছিল এক হৃদয়ছোঁয়া ঘটনার মাধ্যমে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা 'মেক আ উইশ ফাউন্ডেশন'-এর উদ্যোগে দিনটি চালু হয়। ১৯৮০ সালের ২৯ এপ্রিল, সাত বছর বয়সী লিউকোমিয়ায় আক্রান্ত শিশু ক্রিস গ্রেসিয়াসের ইচ্ছা ছিল বড় হয়ে পুলিশ কর্মকর্তা হওয়ার। এই ইচ্ছে জানতে পেরে, স্থানীয় পুলিশ বিভাগ তাকে একদিনের জন্য সম্মানজনকভাবে পুলিশ অফিসারের দায়িত্ব প্রদান করে তার স্বপ্ন পূরণ করে দেয়।
এ ঘটনাই অনুপ্রেরণা জোগায় বিশ্বব্যাপী ইচ্ছে পূরণের এক আন্দোলন গড়ে তুলতে। পরে ২০১০ সাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে দিনটি ‘বিশ্ব ইচ্ছে দিবস’ হিসেবে উদযাপিত হয়ে আসছে।
ইচ্ছে, স্বপ্ন, আকাঙ্ক্ষা কিংবা শখ—নাম যাই হোক না কেন, এগুলোই মানুষের জীবনের আসল চালিকাশক্তি। ইচ্ছা কখনো বিশাল হতে পারে, আবার হতে পারে একেবারে ছোট্ট কোনো বিষয়ও। তবে ইচ্ছার গুরুত্ব কখনোই মাপার নয়। কারণ ইচ্ছাই মানুষকে স্বপ্ন দেখায়, সাহস জোগায়, এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা দেয়।
বিশ্ব ইচ্ছে দিবসে তাই বলা যায়—ভুলে যাবেন না আপনার ইচ্ছের কথা। বলুন, মনের গভীরে লুকিয়ে থাকা সেই স্বপ্নের কথা। কে জানে, আজকের ইচ্ছে-ই হয়তো আগামী দিনের বাস্তবতার সূচনা হবে!
এসএফ