
ছবি: সংগৃহীত
ক্যাভিয়ারকে বিলাসবহুল খাদ্য হিসেবেই ধরা হয়, তবে এর মধ্যেও এক ধরনের ক্যাভিয়ার সবকিছুর শীর্ষে—আলমাস ক্যাভিয়ার, যা বিশ্বের সবচেয়ে দামি ক্যাভিয়ার হিসেবে পরিচিত। এটি উৎপাদিত হয় ইরানের বিরল প্রজাতির শতবর্ষী অ্যালবিনো স্টারজন মাছ থেকে এবং এর দাম ২২,০০০ থেকে ২৫,০০০ ইউরো প্রতি কেজি পর্যন্ত হতে পারে। লন্ডনের The Caviar House & Prunier একমাত্র এটি বিক্রি করে এবং এটি ২৪ ক্যারেট সোনার কৌটায় সংরক্ষিত থাকে।
ক্রিমি টেক্সচার ও বাদামের মতো ঘ্রাণযুক্ত এই ক্যাভিয়ার ঠান্ডা পরিবেশনে, টোস্ট করা রুটির ওপর এক চামচ দিয়ে (চাপ না দিয়ে) খাওয়াই শ্রেষ্ঠ উপায়। এর সঙ্গে উপযোগী পানীয় হতে পারে প্রিমিয়াম শ্যাম্পেইন অথবা দামী ওয়াইন।
আলমাস ক্যাভিয়ারের বাইরেও বিশ্বের কিছু শীর্ষ দামী খাদ্য রয়েছে:
-
আলবার সাদা ট্রাফল (ইতালি) – প্রতি কেজি পর্যন্ত ১,০০,০০০ ইউরো।
-
এলভিশ মধু (তুরস্ক) – প্রতি কেজি ৪০,০০০ ইউরো, ১,৮০০ মিটার গভীর গুহা থেকে সংগৃহীত।
-
কপি লুয়াক কফি (ইন্দোনেশিয়া) – ৬৫০–২,৫০০ ইউরো প্রতি কেজি, সিভেট প্রাণীর পাচনতন্ত্র থেকে তৈরি।
-
পুলে চিজ (সার্বিয়া) – প্রতি কেজি ১,৩০০ ইউরো, গাধার দুধ থেকে তৈরি।
-
ইউবারি কিং তরমুজ (জাপান) – একেকটি তরমুজের দাম ১৭,০০০ ইউরো পর্যন্ত।
-
সোয়ালো’র বাসা (চীন) – প্রতি কেজি ৭,২০০ ইউরো পর্যন্ত, পাখির লালার তৈরি।
-
জাফরান – প্রতি কেজি ৭০০–৮,০০০ ইউরো, প্রায় ১,৫০,০০০ ফুল লাগে।
-
ডেনসুকে তরমুজ (জাপান) – প্রতি কেজি ৫৮০ ইউরো বা তারও বেশি।
-
মাতসুটাকে মাশরুম (জাপান) – প্রতি কেজি ২,০০০ ইউরো পর্যন্ত।
এসব বিরল ও ব্যয়বহুল খাদ্য প্রমাণ করে দেয়, স্বাদ ও এক্সক্লুসিভিটির প্রশ্নে দামের কোনও সীমানা নেই।
সূত্র: https://santandreatopproperties.com/en/news/all-about-caviar-from-the-different-types-to-the-price-of-the-worlds-most-expensive-one/
আবীর