
ছবি : সংগৃহীত
বুলগেরিয়ার দৃষ্টিহীন ভবিষ্যৎদ্রষ্টা বাবা ভাঙ্গার ভবিষ্যদ্বাণী নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে নেট দুনিয়ায় তুমুল আলোচনা চলছে। তাঁর পুরো নাম ভ্যাঞ্জেলিয়া পান্ডেভা গুশতেরোভা। অল্প বয়সে দৃষ্টিশক্তি হারালেও তিনি অসাধারণ দূরদৃষ্টির জন্য বিশ্বজুড়ে পরিচিত হয়ে আছেন। তাঁর করা ভবিষ্যদ্বাণীগুলোর মধ্যে বেশ কিছু এখনো মানুষের মুখে মুখে ফিরছে। বিশেষ করে ২০২৫ সাল এবং পরবর্তী সময় নিয়ে তাঁর কিছু চাঞ্চল্যকর পূর্বাভাস এখনো গবেষকদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে।
বাবা ভাঙ্গার ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী, আগামী কয়েক দশকে বিশ্বজুড়ে ইসলাম ধর্মের প্রভাব বাড়তে থাকবে। তিনি বলেছিলেন, ২০৪৩ সালের মধ্যে ৪৪টি দেশে মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে। শুধু তাই নয়, জার্মানির মতো ইউরোপীয় দেশেও ইসলামি প্রভাব বাড়বে। যদিও বর্তমানে জার্মানিতে মুসলিমদের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার মাত্র ৫ শতাংশ, তবুও তিনি দাবি করেছিলেন যে ভবিষ্যতে ইরানের মতো মুসলিম দেশগুলোর প্রভাব সেখানে বাড়বে। তাঁর মতে, ইসলাম শুধু ইউরোপেই নয়, আমেরিকা এবং সমগ্র বিশ্বে তার প্রভাব বিস্তার করবে।
তবে এই প্রসার শান্তিপূর্ণ হবে না বলে তিনি সতর্ক করে গিয়েছিলেন। বাবা ভাঙ্গার পূর্বাভাস অনুযায়ী, ইসলামি আধিপত্য বিস্তারের পর ইউরোপে একটি ভয়াবহ যুদ্ধের সূচনা হতে পারে। জার্মানি, ফ্রান্স, ব্রিটেন, রাশিয়া ও ভারতসহ বিভিন্ন দেশ এই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বে। একপক্ষে থাকবে পশ্চিমা শক্তি, অন্যপক্ষে মুসলিম দেশগুলো। এই সংঘর্ষ এতটাই ভয়ঙ্কর হবে যে লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রাণ হারাবে।
এর পাশাপাশি বাবা ভাঙ্গা ২০৭৬ সালে বিশ্বজুড়ে কমিউনিস্ট শাসনের পুনরুত্থানের কথাও বলেছিলেন। তাঁর সবচেয়ে চমকপ্রদ ভবিষ্যদ্বাণী হলো, ৫০৭৯ সালে এক ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে পুরো বিশ্ব ধ্বংস হয়ে যাবে। যদিও এই ভবিষ্যদ্বাণী এতদূরের যে এর সত্যতা যাচাই করা এখনো সম্ভব নয়।
বাবা ভাঙ্গার জন্ম ১৯১১ সালের ৩১ জানুয়ারি। এক দুর্ঘটনায় তিনি দৃষ্টিশক্তি হারান, কিন্তু এরপরই তাঁর মধ্যে অদ্ভুত দূরদৃষ্টির ক্ষমতা দেখা দেয়। তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন, ৯/১১ হামলা এবং আরও অনেক ঘটনার সঠিক পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। তবে তাঁর সব ভবিষ্যদ্বাণীই যে সত্য হবে, তা নিশ্চিত করে বলা যায় না। অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন, ভবিষ্যদ্বাণীগুলো ব্যাখ্যাভেদে পরিবর্তনশীল। তবুও বিশ্ব রাজনীতি ও ধর্মীয় পরিস্থিতি নিয়ে তাঁর দেওয়া পূর্বাভাসগুলো এখনো মানুষকে নাড়া দেয়।
আঁখি