ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১ বৈশাখ ১৪৩২

বরফাচ্ছন্ন গ্রহে কি সত্যিই হীরা বৃষ্টি হয়? বিজ্ঞানীরা বলছেন, সম্ভব!

প্রকাশিত: ২০:১২, ২৪ এপ্রিল ২০২৫

বরফাচ্ছন্ন গ্রহে কি সত্যিই হীরা বৃষ্টি হয়? বিজ্ঞানীরা বলছেন, সম্ভব!

ছবিঃ সংগৃহীত

ভাবুন তো, এমন এক আকাশ যার নিচে সাধারণ বৃষ্টির ফোঁটার পরিবর্তে ঝরে পড়ে হীরার কণা! শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও, সৌরজগতের দুটি বরফাচ্ছন্ন গ্রহ নেপচুন ও ইউরেনাসে এমনটাই ঘটে থাকতে পারে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।

এই দুটি গ্রহকে "আইস জায়ান্ট" বলা হয়ে থাকে, কারণ এদের মূল উপাদান হাইড্রোজেন, হিলিয়াম, পানি, অ্যামোনিয়া ও মিথেন গ্যাস। গবেষকদের মতে, এই গ্রহগুলোর গভীর অভ্যন্তরে তীব্র তাপমাত্রা ও চাপে মিথেন গ্যাস ভেঙে গিয়ে কার্বনের পরমাণু বের হয়ে আসে। এরপর সেই কার্বন পরমাণুগুলো একত্র হয়ে হীরার মতো স্ফটিকে পরিণত হয়। এই হীরাগুলো ঘনীভূত হওয়ায় তা নীচের দিকে পড়তে থাকে—এই ঘটনাকেই বিজ্ঞানীরা বলছেন “ডায়মন্ড রেইন” বা হীরা বৃষ্টি।

যদিও এখনও পর্যন্ত নেপচুন বা ইউরেনাসের অভ্যন্তরে সরাসরি এই হীরা বৃষ্টি দেখা সম্ভব হয়নি, তবে বিজ্ঞানীরা ল্যাবরেটরিতে এই পরিবেশ অনুকরণ করে এমন পরিস্থিতিতে ক্ষুদ্রাকৃতির হীরা তৈরিতে সফল হয়েছেন। উচ্চ-ক্ষমতার লেজার বা শকওয়েভ ব্যবহার করে তাঁরা সেই ভয়ংকর চাপে কার্বন পরমাণু দিয়ে ন্যানো-ডায়মন্ড তৈরি করেছেন।

এই আবিষ্কার শুধু কল্পবিজ্ঞানের গল্প নয়, বরং বরফাচ্ছন্ন গ্রহগুলোর অভ্যন্তরীণ রহস্য বুঝতেও সাহায্য করছে। গবেষকদের মতে, এই হীরা বৃষ্টির ফলে গ্রহগুলোর অভ্যন্তরে তাপ উৎপন্ন হতে পারে, যা তাদের উষ্ণ রাখে। পাশাপাশি, হীরা যখন নীচে নামে তখন অন্যান্য উপাদানকেও নিয়ে যেতে পারে, যার ফলে গ্রহগুলোর অদ্ভুত চৌম্বকক্ষেত্রেও পরিবর্তন আসতে পারে।

এই "ডায়মন্ড রেইন" নিয়ে গবেষণা এখনো চলমান। ভবিষ্যতে আরও উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে হয়তো এই রহস্যের সরাসরি প্রমাণ মিলবে। তবে এখনই বিজ্ঞানীদের হাতের ল্যাব-নির্ভর তথ্য ইঙ্গিত দিচ্ছে—হীরা বৃষ্টি, সত্যিই হতে পারে।

 

সূত্রঃ https://timesofindia.indiatimes.com/etimes/trending/is-diamond-rain-real-on-icy-planets-scientists-might-have-proof/photostory/120580744.cms

রিফাত

×